স্বর্গসুখ, নীড়হারা এ হৃদয়, শহুরে ছোঁয়া
স্বর্গসুখ
সাধ জাগে মা দেখবো তোকে
ধারের কাছে পাই না খুঁজে ;
ও তুই থাকতি মাগো যে ঘরখানায়
সে ঘরখানা ফাঁকাই আছে।
মাগো তোকে ছাড়া একা একা
আঁধার ঘরে যায় না থাকা-
আমি অন্ধকারে রাত-দুপুরে
চমকে উঠি ঘুমের মাঝে।
তাইতো দুঃখে সারা রাত্রি কাটে
পোড়া চোখে ঘুম না আসে….।।
আমার বদনখানি অশ্রুধারায়
সিক্ত হয় মা তুই না থাকায় ;
আমি দূঃখের নদী সাঁতরে ফিরি
দরদী কেউ নেই মা হেথায়।
এই বুকে খরস্রোতা নদী
বইছে মাগো নিরবধি –
আমার চতুর্দিকে থৈ থৈ পানি
তবুও কেন প্রাণ না জুরায়।
মা তুই সর্ব রোগের মহা-ঔষধ
স্বর্গ-সুখ যে তোরই ছোঁয়ায়…।
আরও পড়ুন মো: হাতেম আলীর কবিতা-
একুশ মানেই স্বাধীনতা
ভালো থাকিস মা
শূন্যতা
নীড়হারা এ হৃদয়
এই তুমি আর নেই তো সেই আগের মত
ভাঙা গড়ার খেলায় বদলে গেছো চিরতরে;
নীড়হারা এ হৃদয়ে কিছু স্মৃতি রয়ে গেছে চুপিসারে।
ঐ দূর নীল আকাশে
মেঘের আড়ালে চাঁদ হাঁসে-
ঝিকিমিকি তারাগুলো মিটিমিটি জ্বলে পাশে
সাদা মেঘের ভেলায় চেপে চলেছি সেই
অচিনপুরে…।
স্মৃতির ঐ জানালায়
দুটি প্রাণ বসে আছি মুখোমুখি দু’জনায় ;
ফেলে আসা কিছু স্মৃতি জেগে ওঠে মোহনায়।
দুরূ দুরূ কাঁপে বুক
চেয়ে থাকি অপলক-
ঝরঝর বৃষ্টির ন্যায় কাঁদে শুধু এ হৃদয়
সাগর যেথা আকাশ ছোঁয় বাঁধ ভাঙা জোৎস্নায়…।
শহুরে ছোঁয়া
কাক ডাকা ভোর বেলা খালি পায়ে হেঁটে চলা
যাদের আমরা করি হেলা
সে হল কৃষক।
গরু-মোষ-ছাগল-ভেড়া হাঁক ছেড়ে করে তাড়া
বাছুর হলে দল ছাড়া
মা’য় দিত ডাক।।
গ্রাম ছেড়ে বহুদূর দু’চোখ যায় যতদূর
সারি সারি বাড়ি-ঘর
ঐ দূর গাঁয়।
রাঙিছে ফসলের মাঠ দুই ধারে ধান পাট
রাস্তার ধারে বসতো হাট
বটের তলায়।।
গাছে গাছে কত পাখি করতো যে ডাকাডাকি
অবাক চোখে চেয়ে থাকি
সকাল সন্ধ্যায়।
নদী চরায় কাশবন বায়ু বহে রে শনশন
ঢেউ খেলেছে সারাক্ষণ
মেঘের ভেলায়।।
মেঘ ভরা আকাশে আড়ালে তার চাঁদ হাসে
ঝিরিঝিরি বাতাসে আজ
শুনি কলরব।
গ্রামের ঐ আবহাওয়ায় লেগেছে শহুরে ছোঁয়া
ইটপোড়া কালো ধোঁয়ায়
হারায়েছি বৈভব।।
আরও পড়ুন কবিতা-
জগা ও পিসি
কবি ও কবিতা
শিকড়ের আঘাত
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
স্বর্গসুখ