-
মরা নদী, শ্রেষ্ঠ মানুষ, শিক্ষা গুরু
মরা নদী মো. হাতেম আলী ফেলে আসা স্মৃতিগুলো মরূঝড়ে এলোমেলো নিমিষে হারিয়ে গেলো ভালোবাসার ঘর। তুমিহীনা এ জীবন বাকহীন সারাক্ষণ অনুভবে এ-ভূবন ধু-ধু বালুচর। এক ডালে দুটি ফুল বাতাসে খেলেছি দোল হাসি-গল্পে মশগুল থাকতাম দু’জনাতে। কি এমন ছিল ভুল যার লাগি ভাঙে কুল ভেবে হই বিহ্বল জেগে নিশী রাতে। পাষাণে বাঁন্ধিয়া হিয়া গেলি বন্ধু পর করিয়া কাঁন্দি বসে তোর লাগিয়া বিষন্ন বদনে। করি আমি এই মিনতি কিঞ্চিৎ সময় থাকে যদি দেখে যেও ভরা নদী শুকাইছে যৌবনে…! আরও পড়ুন মো: হাতেম আলীর কবিতা- পাশ্চাত্য শিক্ষা সুশিক্ষার অভাব মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব শ্রেষ্ঠ মানুষ উঁইপোকা তুই ভালোই ছিলি মাটির ডিবিতে…
-
শূন্যতা, সাধ ছিল মা
শূন্যতা মো. হাতেম আলী স্বপ্ন দেখেছি কাছে ডেকেছি ঘর বেঁধেছি,সখি তোর সনে; ওগো রূপসী ভালো বেসেছি ছবি এঁকেছি,বসে নির্জনে। ফোঁটা কাননে মোরা দু’জনে সুখালাপনে,কাটিতো দিন ; বিনি কারণে সখি এ মনে কি যে দহনে,করিলি লীন। ঐ দু’চোখে কিনা কি দেখে তুই আমাকে,করিলি পর ; আজও বুঝিনি ওগো অভিমানি কেন যে হইলি, স্বার্থপর..? তুই বিহনে ভেজা নয়নে তুষিত মনে,বসে যে রই ; স্মৃতির পাতায় কত যে কথা মনেরই ব্যথা,কারে বা কই। বল না দেখি তুই ও সখি দিয়ে যে ফাঁকি,ভাঙলি ঘর ; বুকে হাত রেখে বল আমাকে আছিস কী সুখে,করে তুই পর। যদি কোনদিন হয় গো মলিন বাজে বিষ বীণ,…
-
ভালো থাকিস মা, ডিজিটাল শিক্ষা, কাগজের ফুল
ভালো থাকিস মা মো. হাতেম আলী ভালো থাকিস মা রে তুই, ভালো থাকিস মা তোর অবর্তমানে কিছুই ভালো লাগে না ভালো থাকিস মা উপরে- ভালো থাকিস মা… তোর উদরে দশ মাস দশ দিন করছিলি ধারণ কত কী যে খাওয়া মা তোর ছিল রে বারণ। মাগো আমায় ভালো রাখবি বলে- নিজের কথা ভাবলি না…। জন্মের পরে পিতৃহারা হলাম মা যখন আদরে সোহাগে আমায় করিলি যতন। পিতার অভাব কোন দিনই- বুঝতে দিসনি মা …। দু’বছর হল তুই ছেড়েছিস ভুবন বুঝেছি মা তুই বিনে মোর কেউ নয় আপন। এখন তোর কথা মনে হলে- ঘরে রইতে পারি না…। আরও পড়ুন মো: হাতেম আলীর…
-
একুশ মানেই স্বাধীনতা, অচিন পাখি, আত্মবিলাপ
