-
স্বপ্ন ও স্বাধীনতা, অস্পৃশ্য স্বপ্ন, বাংলার কৃষক
স্বপ্ন ও স্বাধীনতা জাহাঙ্গীর পানু আমার স্বপ্ন দেখা স্বাধীনতাকে ঘিরে অবারিত দিগন্ত জোড়া সবুজ ধানক্ষেতে মৃদু হাওয়ায় দোল খাওয়া পাখির কলকাকলীতে কেটে যায় ভোর স্রোতস্বিনী পদ্মার কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে দেখা ঢেউ বয়ে যাওয়া ফাগুনের গাছের ডালে গজানো কচি পাতার নিঃশব্দে বেড়ে ওঠা, আনন্দে উদ্বেলিত বিকেলের সবুজ প্রান্তরে শিশু কিশোরের ছোটাছুটি, সকালে পূব আকাশে সোনালী রঙে উদিত হওয়া রুপালী রবি। পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় ঝলমলে শ্রাবণের কুমারী নদী। আমার স্বপ্ন বুনন স্বাধীনতাকে নিয়ে ইচ্ছের স্বপ্নেরা যেন থমকে না যায় পথহারা পাখিদের ভিড়ে, মানবিক মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য জীবন যাবে না অন্যের পানে চেয়ে। নারীর সম্ভ্রম যেন না যায় অন্যের লালায়িত জিঘাংসা…
-
স্বাধীনতার সাধ, আমার যতো ভালবাসার ঋণ
স্বাধীনতার সাধ জাহাঙ্গীর পানু ফুলের সাথে পাখীর সাথে করবো আমি প্রীতি নদীর মাঝির ভাটিয়ালি সুরে শুনবো আমি গীতি। চাঁদনী রাতে জোস্না মেখে তারার পানে চেয়ে রহস্য ঘেরা সপ্ত আকাশ দেখবো অবাক হয়ে। সবুজে ঘেরা বনভূমিতে নানান পশুর মেলা বন বাদারে তাদের সাথে করবো আমি খেলা। নদীর বুকে ভাসবো আমি বানিয়ে কাঠের ভেলা। পাতাল পুরি দেখবো সেথা করবো না আর হেলা। মেঘ হয়ে ভাসবো আমি নীল আকাশের পানে পাখির চোখে দেখবো আমি বিশ্ব জগৎ টাকে। পাখির বেশে আকাশ পানে উড়বো সবার আগে ইচ্ছে মতো স্বাধীনতার সাধ যে মনে জাগে। আমার যতো ভালবাসার ঋণ বার…
-
তুমি যদি চাও
তুমি যদি চাও জাহাঙ্গীর পানু হরিণ নয়না আঁখি তোমার আর মেঘবরণ চুল স্বচ্ছ কালো দীঘির জলের ফোটা পদ্ম ফুল, মেঘবরণ কালো কেশে দিয়ে রাঙা বুনোফুল কর্ণে তোমার শোভা পাবে ঘাসফুলের দুল। যদি চাও, গভীর রাতে নির্জন দ্বীপে প্রদীপ হাতে যাবো ঝিনুক কুড়ে মুক্তো এনে তোমার হাতে দিবো, রঙধনুর সাত রঙের মালা গলায় পড়াবো আকাশ থেকে তারা এনে কপাল সাজাবো। যদি চাও অথৈ সাগর পাড়ি দিয়ে বাণিজ্যিতে যাবো হিরা-মানিক জহরতের গহনা এনে দেবো কৃঞ্চচূড়ার রঙে তোমার হাতটি রাঙাবো চন্দ্র হতে জোছনা চেয়ে তোমাকে দিবো। তুমি চাইলে, নিশাচর পাখি হয়ে তোমার পানে রবো প্রভাত ফেরীর পাখি হয়ে ঘুম ভাঙাবো, হেমন্তের সোনাঝরা…
-
শিকড়ের আঘাত
শিকড়ের আঘাত জাহাঙ্গীর পানু জীবনের বন্ধুর পথে নিরন্তর হেটে চলা মসৃণ কুসুমাস্তীর্ণ পথ খুঁজে পাইনি কখনো, জীবন চলার প্রতিটি বাঁকে প্রতিবন্ধকতা ঠেলে ; দ্বিধাহীন চিত্তে সম্মুখ পানে ছুটে চলার আপ্রাণ চেষ্টা। ক্ষুরধার পরিবার, সমাজের তীর্যক বাণী আর সহযোগিতার উদার হস্তের বৈপরীত্যে পশ্চাতে টেনে ধরার অসহিষ্ণু সমাজের সহজাত প্রবৃত্তিকে দু’পায়ে মাড়িয়ে সম্মুখপ্রকোষ্ঠে এগিয়ে চলা। এ যেন শিকারীর তীরের আঘাতে, আহত পাখির বেঁচে থাকার অভিপ্রায়ে ডানা ঝাঁপটিয়ে উড়ে যাওয়ার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা। মম গহীন হৃদয়ের আপ্লূত কান্নার নিঃশব্দের প্রতিটি অনুভূতিকে করেছি জীবন পরিক্রমার এক একটি উপদেশময় স্তবক। আপন শিকড়ের আঘাতে জর্জরিত ব্যথিত অন্তরের বেদনা ক্লিষ্ট কষ্টকে বানিয়েছি রত্ন শোভিত তরণী ; যেথায়…
-
অর্থবহ অধর
অর্থবহ অধর জাহাঙ্গীর পানু এইতো সেদিনের কথা এখনও কোন খেয়ালে মনে পড়ে ঢের কর্দমাক্ত পিচ্ছিল পথে বাহু ধরে হাটাহাটি পাশাপাশি বসেছিলাম বটবৃক্ষের তলে হঠাৎ নিতম্বে ছুয়েছিল আমার হাতখানি ঝিরিঝিরি মৃদু হাওয়ায় দুলছিল এলোমেলো চুল পরস্পর ছিলাম আমরা খুবই কাছাকাছি উষ্ণ হয়েছিল দুজনের নিঃশ্বাস ঘনকালো চুলের গোছা সরিয়ে মুখখানি চোখের ভাষায় দেখেছিলাম ভালোবাসার ছবি। আজও মনে পড়ে তোমাকে অলস বিকেলে পাখির কলকাকলীতে চারপাশে নিঃস্তব্ধতা ভাঙে কিন্তু আমার হৃদয়ের অবসন্নতা হয় না দূর। গভীর নিশিতে ঘুম ভেঙ্গে অনুভব করি হৃদয়ের গহীনে লুক্কায়িত ক্ষতচিহ্ন। শুকনো ঝরা পাতার মর্মর শব্দে এখনো শুনি সেই মায়াভরা হারানো কণ্ঠের করুণ সূর চোখের জলে ভেসে ওঠে তোমার…
-
নতুন প্রাণের সন্ধানে
নতুন প্রাণের সন্ধানে জাহাঙ্গীর পানু এসো হে নবীন প্রজন্ম এসো দেশ মাতৃকার ভালোবাসার টানে এসো দূর্নীতির বিষবৃক্ষ উপরে ফেলি তাকিয়ে নতুন দিনের পানে। আজি এ মাতৃভূমির মায়াভরা মাটি সেতো আমাদের সোনার চেয়েও খাঁটি আগাছায় ভরে গেছে এ রক্তমাখা জনপদ শকুনের কালো দৃষ্টি পড়েছে মানচিত্রে দ্বিধাহীন চলছে সবাই লাল সূর্যের রক্তেগড়া লালসবুজের পতাকা পদতলে মাড়িয়ে অনুর্বর হয়ে গেছে আজ অবহেলায় অযত্নে ফলাই নতুন ফসল শ্রমলদ্ধ গানে। আজি এ প্রভাতের নতুন সূর্য আর তারাদের সাথী করে, তারুণ্যের জয়গান গাহি মোরা নতুন প্রাণের সন্ধানে। আরও পড়ুন কবিতা আলো আঁধার ইউনিয়ন মানিকহাট ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজে
-
শব্দহীন যাত্রা, হৃদয়ের জোছনা, বিষ
শব্দহীন যাত্রা জাহাঙ্গীর পানু একটা ক্ষণ চাই, শুভক্ষণ। যদিও আমি ক্ষণজন্মা মানুষ নই। তবুও আমি বারবার খুঁজে ফিরি আপন পথ। আমি জোস্নার একরাশ নীলাভ আলোয়; নিজেকে খুঁজে ফিরি। আমি আমাবস্যার তিমির অন্ধকারেও দেখি নিজের স্বত্ত্বা। পথহারা পথিক আমি, আমি বরষায় বাদল মুখর রজনীতে মিলাতে চাই; আমার গানের রাগিনী। কিন্তু, আমার আজন্ম লালিত অধরা স্বপ্ন ; স্বপ্নই রয়ে গেল। হৃদয়ের জোছনা যখন – কবিতার খাতা খুলি উষ্ণ আবেশে ভরে যায় মন বিষাদের পথ ভুলি। তারপর- তৃতীয়া তিথীর আবছায়াতে থমকে যায় উচ্ছল পৃথিবী, তখন- হৃদয়ের জোছনার মলিন আলোয় নিঃশব্দে পথ চলি। বিষ জোছনা মাখা গভীর রাতে শূন্য চোখে আপন…
-
নিঃসঙ্গতা
নিঃসঙ্গতা জাহাঙ্গীর পানু তোমাকে তুমি বলার অধিকারটি দাওনি কখনও আচমকা কোন এক মধ্য রাতে তোমার দরজায় কড়া নেড়ে ডেকেছিলুম তুমি বলে নিবিড় একনিষ্ঠ চিত্তে তাকিয়েছিলে অনেকক্ষণ রাগ না অভিমান বুঝতে পারিনি সেদিন তারপর থেকে একটু আধটু করে তুমি বলা শুরু আসলে উদ্ধত যৌবনের দিনগুলোতে সমবয়সী কোন রমণীকে তুমি বলার মধ্যে মনের ভিতরে অসম্ভব ভাললাগা কাজ করে সেটা বর্ণাতীত ব্যাপার। তারপর কেটে গেছে অনেকদিন স্বপ্নের মায়াজাল বোনা বেদনাতীত দিনগুলো কল্পনায় ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বহুদূর পৌরাণিক চরিত্রের কাল্পনিক নায়কের মতো সুবিশাল প্রশস্ত দুবাহু ছড়িয়ে ডেকেছি উন্মুক্ত বক্ষে জড়িয়ে নিয়েছি মৌমিতার সুগন্ধি তোমার শরীরের সোঁদা গন্ধে হারিয়ে গিয়েছি ক্ষণকালের জন্য। এমন সুগন্ধ পৃথিবীতে…
-
প্রার্থনা
প্রার্থনা জাহাঙ্গীর পানু হে মহীয়ান হে গরিয়ান, দিয়েছ তুমি মোদের সর্বশ্রেষ্ঠের সম্মান। সৃজিলে তুমি মোদের শূন্য এ ভবে রক্ত মাংস পিণ্ড দ্বারা শুরু মাতৃগর্ভে। পাপ পঙ্কিলতায় ভরা মোদের ভুবন তোমার অনুগ্রহ ছাড়া বৃথা এ জীবন। হে অতিশয় ক্ষমাশীল, হে পরম দয়ালু বিতাড়িত ফেরেশতা হতে দূরে রাখিও। বিশাল এ বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের মিছে মায়া হতে, অর্থলোলুপ দৃষ্টি ভঙ্গি মুছে দাও এ মন থেকে। তুমি দাতা তুমিই ত্রাতা সর্বেসর্বা ক্ষমতা তোমার, ভুলেও যেন না করি কোনো কিছুতেই কাউকে তোমার অংশীদার। হিংসা বিদ্বেষ অহংকার হৃদয়ে যেনো কখনো হয় না ঠাঁই, তোমার দয়া আশীর্বাদ ক্ষমা মোরা সর্বদা যেন পাই। পৃথিবী একটি পরীক্ষাগার পাঠক্রম তোমার…
-
নিঃসঙ্গ ভাবনা, স্বপ্নভঙ্গ, মায়া, তৃপ্ত মন
নিঃসঙ্গ ভাবনা জাহাঙ্গীর পানু ভাবনাগুলো আজকে সবে অঙ্কুরিত হয়েছে হৃদয়ের মনিকোঠায় আসন পেতে বসবে নাকি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকবে আমন্ত্রণের জন্য। নিজেকে বড্ড বেশি একাকিত্ব মনে হয়। স্বপ্নভঙ্গ অবারিত মন আমার উন্মুখ হয়ে চায়। ভোরে ফোটা স্বপ্নগুলো সাঁঝেই ঝরে যায়।। মায়া নিঃস্তদ্ধ আমি চেয়ে থাকি শূন্য গগন পানে একদিন যাবো চলে এ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে। রেখে যাবো সব স্মৃতিমধুর দিনগুলো প্রিয়জনদের ঘ্রাণে। তৃপ্ত মন জোছনা ভরা গভীর রাতে স্বচ্ছ কালো দীঘির জলে জলকেলি আর পুণ্য স্নানে আমরা দুজন দাঁড়িয়ে শানে।। অবগাহনের চুম্বক টানে শরৎরাণীর হৃদয় প্রাণে। পূর্ণ হলো মন বাসনা ধন্য হৃদয় তৃপ্ত কায়া।। আরও পড়ুন কবিতা-…






























