স্বাধীনতা দিবস, স্বাধীনতা
স্বাধীনতা দিবস
ছাব্বিশ মার্চ স্বাধীনতা দিবস আজ,
বাংলার মানুষ দিনটি উদযাপিবে
কত শত আয়োজন!
উদযাপিতে দিনটি আজিকার,
পড়িবে তাহাদের মনে?
একাত্তরের ছাব্বিশ মার্চ
প্রথম স্বাধীনতা দিবস
শ্যামল বাংলা দেখিয়াছিল
শাসকের সন্ত্রাস।
সন্ত্রাসী শাসকের বাস ছিল,
পশ্চিম পাকিস্তানে,
জানিও তাহারা ছিল,
শত শত মাইল দূরের
অবস্থানে।
আজব এক দেশ ছিল
সেই পাকিস্তান
জন্মের শুরুও তাহার আছিল
বড়ই বেমানান।
ছিল নাকো কোনই মিল
ভাষা অথবা সংস্কৃতির,
শোষণের তরে তাহাদের ছিল
শুধুই ফন্দি ফিকির।
লুঠেরার দল লুটিতে লাগিল
বাংলার সম্পদ,
অভূক্ত রাখিয়া, শিক্ষা না দিয়া,
আমাদেরে তারা রাখিল পশ্চাৎপদ।
সাতই মার্চের বজ্রকণ্ঠ দিল
স্বাধীনতার ডাক,
সে ডাক শুনিয়া বাংলার মানুষ,
হৃদয়ে বাজালো শাঁখ।
তস্কর রুপী শাসকের মনে,
ছিল নাকো কোন মায়া।
বাংলা জুড়িয়া শকুনের দল,
ফেলেছিল অশুভ ছায়া।
ঘন কাল মেঘ ঘনাইল হঠাৎ
জাগাইতে বুকে ত্রাস।
আর্তনাদ আর হাহাকারে ভরিয়াছিল,
সেদিনের নীলাকাশ।
শত শত জনপদ।
কত মায়ের কোল খালি করেছিল,
মনুষ্যরূপী শ্বাপদ।
পিশাচের হাসি হাসিয়াছিল,
ঘৃণ্য হায়েনার দল।
সীমাহীন সে নিষ্ঠুরতা যেন,
পায়নিকো কোন তল।
রক্তগঙ্গা বহাইয়াছিল,
ঘৃণ্য সে পাক সেনা,
বাঙ্গালীর খুনে রাঙা হয়েছিল
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা।
লাখো মা বোনের সন্মান নিয়ে,
খেলেছিল খান সেনা।
বুনো সে খেলার জবাব দিয়েছিল
বাংলার মুক্তি সেনা।
পাক সেনারা ভাবিয়াছিল
বাঙ্গালী ভীরুর জাতি।
দমন করিতে পারিবে তাদেরে,
হয়তো বা রাতারাতি।
তাদের সে ভুল ভাঙ্গিয়া দিল
বাংলার অযুত বিচ্ছু।
মুক্তির তরে জীবন সঁপিল
না ভাবিল কোন কিচ্ছু।
বঙ্গজননীর লাখো সন্তান দিল,
মায়ের ডাকেতে সাড়া।
বাংলা মায়ের সম্মানহানি
হতে দেয় নিকো তারা।
বাঘের গর্জন তুলি,
ঝাঁপাইয়া পড়িল দেশ মাতৃকার তরে,
সে গর্জনে শিয়ালের দল
পলাইল গুহা ছেড়ে।
হার্মাদ দস্যুর দল নিতে চেয়েছিল,
বাংলার সব কেড়ে,
বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা
এসেছিল তাই তেড়ে।
‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে কাঁপিল,
বাংলার চতুর্দিক।
সে ধ্বনি শুনিয়া শত্রু সেনারা
পালালো দিকবিদিক।
আরও পড়ুন কবিতা-
এসেছি স্বাধীনতা সাথে করে
বিষণ্ন বাসন্তী বাংলা
স্বপ্ন ও স্বাধীনতা
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে