সত্যের ভোর কাব্যগ্রন্থ ভাবনা
সত্যের ভোর কাব্যগ্রন্থ ভাবনা
এ কে আজাদ দুলাল
“আমি দূর্ভাগা নতজানু আপাদমস্তক
আমি দেখিনি তোমায় বঙ্গবন্ধু
ইতিহাস মানচিত্রের মহাপুরুষ তুমি
স্বাধীন সার্বভৌমত্বের তুমি মহাপ্রাণ ভূমি। “
তরুণ কবি ফকির শরিফুল হকের সহজ উচ্চারণ “আমার সত্বায় বঙ্গবন্ধু” কবিতায়। নেই কোন দুর্বোধ্যতা। সহজ শব্দে আর উপমায় সাজিয়েছেন প্রতিটি কবিতা। কবিতা যে অণুগল্প হতে পারে “তোমার প্রতিক্ষায়” কবিতাটি পড়লেই পাঠক সহজে তা উপলব্ধি করতে পারবেন।
শহরের চাকচিক্য কবিকে অন্ধ করে রাখতে পারেনি। তার প্রিয় জন্মভূমি গ্রামকে অন্তরে ধারণ করেছেন। বার বার ফিরে গেছেন প্রিয় জন্মস্থানে।
দেশ যখন দুর্নীতিবাজদের খপ্পরে, তখন গভীর বেদনায় উচ্চারণ করেন-
” নৃশংসতায় চারপাশ।”
আরও পড়ুন গল্পগ্রন্থ ‘মায়াকুসুম রিভিউ
“সত্যের ভোর” আলোকিত করেছে তেত্রিশ কবিতায় আর তাতে রয়েছে আলাদা স্বাদ। সমাজে অবক্ষয় আর একশ্রেণি দুর্নীতিবাদের দৌরাত্ম কবিকে বেদনাহত করে। তার বিরুদ্ধে উচ্চারণ করেছেন শাণিতভাবে।
“আমি কি মানুষ” কবিতায় একটু আলাদা আমেজ পাওয়া যায়। সভ্যতা মানুষ পরিবর্তন করতে পারে এবং মানুষ তার কারিগর। কবি সুন্দরের পূজারী। তাই মানুষ হিসেবে কেমন সমাজ কবির কাম্য, তা ফুটে উঠেছে এই কবিতায়।
সমাজ সচেতনতায় তরুণ কবির “আমি বিধবা আমি নার” কবিতায় ওঠে এসেছে গ্রামীণ বিধবা নারীর আর্তনাদ। সমাজ তাকে কতটুকু ঠাঁই দিয়েছে। যার সংসার ছিল, ছিলো সংসার ভরে সুখ-দুঃখের আনন্দের বাতাস। কবি সমবেদনায় তুলে ধরেছেন “আমি বিধবা আমি নারী” কবিতায়।
প্রতিটি কবিতায় রয়েছে আমাদের সামাজিক মূল্যবোধ আর রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অগাধ আস্হা এবং ভালোবাসা।
বিশেষ করে কবি খলিফা আশরাফ ভূমিকায় যথার্থই বলেছেন -কবিতা হচ্ছে কবির আত্মগত চেতনা, উপলদ্বি, চিন্তা,আবেগ,অনুভূতিকে অনুপম শব্দ বিন্যাসে উপমা উৎপ্রেক্ষায় উপস্থাপন।”
সবগুলো কবিতাই উপভোগ্য। আশা করি সুহৃদ পাঠককে মুগ্ধ করবে। কবিতা হোক আমাদের ভালোবাসার জায়গা আর সমৃদ্ধ হোক প্রেমময়ী পৃথিবী।
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
সত্যের ভোর কাব্যগ্রন্থ ভাবনা