-
কাসিমুল উলুম মাদ্রাসা এতিমখানা
কাসিমুল উলুম মাদ্রাসা এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়নের সাগরকান্দি গ্রামে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সাগরকান্দি মাদ্রাসা ও এতিমখানা নামে পরিচিতি লাভ করে। এটি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত যার নিবন্ধন নং ৬৭২। এক নজরে কাসিমুল উলুম মাদ্রাসা এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং- •ধরন: জনগণের অর্থে পরিচালিত। •স্থাপিত: ২০০০ ইং •তত্ত্বাবধায়ক: শায়খুল হাদিস মুফতি মঞ্জুরুল আলম ও বিশিষ্ট মুহাদ্দিস মুফতি শরিফুল ইসলাম। •প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক: মাওলানা কাজী নাজমুল হুদা •শিক্ষার্থী: আবাসিক ও অনাবাসিক ৪০০+ •ঠিকানা: সাগরকান্দি (সুলতান গেট), সুজানগর, পাবনা। •ভাষা: বাংলা, আরবি, ইংরেজি, উর্দু ও ফারসি। অবস্থান: পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়নের সাগরকান্দি গ্রামে কাসিমুল উলুম…
-
রাধারমণ মন্দির
রাধারমণ মন্দির পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়নের সাগরকান্দি গ্রামে ১৯০৫ সালে অনাদি কৃষ্ণ দত্ত প্রতিষ্ঠা করেন রাধারমণ মন্দির। অনাদি কৃষ্ণ দত্ত সাগরকান্দি গ্রামের জমিদার সুরেন্দ্রনাথ দত্তের ভাই ছিলেন। অনাদি কৃষ্ণ দত্ত মূলত ধর্মীয় দিকে মনযোগী ছিলেন। তিনি জমিদারী বুঝতেন না। তিনি ধর্মীয় রীতিনীতিতেই মগ্ন থাকতেন বলে জানা যায়। ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করার জন্য এই রাধারমণ মন্দিরটি তিনি স্থাপন করেছিলেন। জমিদার বাড়ির আর্থিক সহযোগিতায় মন্দিরটি দ্রুত প্রতিষ্ঠা পায়।জমিদারের আনুকূল্যে মন্দিরটিতে ঝুলনযাত্রা, রাসলীলা, নিত্যপূজা, রাধাকৃষ্ণ, রাধারমণ, জন্মাষ্ঠমী পূজা মহাধুমধামে অনুষ্ঠিত হতো। প্রতিনিয়ত এই মন্দিরটিতে উৎসবের আমেজ লেগেই থাকত। এলাকার হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা এই মন্দিরকে ঘিরে তাদের নিত্যদিনের পূজা-অর্জনা করত।…
-
কে এম আশরাফুল ইসলাম (গল্প), গল্প, তালিমনগর, বালিয়াডাঙ্গি, শ্যামসুন্দরপুর, সাগরকান্দি, সাগরকান্দি ইউনিয়নের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, সাহিত্য
সুরেন বাবু (শেষ পর্ব)
সুরেন বাবু (শেষ পর্ব) কে এম আশরাফুল ইসলাম রেকাত শাহ, বাড়ি সাগরকান্দি ইউনিয়নের পুকুরনিয়া গ্রামে। তিনি কলকাতায় লেখাপড়া করতেন। কথিত আছে তিনি হযরত শাহ মাহতাব উদ্দিনের খাস দোয়া পেয়েছিলেন। তৎকালে রেকাত ইংরেজিতে ৯৯% নম্বর নিয়ে বাংলাখ্যাত ফলাফল করেন। বাবুজি রেকাতের পিতাকে বলেছিলেন, “রেকাত কখনো পাস করতে পারবে না। পাস করলেও টেনেটুনে।” পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলে রেকাতের পিতা বাবুজিকে খবরটি জানানোর জন্য মহাখুশিতে রওয়ানা দিলেন। খুশির জোয়ারে ভাসতে ভাসতে তিনি পথ হারিয়ে অন্য পথে চলে গিয়েছিলেন। পথচারী একজন জিজ্ঞাসা করলেন, -এমন খোশ মেজাজে কোথায় যাচ্ছেন? -বাবুজির দরবারে। -আপনি পথ ভুলে গেছেন বুঝি? রেকাতের পিতার সম্বিৎ ফিরে আসে। এরপর তিনি বাবুজির দরবারে…
-
কে এম আশরাফুল ইসলাম (গল্প), গল্প, জমিদার, তালিমনগর, পুকুরনিয়া, শ্যামসুন্দরপুর, সাগরকান্দি, সাগরকান্দি ইউনিয়নের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, সাহিত্য
সুরেন বাবু (২য় পর্ব)
