আনন্দ বাগচী (জন্ম: ১৯৩২- মৃত্যু: ২০১২ খ্রি.) ছিলেন একাধারে একজন কবি, গল্পকার, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক ও সম্পাদক।
তিনি ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ১৫ মে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত হাটখালী ইউনিয়নের সাগতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: স্বগতসন্ধ্যা, তেপান্তর, উজ্জ্বল ছুরি নীচে, বিস্মরণ, শ্রেষ্ঠ কবিতা
; কাব্যোপন্যাস: স্বকাল পুরুষ, স্বপ্নের দৌড়; গল্পগ্রন্থ: রাজ যোটক, শ্রেষ্ঠ গল্প; উপন্যাস: চকখড়ি, বিকালের রঙ, রাতের বাসা, প্রথম প্রেম, ছায়ার পাখি, চাঁদ ডুবে গেলে, সকলেই মেয়ে নয়, এই জন্ম অন্য জীবন, ফেরা বা ফেরা; গোয়েন্দা উপন্যাস: যাদুঘর, অদৃশ্য চোখ, গ্রহণের ছায়া, রাতের তীরন্দাজ, অদৃশ্য মৃত্যুর ছক; কিশোর উপন্যাস: কানামাছি, বনের খাঁচায়, মুখোশের মুখ, মৃত্যুর টিকিট, ভূত রহস্য, হিল হাউস রহস্য, ছো, মালয়ের জঙ্গলে, ছেলে ধরা, পরমায়ু; প্রবন্ধগ্রন্থ: সাহিত্যির নানা রকম, সাহিত্য সূত্রে; রম্যগ্রন্থ: নাচের পুতুল, বকলমে, চালচিত্র; নাটক: রূপান্তর, সমাধান; অনুবাদগ্রন্থ: মাদাম বো ভারি-গুস্তভ ফ্লবেয়ার, জন্তা অ্যান্ড কোং; সংকলনগ্রন্থ: প্রথম সাড়া জাগান গল্প, প্রথম সাড়া জাগান কবিতা।
ফেলে আসা আনন্দ বাগচী কিছুই হয়নি বলা, গল্প শেষ হয়ে গেল রোদ্দুরে বৃষ্টিতে গল্পগ্রাম, ইস্টিশান, নদী, সাঁকো, নৌকোর গলুই ধূসর স্মৃতির মধ্যে বিধে থাকল, ক্রমে ক্রমে হলদে হয়ে আসা ফটোর মতন স্থির সাবেক কালের বাড়িখানা, গভীর ঘুমিয়ে আছে কুয়াশায়, কার শীর্ণ শাখাপরা হাত খাটের বাজুতে আড় হয়ে আছে তামাকের প্রৌঢ়গন্ধে ঘর ভরে আছে। সটকার বোলের মত চমকে চমকে ওঠে কবুতর। এখনো উলুর ধ্বনি কান পাতলে, প্রতিমার মত নববধূ দামাল শিশু, বালাবেলা, বাঁশবনে আটকে থাকা চাঁদ পুরনো ব্যথার মত লটকে আছে বুকের ভেতরে । কিছুই হল না বলা, গল্প শেষ হয়ে গেল রোদ্দুরে বৃষ্টিতে। মানুষের ঘরে এখনো রয়েছে কিছু…