-
অন্ধকারে জ্বলে দ্বীপশিখা (শেষ পর্ব)
অন্ধকারে জ্বলে দ্বীপশিখা (শেষ পর্ব) খলিফা আশরাফ মেম্বারের ছেলেরা নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে এভাবে আপোসে রাজি হয়ে গেলো। চেয়ারম্যান সাহেব বললেন, ── ঠিক আছে, আমি একটু শুকুর আলির সাথে কথা বলে নেই। আমার মনে হয়, তার পাছেও শিক্ষিত লোক আচে। তা না হলি সে DNA টেস্ট বুঝতো না। সে জন্যে, সব গোপন ভাবেই করা লাগবি। তোমরা এখন যাও, খবর দিলি আসো। পরদিন সকালে শুকুর আলিকে আসবার জন্য খবর দিলেন তিনি। শুকুর আলি কাজ কাম সেরে বিকালে এলো। চেয়ারম্যান সাহেব তাকে নিয়ে একা বসলেন। মেম্বারের ছেলেদের সাথে আলোচনার কথা গোপন রেখেই বললেন, ── দ্যাখো শুকুর আলি, তোমরা সগলেই আমার…
-
অন্ধকারে জ্বলে দ্বীপশিখা (২য় পর্ব)
অন্ধকারে জ্বলে দ্বীপশিখা (২য় পর্ব) খলিফা আশরাফ পরদিন সকালেই জজ কোর্টে ছুটলো শকুর আলি। মাস দেড়েক পরে কোর্ট থেকে মতিন মেম্বারের নামে DNA টেস্টের জন্য সমন জারি হল, সিভিল সার্জনকে দুই মাসে মধ্যে DNA টেস্টের রিপোর্ট দাখিল করতে নির্দেশ দিলো কোর্ট। কোর্টের সমন এলাকায় একেবারে হৈচৈ ফেলে দিলো। অনেক দিনের পুরনো প্রায় মৃত বিষয় আবার আলোচনার প্রধান আকর্ষণ হয়ে দাঁড়ালো। মতিন মিয়া মুখে এটাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে চাইলেও মনের কছে সঙ্কিত হয়ে উঠলেন। তিনি চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে শহরের সবচেয়ে বড় উকিলের কাছে গেলেন। তাঁর পরামর্শেই urgent fee দিয়ে আর্জির নকল তুললেন। উকিল সাহেব মনোযোগ দিয়ে আর্জিটা পড়লেন। তারপর…
-
অন্ধকারে জ্বলে দ্বীপশিখা (১ম পর্ব)
অন্ধকারে জ্বলে দ্বীপশিখা (১ম পর্ব) খলিফা আশরাফ তার নাম শুকুর আলি। দশাসই শরীর। ছয় ফুটের মতো লম্বা। মেধহীন পেটা শরীর। প্রচণ্ড শক্তি গায়ে। ২৭/২৮ বছর বয়স। নিতান্তই গরীব। নাজিরগঞ্জ বাজারে পাটের কুটিতে কুলির কাজ করে সে। তাদের কাজ হচ্ছে পাটের বেল কুটি থেকে নৌকায় তুলে দেয়া। এক একটা বেলের ওজন তিন মণ সাড়ে তিন মণ। বহনকৃত বেল গুনে মজুরী। এ সব ভারী বেল অনায়াসে বহন করে সে। অন্য কুলিদের মাঝেমধ্যেই জিরিয়ে নিতে হয়, কিন্তু শুকুর আলি একটানা কাজ করে। কোন কুলি তাৎক্ষণিক কোন সমস্যায় পড়লে তার কাজটাও করে দেয় সে। সবাই ভালোবাসে তাকে। তার সহমর্মিতা আর শারীরিক শক্তির কারণেই…