আমাদের সুজানগর
সাম্প্রতিক পোস্ট
- চোখের আলোয় দেখেছিলেম (৩য় পর্ব)
- জলচোখ, নীলজল, রক্তমুখী চাঁদ, উপপাদ্য
- তাজমহলের শহর আগ্রায়
- দহন, রোমস্থন, প্রকৃত কান্নার স্মৃতি, গমন ও গন্তব্য
- চোখের আলোয় দেখেছিলেম (২য় পর্ব)
- প্রেম ও নির্জনতা
- চোখের আলোয় দেখেছিলেম (১ম পর্ব)
- অসমাপ্ত অধ্যায়, কবিতার আকাশে তুমি
- প্রিয়তমার লাল চোখ (শেষ পর্ব)
- ফেলানী
- প্রিয়তমার লাল চোখ (৩য় পর্ব)
- পাপ, মানবতার ঢাল, গরু
- প্রিয়তমার লাল চোখ (২য় পর্ব)
- শহিদ আব্দুস সাত্তার
- প্রিয়তমার লাল চোখ (১ম পর্ব)
- তৎকালীন গ্রামীণ চিকিৎসা ব্যবস্থা
- জয় বাংলা জয়, বঙ্গমাতা
- সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর (শেষ পর্ব)
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
- সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর (৪র্থ পর্ব)
{"ticker_effect":"slide-v","autoplay":"true","speed":3000,"font_style":"normal"}
বাক্সবন্দি প্রেম
বাক্সবন্দি প্রেম এ কে আজাদ দুলাল সকাল হতে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। থামার কোন লক্ষণ নেই। ঢাকা শহর বৃষ্টির পানিতে সারা রাস্তা ডুবে গেছে, ফলে জ্যামেজটে পড়ছে যানবাহন। নয়টার ভেতরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পোঁছাতেই হবে।অনেক কষ্ট করে কাক ভেজা শরীর নিয়ে মার সঙ্গে করে হাসপাতালে এসে হাজির হলো ফারুক। ভাল নাম মোঃ ফারুক। বয়স বাইশ-তেইশ বছর। মাথা ভর্তি এলোমেলো চুল, মুখখানা মলিন। দুঃচিন্তা সারা চেহারায় আচ্ছন্ন। বিনানিদ্রায় চোখ দুটো জবা ফুলের মত লাল। সাথে...
Read More
কারও পথের দূরত্বে
কারও পথের দূরত্বে ফজলুল হক পুরোনো গলি নিষিদ্ধ প্রহরের প্রতিধ্বনি ধ্রুপদী প্রেম ও নিটোল ভালোবাসার নিঃশ্বাসে বিরহের গন্ধ, শেওলাবৃত নেই আর চলাচলের পথটি। চারিদিকে চেনা চেনা ঘ্রাণ প্রেমিকা বাতাসে ভেসে আসে সুখ-আনন্দের গুঞ্জন, যে রকম ঘ্রাণে ঠোঁটে জলমেখে প্রথম চোখ তুলে দেখেছিলাম তোমাকে। বদলে গেছে অবয়ব জীবনের চারিধার ব্যর্থ প্রণয়ের আগুনে পুড়ে গেছে গোপন ইচ্ছেরা, নিজেকে বদলাতে পারিনি এতোটুকুও কালান্তরে বদলে গেছো তুমি। কী লিখবো কবিতায়? নেই কোনো নতুন কথা, না আছে...
Read More
প্রণোদনা
প্রণোদনা জাহাঙ্গীর পানু সকাল বেলা চেয়ারম্যান সাহেব বলল সবার শানে। প্রণোদনা দেবো আমি বিলিয়ে সবার মাঝে। কেউবা পাবে নগদ টাকা কেউবা পাবে চাল। কেউবা আবার কাপড় চোপর কেউবা পাবে ডাল। মনির বাপ শুনিয়া কহে প্রণোদনা কী? সব বুঝিয়া বলল শেষে রিলিফের মতোনই। চামচারা কয় কাগজপত্র লাগবে সবারই। ভোটার আইডি বয়স্ক কার্ড যার যা আছে নি। কাগজপত্র দিল সবাই চেয়ারম্যানের হাতে। খরচাখরচ হলো কিছু ফটোকপিতে। চামচারা কয় উপজেলায় খরচাপাতি আছে। একশত করে টাকা সবাই দাও...
Read More
আনন্দ বাগচী (শেষ পর্ব)
আনন্দ বাগচী (শেষ পর্ব) আধুনিক কবিতা অর্বাচীন এবং নির্বচনীয়, ভ্রান্তিকর এবং শ্রান্তিকর এবং উদ্ভট – এমন বিদ্রুপাত্মক লোকশ্রুতি সংক্রামক হয়ে উঠেছে। অথচ কবিতা অব্যয় এবং কবিতা যে ফুরিয়ে যায়নি, তার যে আরো অফুরন্ত অনুশীলনের অবকাশ রয়েছে, এই কথা জানান দেবার ইচ্ছা সেই সময় থেকেই জেগেছিল।… পরে কলকাতা থেকে দূরে চলে গিয়ে স্মৃতিজীবী কলকাতাকে আরো নতুন আভাসে দেখতে পেলাম। গদ্য উপন্যাসে এদের চিত্রিত করতে গিয়ে মন তৃপ্ত হল না। ব্যক্তিগত বেদনা এবং নিঃসঙ্গতার আবেগ, কবিতা...
Read More
সোনামনি, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে
সোনামনি জিন্না আরা রোজী কোন সে দূরে চলে গেছিস আমায় একা ফেলে? বেশ তো আছিস, ভালোই আছিস, আমায় না দেখে। ছিন্ন আমার বুকের পাজর, ঘুণে ধরা দেহ, চোখে আমার শ্রাবণের জল থাকে অবিরত, দিন কাটে না, রাত কাটে না, তোকে না দেখে, অন্ধকারে ডুবে আছি, মরণ জ্বালায় জ্বলে ইচ্ছেগুলো দিচ্ছি ফাঁকি, আর লাগে না ভালো;যতই ভাবি ভুলবো তোকে, ভুলতে পারি নাকো! কেমন করে ভুলবো তোকে বলতে পারিস মাকে? হাত-পা আমার সদাই কাঁপে তোকে...
Read More
সবুজ বৃক্ষের জন্য কাঁদি
সবুজ বৃক্ষের জন্য কাঁদি শফিক নহোর আমার জন্ম হয়েছিল সাঁওতাল পাড়ার পদ্মবতী বটবৃক্ষের ডালে কাক ডাকা দুপুরে পানির জন্য চারিদিকে চিৎকার চেঁচামেচি হইহুল্লোর আমি এখন চোখের জলে বানভাসির মতো ভাসি অথৈই জলে। কুয়ার পানি নেওয়ার জন্য গ্রাম্য বধূর সাঁঝ অপেক্ষা , দরজার কপাট খুলে প্রতীক্ষায় সোয়ামি কুসুম গরম ভাতে ধোঁয়া ওঠা প্লেটে হাত পাখার বাতাস তরকারির ঝালে মুখ ভর্তি পানি পানির জন্য চিৎকার চিৎকার চিৎকার... আমি গিলাস নিয়ে দাঁড়িয়ে। কুয়া মরে গেল,...
Read More
রিঙকু অনিমিখ
রিঙকু অনিমিখ একজন কবি ও চারুশিল্পী হিসেবে সমধিক পরিচিত। জন্ম: রিঙকু অনিমিখ ১৯৮২ সালের ৫ এপ্রিল, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত আহম্মদপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মিয়াপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। এটি তাঁর পৈতৃক বাড়ি। পারিবারিক জীবন: পিতা মৃত সৈয়দ আব্দুস সাত্তার ও মাতা সৈয়দা রওশনারা সাত্তার। পিতা ছিলেন একজন সরকারি চাকরিজীবী এবং মা গৃহিণী। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। শিক্ষাজীবন: স্কুল কলেজ পাবনাতেই। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কেটেছে ঢাকায়। চারুকলায় ‘ড্রয়িং এন্ড পেইন্টিংয়ে স্নাতকোত্তর। কর্মজীবন: বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চলাকালীন প্রিন্ট...
Read More
স্বর্ণলতা
স্বর্ণলতা মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আজ বিয়ে করলাম। বিকাল তিনটায়। আমার আর লতার ইচ্ছে ছিল কটকটে রোদের দিনে বিয়ে করব। আজ কটকটে রোদ ছিল। প্রকৃতি ইদানীং সুযোগ পেলেই বিরূপ আচরণ করছে। যেমন ডিসেম্বর মাসে কড়া রোদ। মার্চ মাসে কম্বলটানা শীত। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে সাদা মেঘ আর নীল আকাশে রোদের লুকোচুরি, যেন শরৎকাল। আজ শ্রাবণের আকাশ ছিল শরতের মতো নীল, সাদা আর ঝকঝকে। হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকলে ‘ঢাকার নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ’ শিরোনামে কলাম লিখতেন প্রথম আলোয়। জীবনানন্দ লিখতেন ‘অভাগিনীর...
Read More
উলাট সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদ্রাসা
উলাট সিদ্দিকীয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্যতম সুপ্রাচীন ইসলামী বিদ্যাপীঠ। ১৯১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মাদ্রাসা পাবনা জেলার শুরুর দিকের প্রতিষ্ঠিত একটি বিদ্যানিকেতন। এক নজরে উলাট সিদ্দিকিয়া ফাযিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা: • ধরন : আধা-সরকারি • স্থাপিত : ১৯১৫ • অধ্যক্ষ : মোঃ মতিউর রহমান (ভারপ্রাপ্ত) • শিক্ষার্থী : ৫০০+ • ঠিকানা : গ্রাম-উলাট, উপজেলা-সুজানগর, জেলা-পাবনা •...
Read More
স্বপ্নহীন
স্বপ্নহীন ফজলুল হক নিভে যাওয়ার অভিলাষে কেনো মিথ্যে প্রদীপ জ্বালো, সরে আসার ফাঁদ পেতে কেনোইবা অলীক গল্পের পাণ্ডুলিপি লিখো? এ কেমন মিছে অভিনয়! জীবনের ভাষাগুলো পরিষ্কার দুর্লভ স্মৃতির মতো, বিষণ্নতায় ছেয়ে গেছে ভালোবাসার অনুরঁজন, স্বপ্নের রশি টেনে ক্লান্তপ্রায় ফেলে আসা দীঘল সময়। ঘুমহীন ঘুমচোখ স্বপ্নহীন রাত স্মৃতির বাসর ভেঙে ডুবে গেলো অভিমানী নীল চাঁদ, কে কখন শূন্যতায় ডুবে যায় নেই যেনো কারো তার দায়ভার। এ আঁধার যদি কেটে যায় রুপালি আলোর...
Read More
কত শত বিল
কত শত বিল মযলুম মুসাফির ব্যস্ত শহরে কঠোর কহরে যদি বসি নিরজনে গাজনা বিলের যত আছে মাঠ ভেসে ওঠে আঁখি কোণে। কালিদহে কোন কালি দেখি নাই দেখেছি বানের পানি, হাতিগাড়ার ঐ হাতি ইতিহাস কতটুকু বল জানি? বাঁশতালুকেতে আগাছা বোঝাই বাঁশ নাই সেথা কোন, পদ্মবিলের পদ্মের কথা দাদার মুখেই শোন। জেলেপথে আজ ধান ও পেঁয়াজ মাছ ধরে নাকো জেলে, মনের কোনায় সুখ খুঁজে পাই আজও সেথায় গেলে। মুন্সিডাঙ্গিতে কত খেলিয়াছি গরু খেতো মাঠে চড়ে, হইচই...