একুশ মানেই স্বাধীনতা মো. হাতেম আলী একুশ মানে বাঁচার ভিত বীর বাঙালীর অহংকার। একুশ মানে স্বপ্ন বুনন পথ দেখালো স্বাধীনতার। একুশ মানে শিশুর মুখে প্রথম শোনা মিষ্টি ভাষা। একুশ মানে ভায়ের রক্তে বন্দী প্রাণে মুক্তির আশা। একুশ মানে শিশুর মনে গল্প-ছবির বর্ণমালা। একুশ মানে ফাগুন মাসের আগুন ঝরা বরণডালা। একুশ মানে তাজা প্রাণের রক্ত রাঙা রাজপথ। একুশ মানে মনের চেতনা সত্য ন্যায়ের দীপ্ত রথ। একুশ মানে হার না মানা শহীদ স্মৃতির দৃশ্যপট। একুশ মানে মায়ের ভাষায় বলতে স্বাধীন মতামত। আরও পড়ুন মো: হাতেম আলীর কবিতা- স্বর্গসুখ কাগজের ফুল সাধ ছিল মা আত্মবিলাপ স্বার্থের পৃথিবীতে দলবল নিয়ে সাথে ঘুরতেছি…
-
স্বর্গসুখ, নীড়হারা এ হৃদয়, শহুরে ছোঁয়া
স্বর্গসুখ মো. হাতেম আলী সাধ জাগে মা দেখবো তোকে ধারের কাছে পাই না খুঁজে ; ও তুই থাকতি মাগো যে ঘরখানায় সে ঘরখানা ফাঁকাই আছে। মাগো তোকে ছাড়া একা একা আঁধার ঘরে যায় না থাকা- আমি অন্ধকারে রাত-দুপুরে চমকে উঠি ঘুমের মাঝে। তাইতো দুঃখে সারা রাত্রি কাটে পোড়া চোখে ঘুম না আসে….।। আমার বদনখানি অশ্রুধারায় সিক্ত হয় মা তুই না থাকায় ; আমি দূঃখের নদী সাঁতরে ফিরি দরদী কেউ নেই মা হেথায়। এই বুকে খরস্রোতা নদী বইছে মাগো নিরবধি – আমার চতুর্দিকে থৈ থৈ পানি তবুও কেন প্রাণ না জুরায়। মা তুই সর্ব রোগের মহা-ঔষধ স্বর্গ-সুখ যে তোরই ছোঁয়ায়…।…
-
কাবাব পোড়া মানচিত্র, স্বরূপ চেনা দায়, পাশ্চাত্য শিক্ষা
কাবাব পোড়া মানচিত্র মো. হাতেম আলী খেয়েছিল চুষে বৃটিশেরা এসে বাংলা মায়ের বুক ; পাক শাসকে তিন দশকে কেড়ে নিয়েছিল সুখ। যেদিকে তাকাই বিচিত্র-চিত্র কাবাব পোড়া মানচিত্র- দাগায়ে কামান ফিরে পেলাম প্রাণ প্রিয় মুল্লুক; আশা এ বুকে বাংলা মাকে দেবো না কখনও দুখ…। ওগো জননী দিতে পারিনি স্বাধীনতার পূর্ণতা; তোর ঐ বুকে মরছে যে ধুঁকে পদ্মা নদী খরস্রোতা। নেই আজ আর পাক-হানাদার তবু কেন বুকে ব্যথার পাহাড়? চোর দালালে খায় মা খুবলে তোর ঘরবাড়ি ভিটা; সোনা ফলা দেশ সবই হল শেষ জ্বলন্ত অগ্নি-চিতা…। আরও পড়ুন মো: হাতেম আলীর কবিতা- একমুঠো রৌদ্র আমার জন্মভূমি মানবতার ছায়াতলে স্বরূপ চেনা দায়…
-
মানবতার ছায়াতলে, মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব, সুখ-সরোবর
মানবতার ছায়াতলে মো. হাতেম আলী ফেলিস নে মা- চোখের জল আর মুছে ফেল আঁখি দুটি, তোর দু’চোখের লোনা জলে ভরেছে সাগর-নদী; সংস্কারের নাম বেঁচে খাচ্ছে ওরা ঘাড়ে বসে মরছি তার দহন বিষে! এখন না মা তাড়াই যদি, দুঃশাসন ও পাপের ঘোড়া ছুটবে মরূৎ-বোম ভেদী । তোর আশিষে- জাগবে ওমা লাগলে ছোঁয়া দুষ্টু ছেলে, বিপদ-গামী হয়ে যারা গিয়েছে মা তোকে ভুলে ; শপথ মা তোর চরণ ছুঁয়ে শোষণ-পীড়ন,দহন জ্বালা চিরতরে দেবো ধুয়ে। ঐ দ্যাখো মা চোখ মেলে, দাগতে কামান আসছে ধেয়ে মুক্তিকামী তোর ছেলে..।। সাম্প্রদায়িক বিভেদ ভুলে- আয়রে নবীন দলে দলে মানবতার ছায়াতলে, ঝাণ্ডা হাতে বুক ফুলিয়ে আয়রে তোরা মশাল…
-
সুশিক্ষার অভাব, ন্যায়ের যুদ্ধ, আমার জন্মভূমি
সুশিক্ষার অভাব মো: হাতেম আলী জীবন নামক ঘর সংসারে ধরে যদি ভাঙন, পর হয়ে যায় রক্তের ভাই ছিন্ন করে বাঁধন। গরু-বাছুর ছাগল-ভেড়া বসত ভিটা ঘর , ভাগ করে নেয় ধন সম্পদ আসবাব ফার্নিচার। বাবা-মা’ও আজ ভাগের পণ্য ভিন্ন পরস্পর , মা থাকে এক ছেলের ঘরে বাবায় অন্যত্তর। ভাই দেখে না ভাইয়ের মুখ আচার অনুষ্ঠানে , বোনের বাড়ী বোন যায় না মৃত্যু সংবাদ শুনে। সামাজিকতা হারিয়ে গেছে অসভ্য ছোঁয়ায় কুশিক্ষার প্রভাবেই সমাজ তাইতো হচ্ছে ক্ষয়। শিক্ষা শুধুই জ্ঞানচর্চা নয় শিক্ষা হল আলো, সুশিক্ষার পরশ পাথরেই আলোর প্রদীপ জ্বালো। আরও পড়ুন মো: হাতেম আলীর কবিতা- পাশ্চাত্য শিক্ষা নতুন কুঁড়ি সুখ-সরোবর …
-
পান পেয়ালা শূন্য, নৈতিকতা প্রশ্নবিদ্ধ
পান পেয়ালা শূন্য মো. হাতেম আলী উজান চরে বসত করে নদী পাড়ের ভৃত্য নেই যে তাদের বসত বাড়ি নেই যে আহার নিত্য ; চারপাশে’তে থৈ থৈ পানি কানে ভাসে কলকল ধ্বনি- নদী পাড়ে আচড়ে পড়ে শ্রাবN মেঘের দৈত্য বাঁচার আশায় টঙের মাচায় বাস করে অগত্য…। ভাটির গাঁয়ে যাচ্ছে মাঝি পাল তুলে নৌকায় ছলাৎ ছলাৎ ঢেউয়ের তালে সুরের মূর্ছনায় ; ব্যস্ত মাঝি বৈঠা হাতে যাত্রী নামায় ঘাটে ঘাটে- এপাড় ভাঙে ওপাড় গড়ে কালের ইশারায় কুল খুঁজে পায় জীবন নদী ভাটির মোহনায়…। বনের পাখি বনেই মানায় সুখ সে কি পায় অন্য সাগর ভরা জল তবু তার পান পেয়ালা শূন্য ; সুখ…
-
আলো আঁধার, আলোর যাত্রী
আলো আঁধার মো. হাতেম আলী আলোর বিপরীতে ছায়া যেমন চলে আলোর সাথে, ছায়ার বিপরীত আলো তেমন হারায় আঁধার রাতে। মুখোশের আড়ালে দানবের মেলা আলো-আঁধারে লুকোচুরি খেলা- লোভে পাপে মন হয়েছে দূষণ স্বার্থের অভিঘাতে, মিষ্টি কথায় রাঙিয়ে এ হৃদয় ছুরি চালায় পিঠে! দীক্ষার আলোয় দীক্ষিত হও বিকশিত কর জ্ঞান, আঁধার ঘরেতেও জ্বলবে প্রদীপ আলোকিত হলে মন। শিক্ষা যদি হয় মানব কল্যাণে বদলে যাবে এই জীবনের মানে- এসো হে নবীন মানবতার তরে জ্ঞান করি আহরণ, গড়তে হবে আঁধার তাড়ায়ে আলোকিত ভূবন…। আরও পড়ুন মো: হাতেম আলীর কবিতা- একুশ মানেই স্বাধীনতা ভালো থাকিস মা শূন্যতা আলোর যাত্রী অভূক্তপ্রাণ- মরছে ধুকে, বন্দীদশা…