শূন্যতা, সাধ ছিল মা
শূন্যতা
স্বপ্ন দেখেছি কাছে ডেকেছি ঘর বেঁধেছি,সখি তোর সনে;
ওগো রূপসী ভালো বেসেছি ছবি এঁকেছি,বসে নির্জনে।
ফোঁটা কাননে মোরা দু’জনে সুখালাপনে,কাটিতো দিন ;
বিনি কারণে সখি এ মনে কি যে দহনে,করিলি লীন।
ঐ দু’চোখে কিনা কি দেখে তুই আমাকে,করিলি পর ;
আজও বুঝিনি ওগো অভিমানি কেন যে হইলি, স্বার্থপর..?
তুই বিহনে ভেজা নয়নে তুষিত মনে,বসে যে রই ;
স্মৃতির পাতায় কত যে কথা মনেরই ব্যথা,কারে বা কই।
বল না দেখি তুই ও সখি দিয়ে যে ফাঁকি,ভাঙলি ঘর ;
বুকে হাত রেখে বল আমাকে আছিস কী সুখে,করে তুই পর।
যদি কোনদিন হয় গো মলিন বাজে বিষ বীণ, ঐ অন্তরে ;
অতীতের কথা ভুলে সব ব্যথা সকল শূন্যতা, দেবো দূর করে।
আরও পড়ুন মো. হাতেম আলীর কবিতা-
কাগজের ফুল
সুখ-সরোবর
কাবাব পোড়া মানচিত্র
সাধ ছিল মা
সাধ ছিল মা মানুষ হব,জ্ঞানী-গুণীর মত
যাঁদের ছোঁয়ায় বদলে যেতো খারাপ গুলো যতো।
সাধ ছিল মা সৈনিক হব,সীমান্তের কাণ্ডারী
লাঠি বন্দুক কাঁধে নিয়ে রক্ষা করবো তোর’ই।
সাধা ছিল মা তোর এই ছেলে হবে, ক্রিকেটার
বিশ্বটাকে কাঁপিয়ে দেবো চার ছক্কায় দুর্বার।
সাধ ছিল মা পেলের মত খেলবো রে,ফুটবল
বিশকাপটা ঘরে আনবো বইবে খুশির ঢল।
তোর এই ছেলে নায়ক হবে,বিশ্ব সিনেমায়
নায়ক রাজ রাজ্জাক যেমন করতো অভিনয়।
সাধ ছিল মা ডাক্তার হব বিশ্ব জোড়া নাম
করবো মাগো মানব সেবা,বাঁচবে দুখী প্রাণ।
সাধ ছিল মা হব একদিন, সঠিক বিচারক
ন্যায় বিচার পাবে মাগো গরীব দুখী লোক।
সাধ ছিল মা আমি হব, বিজ্ঞানী বাংলার
নিত্য নতুন আবিষ্কারে ভরবো তোর ভাণ্ডার।
সাধ ছিল মা চাঁদের দেশে গড়বো নতুন বাড়ি
তোর সাথে মা গল্প করবে, পড়শি চাঁদের বুড়ী।
কতো রকম সাধ ছিল মা তোর ছেলের এ মনে
বিয়ে করে আনবে ঘরে, চাঁদ-কুমারী কনে।
কিন্তু মাগো হায়….!
উত্তর কোণে হঠাৎ যেনো, কালো মেঘ চমকায়।
আঁধার রাতে শিকার পেলে, খায় যেমন হায়েনা
তোর ছেলেকে তেমনি খেলো অবাধ্য দেও-দানা।
মনের সাধ মা মনেই রইল কাঁদিস না মা তুই
লক্ষ সন্তান রইল মাগো ঐ চেয়ে দেখ ঐ।
টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া ঐ দেখ মা চেয়ে
তোর সন্তানের শোকে কাঁদে, বক্ষটা চাপড়িয়ে।
কাঁদিস না মা চক্ষু মুছে,কর তুই, আশীর্বাদ
দেশের লক্ষ সন্তান পূরণ করবে এ অভাগার, সাধ।
আরও পড়ুন কবিতা-
স্বদেশ
মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু নেই
আপন ভূবন
স্বপ্নবাড়ি
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে