মরুর দুলাল, মরু-ভাস্কর, কবিতার ফুল
মরুর দুলাল
তোমার ছোঁয়ায় ধন্য হলো
তুচ্ছ মাটির ভূমি,
সব মানুষের সেরা মানুষ
মরুর দুলাল তুমি।
মা আমিনার নীড় কুটিরে
আসলে তুমি ভোরে,
তোমায় পেয়ে হাসলো ধরা,
সালাম তোমার তরে।
আঁধার রাতে জ্বাললে আলো,
উজল হলো সব,
মরুর বুকে জাগলো সাড়া,
উঠলো বিজয় রব।
খোদার প্রিয় হাবীব তুমি,
সব নবীর-ই সেরা,
সকল ভালো গুণে তোমার
জীবন-সীরাত গড়া।
সাম্য-মৈত্রী আনলে ধরায়,
বইলো খুশির বান,
নীচ-বড়লোক সবার কাছেই
তুমি তাদের প্রাণ।
মরু-ভাস্কর
মূর্খতার আঁধারে ডুবে ছিলো দুনিয়া,
তুমি এসে জ্বাললে দ্বীনের আলো,
প্রতিটা প্রহর জুড়ে ছিলো ভয়-শংকা,
তোমার পরশে সব বদলে গেলো।
সবখানে মানবতা ছিলো সদা লুণ্ঠিত,
দেখালে সে পথ তুমি- সবাই সমান,
খুলুকে আজীম ছিলো শান তোমার,
কোরান-হাদীসে তা আজও দেদীপ্যমান।
জুলুম শোষণ সব করে নিঃশেষ
শান্তির নীড় তুমি বানালে ভুবন,
ছিলো না যাদের কোন দাম সম্মান,
কাঁপলো তাদের তরে খোদার আসন।
আঁধার কেটে গিয়ে আসুক প্রভাত,
করেছো কামনা তুমি সারাটি জীবন,
দ্বীনের খাতিরে শত যাতনা সয়েও
শত্রুকে সদা তুমি ভেবেছো আপন।
মরু-ভাস্কর তুমি, আলোর প্রদীপ,
তোমার আলোতে হলো উজল জাহান,
নেমে এলো রহমত আকাশ থেকে,
ফিরে পেলো নীচ তার জীবনের মান।
কবিতার ফুল
পাখি যেমন আকাশে উড়ে বেড়ায়,
আমি যদি তেমন উড়তে পারতাম,
তাহলে প্রেমের আবেশে ডানা মেলে
কবিতার ফুল নিয়ে
মদীনায় চলে যেতাম।
মেঘ যেমন বাতাসে ভেসে বেড়ায়,
আমি যদি তেমন ভাসতে পারতাম,
তাহলে বিরহের অবসানে হাওয়ায় ভেসে
রওজায় গিয়ে নবীকে
সালামের হাদিয়া দিতাম।
আমি হতভাগা পড়ে আছি বহুদূর,
নেই তো মদীনায় যাওয়ার সম্বল আমার,
দু’চোখে তাই অশ্রু ঝরে,
ব্যথিত হৃদয় নিয়ে
হতাশার প্রহর গুণে করি পার।
সবুজ গম্বুজ ডাকে আমায় ইশারায়,
অথচ বহুদূরে আমি ধূসরিত পথের ধূলায়,
শুধু বিরহে ছুঁয়ে যাই
সেই কবিতার ফুল,
ফুটেছে যা জেগে থাকা ব্যাকুলতায়।
আরও পড়ুন-
প্রার্থনা
সেজদা
শ্বাশত বাণী
হে মহা মহীয়ান
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে