-
সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি (৮ম পর্ব)
সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি (৮ম পর্ব) তাহমিনা খাতুন ষোলো. শ্রাবণ মাস। বিকালের দিকে নূরপুরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রাই নদীর পাড়ে একটি বড়ো নৌকা এসে থামল। নৌকা ভর্তি চাল, ডাল, লবণ, তেলের বড়ো বড়ো বস্তা এবং আরও বিভিন্ন মনিহারি সামগ্রীতে ঠাসা। নৌকা থেকে নামল হাবিবুর রহমান; সাথে আরও চার পাঁচ জন লোক। তারা মালপত্রগুলো ধরাধরি করে নামাতে লাগল। মৃত শিহাব উদ্দিন খোন্দকারের বড়ো ছেলে হাবিবুর রহমান এখন বাইশ তেইশ বছরের পরিপূর্ণ যুবক। শিহাব উদ্দিনের বড়ো বোন আর খালা মিলে তাঁর তিন ছেলে মেয়েকে মানুষ করেছেন। আত্রাই নদীর পাড় থেকে সামান্য দূরে নূরপুর গ্রামে প্রবেশের হালট ঘেঁষে হাবিবুর রহমানের মনিহারি সামগ্রীর দোকান।…
-
আত্রাই নদী
আত্রাই নদী তাহমিনা খাতুন আত্রাই! ছোট্ট এক নদী ছোট্ট! তবু সে ছুটিতেছে বুঝি নিরবধি। ছোট্ট তার দুটি কূল এপার ওপার যায় দেখা তার না হয় কোন ভুল। কূল ঘেঁষে আছে তার ছোট ছোট গ্রাম। স্নেহে আর মমতায় ঘিরে রাখে অবিরাম। হয়তো বা ছিল কভু বিশাল জলধি কঠিন সময়ের সাথে হইয়াছে শীর্ণকায়া নদী। বড় বড় পানশি আর পাল তোলা নাও ছুটে যেত বহু দূরে কোন দূর গাঁও। গুন টেনে যেত নাও কোন সে দূরের পানে ভাটিয়ালি সুরের যাদু ভেসে আসত কানে। বিশাল জলধির চিহ্ন আজ নাহি খুঁজে পাই, ধুঁকিয়া বাঁচার আকুলতা তার দেখি যে সদাই। নিষ্প্রাণ স্রোত ধারা নিয়ে তবু…
-
আমাদের আত্রাই নদী
আমাদের আত্রাই নদী তাহমিনা খাতুন দ্বাড়িয়াপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে আত্রাই নদী। আমাদের ছেলেবেলায় দেখতাম বর্ষাকালে নদীটি কানায় কানায় পানিতে ভরে যেত। অনেক সময় যখন বেশ বড় বন্যা হত, নদীর কূল ছাপিয়ে হাইওয়ের উপর দিয়েও স্রোত বয়ে যেত। প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও বেশ কিছু দিনের জন্য বর্ষাকালীন ছুটিতে যেতে বাধ্য হত। কারণ বিদ্যালয়ের ঘরটিতেও বন্যার পানি ঢুকে পড়ত। বর্ষাকালে আত্রাই যখন পানিতে ভরে যেত, তখন কিছু লোক এক ধরনের জাল দিয়ে (যাকে স্থানীয় ভাষায় বলা হত ‘খরা’) ট্যাংরা, পুঁটি, খলশে, ছোট আকারের শোল, বোয়াল, নলা, মৃগেল, টাকিসহ আরও অনেক ধরনের সুস্বাদু মাছ ধরতেন। আমাদের পাড়ার বাসিন্দারা সহ অনেকেই বর্ষার…