সুরেন বাবু (২য় পর্ব) কে এম আশরাফুল ইসলাম মাধু পাগল। তাঁর বংশ পরিচয় সঠিকভাবে জানা যায়নি। শ্যামগঞ্জ হাট সংলগ্ন গ্রামের নাম পুকুরনিয়া। প্রবীণ এলাকাবাসীর বিশ্বাস তিনি অন্য এলাকা থেকে সাগরকান্দির পুকুরনিয়া গ্রামে এসে মুসাফিরের ন্যায় মো. আলী আকবরের পিতার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং এখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। যদিও আশ্রয় প্রদানকারী বংশ তাঁকে ঐ বংশের লোক বলেই পরিচয় দেন এবং নিজেদেরকে পরিচিত করাতে ইজ্জত ও গৌরবের বিষয় মনে করেন। বর্ণাঢ্য জীবনের কিংবদন্তি এই মাধু পাগল। সাধু, দরবেশ, সন্ন্যাসির লেবাসে থাকতেন। কখনো ধুতি পাঞ্জাবি, গলায় জপমালা, হাতে চিমটা। কখনো লাল গেরুয়া বসন। তিনি গাজায় আসক্ত ছিলেন। কথিত আছে, বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের…
-
কে এম আশরাফুল ইসলাম (গল্প), গল্প, জমিদার, তালিমনগর, পুকুরনিয়া, শ্যামসুন্দরপুর, সাগরকান্দি, সাগরকান্দি ইউনিয়নের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, সাহিত্য
সুরেন বাবু (১ম পর্ব)
সুরেন বাবু (১ম পর্ব) কে এম আশরাফুল ইসলাম ব্রিটিশ শাসন আমল। পাবনা জেলা ছিল সিরাজগঞ্জ মহকুমার অধীন। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর পাল্টে যায় দৃশ্যপট। প্রশাসনিক সুবিধার্থে রাজনৈতিক মানচিত্রও পাল্টে যায়। এই পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত সাগরকান্দি ইউনিয়ন। ইউনিয়নটি নানা কারণে ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। এখানে যেমন জন্ম নিয়েছে অত্যাচারি জমিদার; বিপরীতে জন্ম নিয়েছেন অনেক ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ। সাগরকান্দি বাজারের উত্তর-পূর্ব কোণ ঘেঁষে রাজবাড়ির আদলে ছিল বাবুজি সুরেন্দ্রনাথ ওরফে সুরেন বাবুর আবাসিক ভবন। প্রাসাদের পিছনে ছিল পুকুর। প্রাসাদ প্রাচীরের বাইরে প্রধান ফটক সংলগ্ন সাগরকান্দি বাজার। কথিত আছে, তখন পদ্মা নদীর কোল ঘেঁষে ছিল এই বাজার। পদ্মা নদীর বিশাল পরিসর…
-
নবজাগরণ পাঠক মেলা (নপম)
সুস্থ ধারার শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সুশিক্ষা চর্চার মাধ্যমে একটি সুশিক্ষিত, আলোকিত সমাজ গঠনে সবার সহযোগিতা প্রদানের নিমিত্ত্বে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ জুন পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়নে নবজাগরণ পাঠক মেলা’র জন্ম। এক নজরে নবজাগরণ পাঠক মেলা- ✪সংক্ষিপ্ত রূপ: নপম। ✪বৈশিষ্ট্য: সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সমাজসেবা ✪মূলক সাহিত্যিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। ✪প্রতিষ্ঠাতা: মো: রেজাউল করিম। ✪প্রতিষ্ঠার কাল: ২০১১ খ্রিস্টাব্দ। ✪মূলমন্ত্র: মানবতা আর সত্যের পক্ষে। পটভূমি: দিনটি ছিলো ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ১২ জুন রবিবার। অত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা রেজাউল করিম শেখ সহপ্রতিষ্ঠাতা মো. আরিফুল ইসলাম, মো. সুরুজ হোসেন, মো. শরিফ খাঁন, মো. রুবেল বিশ্বাস ও মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ বসে ছিলেন সাগরকান্দি রিয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে।…
-
অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন (৩য় পর্ব)
অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন (৩য় পর্ব) ‘হারামণি’ নামকরণ সম্পর্কে একটি ইতিহাস আছে। কলকাতা থেকে প্রকাশিত ’প্রবাসী’ পত্রিকায় গ্রামাঞ্চল থেকে সংগৃহীত লুপ্তপ্রায় লোকগীতি প্রকাশের জন্য একটি বিভাগ রাখা হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বিভাগের নামকরণ করেন ‘হারামণি’। এই বিভাগে লোকগীতি প্রকাশিত হত। মনসুর উদ্দীন তাঁর সংগৃহীত লোকগীতি প্রকাশের জন্য সংকলন গ্রন্থের নাম ‘হারামণি’ এখান থেকেই গ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথের দেওয়া ‘হারামণি’ তাঁর সংকলন গ্রন্থের জন্যে গ্রহণ করেই ক্ষান্ত হননি, তাঁর প্রথম খণ্ড হারামণির জন্যে তাঁকে দিয়ে একটি ভূমিকা লিখিয়ে নিতে সক্ষম হন। এ পর্যন্ত মোট ১১ খণ্ড হারামণি প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশনা: অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন রচিত মোট গ্রন্থসংখ্যা ৪০টি। সংকলন ১. হারামণি। প্রথম খণ্ড। প্রকাশ:…
-
অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন (২য় পর্ব)
অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন (২য় পর্ব) কর্মজীবন: অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে অস্থায়ী স্কুল সাব-ইন্সপেক্টর পদে যোগদান করেন। তিন বছর চাকরি করার পর ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ঢাকা ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (স্কুল শাখা), হাওড়া জেলা স্কুল, চট্টগ্রাম সরকারি ইন্টারমিডিয়েট কলেজ এবং সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজে শিক্ষকতা করেন। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে ছয় মাসের জন্য তিনি ঢাকায় সরকার পরিচালিত মাহে নও মাসিকপত্রের সম্পাদক ছিলেন। ঐ বছরেরই শেষ দিকে সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে লন্ডন যান। সম্মেলনে ‘Bengali Folksong’ নামে একটি প্রবন্ধ পাঠ করে তিনি সকলের প্রশংসা অর্জন করেন। ঐ সম্মেলনে ফোকলোর বিশেষজ্ঞ হিসেবে গণ্য হওয়ায় তাঁকে International Folksongs Council-এর সদস্যপদ প্রদান…
-
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ গোলাম সারোয়ার খান সাধন
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ গোলাম সারোয়ার খান সাধন পাবনার অসীম সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ গোলাম সারোয়ার খান সাধন। পাবনায় শহীদ সাধন নামে সমাধিক পরিচিত। বর্তমান প্রজন্মের কাছে শহীদ সাধন নামটি বেশী পরিচিত হওয়ার কারণ হলো, তাঁর নামে পাবনা শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শহীদ সাধন সংগীত মহাবিদ্যালয়। শহীদ সাধনের নাম পাবনার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সবার উপরে স্থান পেয়েছে। পাবনায় প্রতিষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ দুর্জয় পাবনা’র বুকে শহীদের তালিকায় প্রথম নামটি হলো, শহীদ গোলাম সারোয়ার খান সাধনের নাম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে সেখানে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে শহীদ সাধনের নাম খোদাই করে লিপিবদ্ধ আছে। শহীদ গোলাম সারোয়ার খান সাধন মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে পাবনা শহরে অতি পরিচিত ছিলেন । এই…
-
মাওলানা রইচ উদ্দিন
মাওলানা রইচ উদ্দিন (১৮৯৬-১৯৬৫ খ্রি.) পাবনা জেলার একজন প্রসিদ্ধ আলেম, রাজনীতিবিদ, অনলবর্ষী বক্তা ও লেখক। সুজানগর উপজেলায় তিনিই প্রথম এমএ পাশ করেন। বাংলা, ইংরেজি, আরবি, ফারসি ও সংস্কৃত ভাষায় বিশেষ পারদর্শী ছিলেন এবং সকল ভাষায় অনর্গল বক্তৃতা দিতে পারতেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত মিশুক ও সদালাপী। জন্ম: মাওলানা রইচ উদ্দিন ১৮৯৬ সালে, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত সাগরকান্দি ইউনিয়নের পুকুরনিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতৃ প্রদত্ত নাম রেকাত উদ্দিন। তিনি এই নামেই ছাত্র জীবন অতিবাহিত করেন। পারিবারিক জীবন: পিতা মুন্সী রমজান আলী মিয়া সাগরকান্দি দত্ত জমিদারদের সেরেস্তাঁয় একটি ক্ষুদ্র চাকরি করতেন এবং লাঠি খেলায় সপটু ছিলেন। তিনি বেশ পরিণত বয়সে বিয়ে…