-
দহন, রোমস্থন, প্রকৃত কান্নার স্মৃতি, গমন ও গন্তব্য
দহন রিঙকু অনিমিখ অপেক্ষার পরিধি ভেঙে সে যখন মগ্ন হলো মন্ত্রে মুগ্ধতা তখন নিমেষেই ছড়ালো প্রতিবেশ মুগ্ধতাই যে নীরবতার প্রতিরূপ তার প্রচল প্রথা ভেঙে সে আরো একবার চূড়ায় দাঁড়ালো ধমনীর ভেতর যে লোহিত স্রোত তাকে বলি আগুনের নদী চোখ বেয়ে নামে যে উদ্গীরিত লাভা—লাভাস্রোত হৃদপুর থেকে আসে বিপরীতগামী পথ পথের শেষে নোনতা জ্বরের উপগ্রাম আরও পড়ুন কবি রিঙকু অনিমিখের কবিতা- দ্বিধা শোকবার্তা রোমস্থন যে প্রেমিক তার প্রেয়সীর মুখে ছড়াতো আগুনের হল্কা, সে আর কিছু নয় ঢেউয়ের ফেনা থেকে কুড়িয়ে আনা নাবিকের দীর্ঘশ্বাস। ঢেউয়ে ঢেউয়ে হাতছানি— দূরের সমুদ্র ডাকে—আয়! যেতে যেতে ক্লান্ত অভিযান; মরীচিকা সাঁতরায় সৈকতে দাঁড়িয়ে যাকে সমুদ্রের হাহাকার…
-
দ্বিধা, অপেক্ষা, ঘ্রাণ, গন্তব্য
দ্বিধা রিঙকু অনিমিখ এতো যে দ্বিধা কেন তবে রুমালে গেঁথেছো লাল সূর্য— নীলের নেপথ্যে সুইয়ের ডুব-সাঁতার—নিপুণ হাতের ঢেউ ঢেউয়ের চাতুর্য—কী এক রহস্য আঁকো অবিরত ! রুমালে রক্তের বিভ্রম। যতবার গেঁথেছো ফুটো বুকের পাজরে নীল বিন্দু; এতো যে বেদনার ভার নীরবে লুকিয়ে—কার দ্বিধা ভেঙে কামিজের ভাঁজে সাজাও গোপন উত্তাপ! আরও পড়ুন কবি রিঙকু অনিমিখের কবিতা- প্রচ্ছন্ন কুয়াশার দিন বটগাছ নিরবে বাড়ে অপেক্ষা মেঘের উৎস তবে নদী ধরা যাক, নীলিমার চোখে জল মেঘের শরীর থেকে উড়ে গেলো অন্ধকার এবং হিম হিম আর্দ্রতা নদীর আরশিতে কম্পন – ক্রমাগত নরম ত্রিশূল… বিদ্ধ জমাট ত্রিশূলে জল আজ জলকেলি জলের উঠোনে ফুলে ফেঁপে একাকার…
-
শোকবার্তা, নগর সংস্করণ, আলোর বর্জ্যে মুদ্রিত সন্ধ্যা, বটগাছ নিরবে বাড়ে
শোকবার্তা রিঙকু অনিমিখ বিষাদের দ্বি-প্রহর; এ জাগতিক পূর্ণ সূর্য অর্জুনের দীক্ষা ভেঙে পূরণ করেছো ফাঁকি ভরেছো কলার ভাঁড়ার। ও আরাধ্যজন— স্বারাধনায় করেছো জয় তপ্ত সিংহাসন বাতাসের নম্রতা নিয়ে অনুকম্পা মেঘ পুজোর ভাষ্যে করে গুণকীর্তন—বজ্র-সংলাপে পরম আনুগত্যে, স্তুতিবাক্যে হাসে স্মিতা বিষাদ ছড়াও তুমি বিষাদের পিতা…. হেমন্তভোরে রৌদ্রের পায়ে পায়ে ঘাসের ডগায় মৃত্যুর মতো শোক জমা হয়; প্রতিটি ঘাসের চূড়ায় জ্বলে ওঠে একটি দুটি অসংখ্য চিতা বিষাদ ছড়াও তুমি বিষাদের পিতা….. আরও পড়ুন কবি রিঙকু অনিমিখের কবিতা- ত্রিমোহনী অপেক্ষা নগরসংস্করণ পোড়া মাংসের ঘ্রাণ জানিয়ে দিচ্ছে শ্মশানের নিকটতর খবর শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে এ সংক্রান্ত গুঞ্জন তবু…
-
প্রচ্ছন্ন কুয়াশার দিন, ত্রিমোহনী, আমাদের ছোট নদী, পতঙ্গ, সহজ সমীকরণ
প্রচ্ছন্ন কুয়াশার দিন রিঙকু অনিমিখ সমুদ্রের দুঃখ তুমি কী আর বুঝবে যখন তার সমস্ত শরীরজুড়ে অশ্রুর স্বাদ! সমুদ্রের দুঃখ বুঝতে হলে আপাদমস্তক নেমে যেতে হয় তার সমস্ত জলে যদি নামো যদি তুলে ধরো খোলা চোখ অবারিত জলে তবে তুমিও লবণে প্রতারিত জেনে রেখো তোমারই চোখের অজুহাতে সমুদ্র কাঁদে আরও পড়ুন কবি রিঙকু অনিমিখের কবিতা- শোকবার্তা দ্বিধা ত্রিমোহনী বাংলাদেশ লাল টিপটি পরার আগে কিছুটা সবুজ মেখে নিও, আজকের সূর্য না হয় উঠলো তোমার কপালেই মুক্তিযুদ্ধ ন্যুনতম মানুষের খুনতম প্রতিবাদ টিয়া বাঙলাদেশের উড়ন্ত পতাকা আমাদের ছোট নদী আমাদের ছোট নদীগুলো বড় বড় ব্রিজের নীচে লুকিয়ে থাকে বালু ফোটে, বালু…