কবিতা,  জাহাঙ্গীর পানু,  সাহিত্য

শ্বাশত বাণী, স্রষ্টার লীলাশৈলী, সৌখিন কবি

শ্বাশত বাণী
জাহাঙ্গীর পানু

 

পৃথিবী নিমজ্জিত ছিল আচ্ছন্ন অন্ধকারে।
বিপন্ন মানবতা, কুসংস্কারাচ্ছন্ন মরু প্রান্তর
পাহাড় বেষ্টিত কা’বার চত্বরে বিশৃঙ্খল পরিবেশ
মদ, জুয়া ও নারীর প্রতি আসক্তিতে নৈতিক স্খলন
আন্তঃগোত্রীয় কলহপূর্ণ সামাজিক অবক্ষয়।

আসিল নতুন সুর্য সাথে নিয়ে স্রষ্টার অমিয় বাণী।
পাঠে তার হৃদয় হয় বিহ্বলিত,
সুরের মুর্চ্ছনায় আচ্ছন্ন হয় গোটা সৃষ্টিকুল।
নিবিষ্ট চিত্তে শ্রবণে সমস্ত মানব জাতি পায় আত্মতুষ্টি
পথহারা পাখি ফিরে পায় তার আপন নীড়ের ঠিকানা
বিজ্ঞানীরা গবেষণায় খুঁজে পায় নতুন আবিস্কারের সূত্র
আউলিয়ারা পায় তাঁদের মহান স্রষ্টার সান্নিধ্য।
সাধারণ মানবকূল জীবন যাপনে পায় সহজ সরল পথ
নশ্বর পৃথিবীর কোলাহলপূর্ণ, মিছে মায়া শেষে
যে পথ তাকে নিয়ে যাবে-
মর্তকে অতিক্রম করে চিরসুখের স্বর্গীয় উদ্যানে।
যার পাদদেশে রয়েছে প্রবাহিত নহরসমূহ।

সেই সুর্যালোকের আলোয় আদিষ্ট আজ সমগ্র মহাবিশ্ব
সকল সমস্যার সমাধানে খুঁজে পাবে তুমি নিস্কণ্টক পথ

কল্যাণময় সমাজ জাতি রাষ্ট্র গঠনের চিরস্থায়ী সনদ
সমগ্র মানবজাতির জীবন পরিচালনার শাণিত ধ্বনি
মহান স্রষ্টার আল-কোরআনের সেই শ্বাশত বাণী।

আরও পড়ুন কবি জাহাঙ্গীর পানুর কবিতা-
অন্ধকারের জ্যোতি
বেকারত্ব

 

স্রষ্টার লীলাশৈলী

আমি বন্ধুর পথে হেটেছি অবলীলায়
যেদিকে দু’চোখ যায়,
অবসন্ন শ্রান্ত পথিক যেথায়
পথ হতে তেপান্তরে নিরন্তর হেটে চলে।

আমি দেখেছি সেথায় বিপর্যস্ত মানবতা
মানুষের নৈতিক অবক্ষয়।
সুখ যেথায় দুঃখ সাগরে চিরজনম
পশু ও মানব একই ধারায় আজন্ম অতিবাহিত
বিত্ত বৈভবের ফিরনি পোলাও
অধরা হাতছানি
জীর্ণ শরীর শীর্ণ দেহ, ক্ষুধার্ত হৃদয় নিয়ে
মানবতার বসবাস।

আমি দেখেছি অনক গগণচুম্বী মহী দালানের সারি
তারই এক পাশে বাস করে অনেক ঘরহারা নরনারী
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখি
মহান স্রষ্টার লীলাশৈলী
কেউবা জন্মায় সভ্য সমাজে
কেউ বা বুনো জংলী।

সৌখিন কবি

আপন হৃদয়ের আবেগ অনূভুতিগুলো
খাতায় লিখতে লিখতে দেখি
পৃষ্ঠা ভরে গেছে।
কেটে ছেটে গুছিয়ে একটি
কবিতা হয়ে গেল।
সেই থেকে টুকটাক লিখতে শুরু করলাম
তাইতো আমি আজ সৌখিন কবি।

আরও পড়ুন কবিতা-
হেমন্তের বিকেল
সাদা মন
স্মৃতিছায়া

ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলফেসবুক পেইজে

শ্বাশত বাণী

Facebook Comments Box

কবি জাহাঙ্গীর পানু—এক নিরন্তর পথিক, যাঁর কলম চলে জীবনের বিভিন্ন বাঁকে। তাঁর লেখালেখির কোনো নির্দিষ্ট সীমানা নেই; সময়, প্রাসঙ্গিকতা এবং অন্তরের আকর্ষণই তাঁকে পথ দেখায়। তিনি শব্দের মাঝেই খুঁজে নেন জীবনের গভীরতাকে, যেখানে প্রতিফলিত হয় তাঁর অনুভূতির মগ্নজগৎ। তাঁর সৃষ্টিকর্মে গ্রামীণ জীবনের স্নিগ্ধতা, প্রকৃতির মমতা, আর মানুষের অন্তর্লীন আবেগ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কখনো তাঁর রচনায় দেখা মেলে গ্রামবাংলার উর্বর মাটির টান, কখনোবা সংস্কৃতির রঙিন বৈচিত্র্য। প্রতিটি লেখায় তিনি সময়ের চিহ্ন ধরে জীবনের মায়াজাল বুনে চলেন। তিনি নিয়মিত লিখছেন ‘আমাদের সুজানগর’ ওয়েব ম্যাগাজিনে, যেখানে তাঁর লেখাগুলোর মাধ্যমে পাঠক খুঁজে পান নতুন এক ভাবনার দিগন্ত। তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ “বিষণ্ণতার নীল চাদর” এক অনন্য সংকলন, যেখানে বিষণ্ণতার নীল ছায়ায় ঢাকা জীবনের নানা রূপ, অনুভূতি আর প্রতিফলন মূর্ত হয়ে উঠেছে। ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের উলাট গ্রামে জন্ম নেওয়া কবি জাহাঙ্গীর পানু প্রকৃতির স্নেহছায়ায় বেড়ে ওঠা এক সৃষ্টিশীল কবি। তাঁর লেখায় আজও মেলে সেই মাটির গন্ধ আর শেকড়ের টান।

error: Content is protected !!