হেমন্তের বিকেল, সময়ের দাবি, দুখিনী পাখি
হেমন্তের বিকেল
হেমন্তের পরন্ত বিকেলে আমি পাখনা মিলে উড়ি
সোনালী ধানের ক্ষেতে সোনা মাখা আবেশে
মিষ্টি আলো এসে পড়ে চোখে মৌ মৌ পাকা ধান ছুঁয়ে।
আহা! কি যে শিহরণ জাগে মনেপ্রাণে,
আমি অপার বিস্ময়ে চেয়ে দেখি পুরানোকে নতুন ভেবে।
মৃদু হিল্লোলে দক্ষিণা বাতাস দোল খায় সোনালী ধানের ক্ষেতে।
সোনালী ধানের শীষে বেঁধে রাখি রঙিন শিকল
চারিদিকে বিস্তর সবুজ উপরে একফালি সাদা মেঘ,
আমি মেঘের খোঁপায় উড়িয়ে দেব সোনলী ধানের ছড়া।
স্মৃতির ছায়া পথ ধরে হেঁটে আসা আমাদের সেই গাঁ নওয়াগ্রাম।
যেথায় জড়িয়ে আছে শৈশব, কিশোর, যৌবনের হাজারো স্মৃতি!
আমি এখানে দেখেছি ছয়টি ঋতুর নানা উৎসব;
এখানে দেখেছি স্বপ্নময় নবান্নের সমারোহ,
আমি উদাস হয়ে মুগ্ধ নয়নে চেয়ে দেখি প্রকৃতির এই রুপ।
এই প্রকৃতিই আমারে নিয়েছে আপন করে
তাই বেদনা আমারে করতে পারিনি হতাশ,
আমি এখানের স্মৃতি বুকে নিয়ে কাটিয়ে দিতে পারি অনন্ত বেলা।
আরও পড়ুন জিন্নাত আরা রোজীর কবিতা-
মা
মেয়ের তকমা
দ্বিধা-দ্বন্দ ভুলে
সময়ের দাবি
পাখি হয়ে উড়ে যাও ঐ দূর বনে
পালকে থাক কিছু বেদনার চিহ্ন
মনে থাক ঈশ্বরের দেয়া শক্তি!
আধাঁরে স্থবির করো না সময়ের প্রাপ্তি।
শিল্পীরা আঁকে কতনা রঙের ছবি
তুমি শুধু আঁকোনি আমার ছবি
ফুরিয়ে যাওয়া সময় কি জানে?
বিচ্ছেদের কষ্ট কত না ভয়ংকর ;
মুঠি মুঠি ভালোবাসা উড়িয়ে দিলে,
আধাঁরের গহ্বরে তলিয়ে যায়!
এটাই তার শেষ পরিণতি।
সব কিছুর আদ্যোপান্ত বুঝতে যেও না
ওখানে শুধুই থাকে শুভঙ্করের ফাঁকি,
ইচ্ছে করেছিলাম বেঁচে থাকার,
যদিও সেটা ছিল সময়ের দাবি।
চারিদিকে বহে বিরহী বাতাস
যদি মিলতো মুক্তির আগাম বার্তা
মুক্তির কোন পিছুটান থাকে না।
ওখানে শুধুই থাকে আবেগের যুক্তি।
দুখিনী পাখি
পাখিটি, উড়ে এসেছিল যে নীড়ে
এক চিলতে সুখের আশায়
সেখানে সুখ বলে কিছু নাই
বিনা সুখে ফিরে গেল আবার সেই শাল পিয়ালের বনে,
এটাই ছিল দুখিনী পাখিটির নিয়তি।
তবুও পাখিটি বেঁচে থাকার কারণে হয়তো,
থাকবে বেঁচে একাকী জীবনে।
আরও পড়ুন কবিতা-
নিমন্ত্রণ
প্রেমের পরশ
আত্ম বেদনা
ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
হেমন্তের বিকেল