শাপলাদিঘির পাড়ে, দু’হাত বাড়িয়ে, তুমি যত উন্নত, রূপকন্যা
শাপলাদিঘির পাড়ে
নীরবে নির্জনে শাপলাদিঘির পাড়ে
এসো বন্ধু দেখা হবে তমাল-তলাতে।
পড়ন্ত বিকেলে, শোভিত পত্র-পল্লবে আসিব
চলতে চলতে পারিনি যা বলতে তাও বলিব
তুমি এলে বসব দুজনে দিঘির চালাতে।
সময় চেয়েছিলে কথা দিতে বলেছিলে খোলা মনে বলিও তুমি
পুষ্পিত পরশে নৈসর্গিক এই স্বর্গে কিছু কথা বলব আমি
কথা হলে দুজনে, জানি বদল হবে মালা গলাতে।
বসন্ত বিলাসে খোলা সমীকরণে বসিব
গল্প-কল্প-সুর আর গানে ভাসিব
এসো বন্ধু তোমার মোহন গান জাগবে গলাতে।
আরও পড়ুন খোন্দকার আমিনুজ্জামানের কবিতা-
ভালোবাসার গ্রাম
হৃদয় ভেঙে যায়
কবি ও কবিতা
দেশের মাটি
দু’হাত বাড়িয়ে
দু’হাত বাড়িয়ে এক পায়ে দাঁড়িয়ে
রয়েছি বন্ধু তোমার ভালোবাসায়।
সকালে-দুপুরে মিষ্টি বিকেলে এই মন শুধু তোমাকে চায়
রাত-বিরাতে, ঘুমের ঘোরে এই মন তোমাকেই পেতে চায়
দু’চোখ ছড়িয়ে অপলক তাকিয়ে রয়েছি বন্ধু তোমার অপেক্ষায়।
সৌরভে-গৌরবে, আনন্দ উৎসবে তোমাকে চাই
দুঃখ-কষ্ট কিংবা দারুণ দৈন্যে যেন তোমাকে পাই।
মেলা থেকে এনেছি তোমার কানের দুল
লাল ফিতায় বাঁধবে তোমার অনন্য কালো চুল
আমি ব্যাকুল হয়ে দেখব, রইলাম সেই প্রতীক্ষায়।
তুমি যত উন্নত
তুমি যত উন্নত
হয়ে যাই তত নত।
তোমার মুখের ঐ মিষ্টিভাষা
হৃদয়ে সৃষ্টি হয় নিবিড় ভালোবাসা
আমি চেয়ে থাকি তাই অবিরত।
শিক্ষা শান্তি প্রগতি
তোমাতে পেয়েছে দারুণ গতি
আমি ভেবে হই চমকিত।
শত শত নত নত
নত নত শত শত ।
স্নেহ আদর-শ্রদ্ধা
এই নিয়ে আছ, আসলে তুমি মহান যোদ্ধা
আমি হয়ে যাই তাই পুলকিত।
রূপকন্যা
রূপপুরের এক রূপের কন্যা আসবে আমার ঘরে
তারই জন্যে মনটা আমার কেমন কেমন করে ।
কন্যার প্রেমে ব্যর্থ হয়ে পণ করেছি আমি
যোগ্য হয়ে আসলে হয়তো পালটে যাবে তুমি
কলেজের সেই স্মৃতি আজ বার বার মনে পড়ে।
অবশেষে কন্যার বাবা প্রস্তাব নিয়ে আসে
রাজি হয় আমার বাবা বিয়ে শ্রাবণ মাসে।
চলে এসো প্রিয় আমায় করো না হেলাফেলা
রাগ-অনুরাগ ফেলে এবার খেলব দারুণ খেলা
প্রেমটা আমার অনেক বড়ো কভু যায়নি ঝরে।
আরও পড়ুন কবিতা-
বিবর্ণ স্বাধীনতা
উদাসী মন
অষ্টাদশী মন
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে