-
শফিক নহোরের ‘কসুর’ গল্পগ্রন্থের রিভিউ
শফিক নহোরের ‘কসুর’ গল্পগ্রন্থের রিভিউ আলতাব হোসেন শফিক নহোরের ‘কসুর’ গল্পগ্রন্থে বর্তমান সমাজের নৈতিকতা, সম্পর্কের দ্বন্দ্ব ও মানুষের অন্তর্দ্বন্দ্বকে সুনিপণভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই গ্রন্থটি মোট ১৭টি গল্পের সমাহার, যার প্রতিটি গল্পই আলাদা রকমের চিন্তা ও অনুভূতির প্রতিফলন ঘটায়। লেখক নিখুঁতভাবে প্রতিটি চরিত্রের মধ্যে যে অন্তর্দ্বন্দ্ব ও মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা রয়েছে, তা তুলে ধরেছেন। গল্পগুলোতে মূলত মানুষের ভুল ও অপরাধের বিশ্লেষণ করা হয়েছে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানান রূপে প্রতিফলিত হয়। এই গ্রন্থের গল্পগুলো সাধারণ মানুষের জীবন থেকে নেওয়া, যেখানে সামাজিক নৈতিকতা এবং ব্যক্তিগত দ্বিধা-বোধের মুখোমুখি হতে হয় প্রতিটি চরিত্রকে। প্রত্যেক গল্পে কিছু সাধারণ মানুষকে কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে,…
-
নারীর অধিকার রক্ষায় একধাপ অগ্রগতি
নারীর অধিকার রক্ষায় একধাপ অগ্রগতি তাহমিনা খাতুন ‘বাবার পরিচয় নেই, বন্ধ হলো মেয়ের লেখাপড়া’ শিরোনামে ২০০৭ সালের ২৮ মার্চ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২৪ জানুয়া্রি ২০২৩ প্রথম আলোসহ দেশের অনেকগুলো দৈনিকের মাধ্যমে জানা গেল শিক্ষাক্ষেত্রে নারী ও শিশুর আইনগত অধিকার বিষয়ে বাংলাদেশের মহামান্য হাইকোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। শিক্ষাক্ষেত্রে ফর্ম পূরণের সময় শুধু বাবা নয়, লেখা যাবে মা ও আইনগত অভিভাবকের নাম। দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেনটি ছিল এরকম- শিক্ষাক্ষেত্রের বিভিন্ন স্তরে ব্যবহৃত সব ফর্মে অভিভাবকের ঘরে বাবা মা অথবা আইনগত অভিভাবক শব্দ বাধ্যতামূলকভাবে যুক্ত করতে হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন। প্রথম আলোর প্রতিবেদনটি…
-
একটি বহুল কাঙ্ক্ষিত আইনী সংশোধনী
একটি বহুল কাঙ্ক্ষিত আইনী সংশোধনী তাহমিনা খাতুন গত ৩ নভেম্বর ২০২২ জাতীয় সংসদে ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধারা অবলুপ্ত করে সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশোধনীটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সাক্ষ্য আইনের এই ধারাটি ধর্ষণের মত ভয়ংকর অপরাধের বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অনেক নারীকেই নিরুৎসাহিত করতো। বৃটিশ ঔপনিবেশিক আমলে করা বিদ্যমান আইনটি ছিল নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর। কারণ এই আইনের ১৫৫(৪) ধারায় বলা আছে, “কোন ব্যক্তি যখন ধর্ষণ কিংবা শ্লীলতা হানির চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত হন, তখন দেখানো যেতে পারে যে, অভিযোগকারী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রা।” বিদ্যমান আইনটি ছিল চরম মানবাধিকার বিরোধী, নারীর প্রতি অবমাননাকর এবং বৈষম্যমূলক। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫১ বছরেরও বেশী সময়…
-
সমকালীন পাঠ প্রতিক্রিয়া
সমকালীন পাঠ প্রতিক্রিয়া তাহমিনা খাতুন ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ প্রথম আলো সহ বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি দৈনিকে প্রকাশিত ব্যতিক্রম ধর্মী একটি খবর অনেকেরই বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। খবরের শিরোনামটি ছিল এ রকম, ১০১টি প্রিয় বই দেনমোহরে বিয়ে করলেন নিখিল সান্ত্বনা। খবরটিতে উল্লেখ ছিল, ‘বিয়েতে দেনমোহর টাকা বা স্বর্নালংকার নয়, প্রেমিকা চেয়েছেন তার প্রিয় ১০১টি বই।’ প্রেমিক কবি নিখিল নওশাদ ও তার প্রেমিকা সান্ত্বনা খাতুনের ধরিয়ে দেওয়া ১০১টি বইয়ের মধ্যে ৭০টি বই সংগ্রহ করতে পেরেছেন! শুক্রবার সন্ধ্যায় সেই ১০টি বই নগদ হিসেবে এবং বাকি ৯১ টি বই বাকি হিসাবে দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে এই প্রেমিক যুগলের।’ এরই ধারাবাহিকতায় গত…