Read More
জীবনের উপহাস (শেষ পর্ব)
জীবনের উপহাস (শেষ পর্ব) রাতুল হাসান জয় আজ কেন যেন এতদিন পর চিঠিটা পড়ে ভেতরে ভেতরে এক রকম মরে যাচ্ছি। বুকের ভেতরটা ভিজে উঠছে একদম। আমার হাত কাঁপছে। হাতে থাকা চিঠিটার ওপর কখন যে চোখ বেয়ে কিছু হাহাকার গড়িয়ে পড়ে ভিজে গেছে চিঠিটা, টেরই পাইনি। চাকরির বাজারের এই দূর্মূল্যের দিনে একটা বেসরকারি চাকরি জুটেছিল। কোম্পানির দূর্নীতির ফলে লসের খাতায় নাম লিখিয়ে কোম্পানি ছাটাই করে আমার কতো অনেক চাকুরের। এরপর সহজে চাকরি জোটে না। সরকারি...
Read More
বিল গাজনার মাঠে
বিল গাজনার মাঠে জাহাঙ্গীর পানু আমি দেখেছি কত রং বিল গাজনার মাঠে যেখানে কৃষকের স্বপ্ন হাতছানি দিয়ে ডাকে। দেখেছি সোনালী ধানক্ষেত দিগন্তে জোড়া পেঁয়াজের কচি দানার আঁটি স্বযত্নে মোড়া। সবুজ ধানক্ষেতে কৃষকের স্বপ্নের লুকোচুরি পাটের কচি পাতায় হাসে বসিয়া মুখোমুখি। পাটের নিড়ানি দিয়ে রাখে স্রষ্টার পানে হাত শক্ত কাণ্ডের উপর দাড়িয়ে অদুর ভবিষ্যৎ। মনে পড়ে শৈশব কৈশরের কত রকম স্মৃতি সারি সারি বসে থাকা পেঁয়াজ রোপনের ছবি। পানি সেচে শুকিয়ে কোপায় জমি...
Read More
আহমেদ তফিজ উদ্দিন
আহমেদ তফিজ উদ্দিন (১৯২৯-১৯৯৮) ছিলেন সাবেক প্রাদেশিক পরিষদ ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য, মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের সংগঠক এবং সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক। জন্ম: আহমেদ তফিজ উদ্দিন ১৯২৯ সালে, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাবাড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: পিতার নাম আব্দুল শুকুর মণ্ডল এবং মাতার নাম ভায়না খাতুন। তিনি বাবা মায়ের বেশ আদরের সন্তান ছিলেন। বাবা মায়ের আদর্শে তিনি বড় হতে থাকেন। স্ত্রী ফিরোজা বেগম (মৃত্যু: ২০২৩ খ্রি.) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান...
Read More
ফেরা হয় যদি আবার, ভেতরবাড়ীর মাঠ, অথচ মানুষ
ফেরা হয় যদি আবার পূর্ণিমা হক ফেরা হয় যদি ছেলেবেলায় আবার ঘাসফুল হয়ে রবো বুনোলতার ছায়; মাথার উপরে শরতের চাঁদ হিল্লোলিত সারাক্ষণ নিঃশঙ্ক হাওয়ায় ভেজা রাত, পত্রপুটে রেখে দেবো মায়ার শরাব। ফেরা হয় যদি আবার ধুলোমাখা মলিন বসনে- কুড়াবো বকুল,পলাশ, শিমুল কোচাভরা পাকা পাকা কুল, রাঙাবো আলতা পায়ে, পরে নেব কলাপাতা নূপুর। ফেরা হয় যদি পেছনের তামাটে জীবন ভুলে কাটবো সাঁতার শাপলাফোটা বিলে স্মৃতিকুড়ানী হবো, ঘুরে ঘুরে চেনা প্রান্তরে গাইবো দুঃখ ভোলানিয়া গান কোকিলের...
Read More