-
কৃতি ব্যক্তিবর্গ, পৌরসভা, ভবানীপুর (পৌরসভা), মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধে সুজানগর, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাদের কথা
শহিদ ইব্রাহিম মোস্তফা কামাল দুলাল
শহিদ ইব্রাহিম মোস্তফা কামাল দুলাল ও সুজানগরের মুক্তিযুদ্ধ মো. মনসুর আলী ১৯৭১ সালে বাংলার আপামর জনসাধারণ দেশমাতৃকার মুক্তির লক্ষ্যে জীবন-পণ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল। মুক্তিপাগল বাঙালি সেদিন নিজ জীবনের চেয়ে মাতৃভূমির স্বাধীনতাকে অধিকতর মূল্যবান ভেবে কামান-ট্যাংক-মর্টার-মেশিনগানে সুসজ্জিত পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসরদেরকে দেশপ্রেমের অস্ত্র দিয়ে মোকাবেলা করে বাঙালির চির আরাধ্য স্বাধীনতার সূর্যকে ছিনিয়ে এনে বিশ্বের বুকে প্রথম বাঙালিদের একটি নিজস্ব স্বাধীন রাষ্ট্র ‘বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিল। মুক্তির নেশায় বেসামাল ত্রিশ লক্ষ বাঙালির রক্ত-স্রোতে ভেসে স্বাধীনতার সোনালি সূর্যটি বাঙালির দুয়ারে এসেছিল। তাদেরই একজন আমাদের সুজানগর উপজেলার অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ…
-
আহম্মদপুর, কৃতি ব্যক্তিবর্গ, তাঁতিবন্ধ, দুলাই, নাজিরগঞ্জ, ভায়না, মানিকহাট, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, রানিনগর, সাগরকান্দি, সাতবাড়িয়া, হাটখালি
সুজানগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা
সুজানগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা: পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার পৌরসভা এবং ইউনিয়নভিত্তিক গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা: সুজানগর পৌরসভার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা: শহিদ আ. আউয়াল শহিদ ইব্রাহিম মোস্তফা কামাল দুলাল মো. তোফাজ্জল হোসেন (যুদ্ধাহত ) মো. শাহজাহান আলী মন্টু (যুদ্ধাহত ) শ্রী সুনিল কুমার সাহা মো. আব্দুস ছামাদ মো. আব্দুল হাই মো. আব্দুল কাদের মো. আব্দুল হামিদ মো. সুলতান মাহমুদ মো. আবুল কালাম আজাদ মো. মসলেম উদ্দিন মো. মোজাম্মেল হক চুন্নু মৃত আকবর আলী মো. আববাস আলী আব্দুল বাতেন শ্রী পরেশ চন্দ্র সাহা লিয়াকত আলী খন্দকার আবুল কালাম মো. সেলিম বদর মৃত হাবিবুর রহমান মো. ইয়াছিন উদ্দিন মো. আ. গণি মো. মনসুর রহমান…
-
সাইদ মো. আহসান হাবিব
সাইদ মো. আহসান হাবিব : একজন বীর যোদ্ধার কথকতা ◊ কৃষ্ণ ভৌমিক মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী উত্তরাঞ্চলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনসভায়, হালকা পাতলা ঝাকরা চুলের যে যুবকের বক্তৃতা জনতার মনে ঝড় তুলতো, তিনি আর কেউ নন ভাগ্যবিড়ম্বিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান হাবিব। পুরো নাম সাইদ মো. আহসান হাবিব। সাধারণ মানুষের কাছে পাগলা হাবিব বলেই বেশি সমাদৃত। তিনি নিজ যোগ্যতায় তৎকালীন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নজর কাড়েন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আহসান হাবিবকে অত্যন্ত আদরের সাথে বুকে টেনে নেন। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২৬শে ফেব্রুয়ারি নগরবাড়ি বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ উদবোধনীতে লাখো জনতার সমাবেশে, আহসান হাবিবের বক্তব্য শুনে আবেগ আপ্লুত বঙ্গবন্ধু তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর…
-
উপজেলার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধে সুজানগর, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাদের কথা, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, সাতবাড়িয়া, সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ইতিহাস ও ঐতিহ্য
সাতবাড়িয়া গণহত্যা
সাতবাড়িয়া গণহত্যা সাতবাড়িয়া গণহত্যা পাবনার জেলার প্রথম গণহত্যা। নিহতের সংখ্যার দিক থেকে এটি পাবনার দ্বিতীয় বৃহত্তম গণহত্যা। ১৯৭১ সালের ১২ মে, পাকিস্তান হানাদার বাহিনী পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামবাসীর ওপর নির্মম হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ ও লুটপাট চালায়। স্বাধীনতার পর থেকে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও গ্রামবাসীরা ১২ মে দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। আক্রমণের কারণ: সাতবাড়িয়া এলাকাটি পদ্মা নদীর তীরবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় পাবনা ও রাজবাড়ি জেলা শহরের অসংখ্য মানুষ সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিল। এমন সংবাদ সেনা ক্যাম্পে দেওয়া হলে পাবনা থেকে বিপুল পরিমাণ পাকিস্তানি সৈন্যরা সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের প্রায় চৌদ্দটি গ্রামে অভিযান চালায়। বিভিন্ন সূত্র…
-
বীর প্রতীক আজিজুর রহমান
বীর প্রতীক আজিজুর রহমান (মৃত্যু: ১৯৯০ খ্রি.) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। সুজানগর উপজেলার মধ্যে তিনিই একমাত্র খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। জন্ম: বীর প্রতীক আজিজুর রহমানের পৈতৃক বাড়ি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের বোনকোলা গ্রামে। পারিবারিক জীবন: পিতার নাম আবদুল আলী মোল্লা এবং মায়ের নাম জাগিরননেছা। স্ত্রী লুৎফা বেগম। তাদের তিন মেয়ে ও পাঁচ ছেলে। কর্মজীবন: আজিজুর রহমান চাকরি করতেন ইপিআরে। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে কর্মরত ছিলেন দিনাজপুর সেক্টরের ৯ নম্বর উইংয়ে (বর্তমানে ব্যাটালিয়ন)। তখন তাঁর পদবি ছিল হাবিলদার। প্রতিরোধযুদ্ধে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আরও পড়ুন বীর মুক্তিযোদ্ধা…
-
বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন সন্টু
বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন সন্টু ছিলেন পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়া) আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য, জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। পাবনায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন সন্টু। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বৈরী পরিস্থিতির মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ছাত্রজীবনে। ১৯৭১ সালে ২৮ ও ২৯ মার্চ পাবনায় প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নেন। ১০ এপ্রিল পর্যন্ত নগরবাড়ি ঘাটে অবস্থান করে প্রতিরোধ যুদ্ধ করেন। এরপর ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহন করে ৭ নং সেক্টরের অধীনে যুক্ত হন। সীমান্ত এলাকায় একাধিক যুদ্ধে অংশগ্রহণ শেষে পাবনার এফএফ কমান্ডার নিযুক্ত হন। পাবনায় ঐতিহাসিক শানিরদিয়াড় যুদ্ধ, সুজানগর থানা আক্রমণসহ অনেকগুলো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি মহান…
-
বিমল কুণ্ডু
বিমল কুণ্ডু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। কবি, সাহিত্যিক ও গবেষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। জন্ম: বিমল কুণ্ডু ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ই সেপ্টেম্বর পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত মানিকহাট ইউনিয়নের রাইপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: পিতা স্বর্গীয় জগবন্ধু ও মা অনিলা কুণ্ডুর সাত সন্তানের কনিষ্ঠ সন্তান তিনি। স্ত্রী গৃহলক্ষ্মী। ব্যক্তিজীবনে দুই পুত্রের জনক। শিক্ষা জীবন: বিমল কুণ্ডু গ্রামের স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে এইচএসসি এবং ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়…
-
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ বুলবুল
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ বুলবুল বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ বুলবুল পাবনায় মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শহিদ মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর প্রকৃত নাম জি এম শামসুল আলম বুলবুল। এমন নামে পরিচিতি খুব কম মানুষের কাছে জানা। যদি বলা হয় পাবনার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহিদ বুলবুল কলেজ যার নামে তিনি সেই বুলবুল। তাহলে সেই শহিদ বুলবুলের পরিচিতি লক্ষ কোটি মানুষের মাঝে। যদি বলা হয় কে সেই বুলবুল? কোন যুদ্ধে কেমন করে তিনি শহিদ হয়েছিলেন। কোথায় তাঁর বাড়ি, কি তাঁর পরিচয়? আমার ধারণা এমন প্রশ্নের উত্তর খুব কম মানুষ দিতে পারবেন । পাবনা শহরের বুকে গড়ে ওঠা পঞ্চাশ বছরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি শহিদ বুলবুল কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী কিংবা…
-
কমরেড প্রসাদ রায়
কমরেড প্রসাদ রায় (১৯২৮-১৯৯৬ খ্রি.) ছিলেন একজন ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। জন্ম: ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক প্রসাদ রায় ১৯২৮ সালের ৫ আগস্ট, পাবনার প্রতাপ ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস সুজানগর উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের তাঁতীবন্দ গ্রামে। পারিবারিক জীবন: বাবা প্রফুল্ল চন্দ্র রায় এবং মা শবসনা রায়। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে প্রসাদ রায় ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। কমরেড প্রসাদ রায়ের বড় ৪ ভাই যথাক্রমে প্রবীর রায়, প্রদীপ রায়, প্রণব রায় এবং প্রণিত রায়। স্ত্রী মীরা রায়। মেয়ে বৃত্বা রায় দীপা এবং ছেলে অঞ্জন রায়। শিক্ষা জীবন: প্রসাদ রায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে ১৯৪২ সালে পাবনার রাধানগর মজুমদার একাডেমীতে ভর্তি হন। অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন ১৯৪৫…
-
কামাল লোহানীর বিপ্লবমন্ত্রের প্রথম পাঠশালা
কামাল লোহানীর বিপ্লবমন্ত্রের প্রথম পাঠশালা ড. এম আবদুল আলীম ০১.বাংলাদেশের উত্তর জনপদের এক ঐতিহ্যবাহী জেলা পাবনা। এ জেলার মানুষ ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতির নানা গৌরব বুকে ধারণ করে আছে। পাল রাজত্বকালের শেষভাগে বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটিতে আছড়ে পড়া কৈবর্ত বিদ্রোহে এখানকার মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলো। মুসলিম শাসনামলে পাঠান-মোগল সেনাদের ছাউনি ছিলো এই মাটিতে। ইংরেজ আমলে এখানে সংঘটিত হয় সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, কৃষক বিদ্রোহ, স্বদেশি আন্দোলনসহ নানা সংগ্রাম। ব্রিটিশদের বিতাড়িত করতে পাবনার মেয়েরা পর্যন্ত অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলো! বিপ্লবী চারু মজুমদার বিপ্লবের প্রথম পাঠ গ্রহণ করেছিলেন পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে। পরবর্তীকালে ভাষা-আন্দোলন, স্বাধিকার-সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধে এ মাটির সন্তানেরা বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছেন। একাত্তরের পঁচিশে মার্চ অপারেশন সার্চলাইট…