মরা নদী, শ্রেষ্ঠ মানুষ, শিক্ষা গুরু
মরা নদী
ফেলে আসা স্মৃতিগুলো
মরূঝড়ে এলোমেলো
নিমিষে হারিয়ে গেলো
ভালোবাসার ঘর।
তুমিহীনা এ জীবন
বাকহীন সারাক্ষণ
অনুভবে এ-ভূবন
ধু-ধু বালুচর।
এক ডালে দুটি ফুল
বাতাসে খেলেছি দোল
হাসি-গল্পে মশগুল
থাকতাম দু’জনাতে।
কি এমন ছিল ভুল
যার লাগি ভাঙে কুল
ভেবে হই বিহ্বল
জেগে নিশী রাতে।
পাষাণে বাঁন্ধিয়া হিয়া
গেলি বন্ধু পর করিয়া
কাঁন্দি বসে তোর লাগিয়া
বিষন্ন বদনে।
করি আমি এই মিনতি
কিঞ্চিৎ সময় থাকে যদি
দেখে যেও ভরা নদী
শুকাইছে যৌবনে…!
আরও পড়ুন মো: হাতেম আলীর কবিতা-
পাশ্চাত্য শিক্ষা
সুশিক্ষার অভাব
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব
শ্রেষ্ঠ মানুষ
উঁইপোকা তুই ভালোই ছিলি মাটির ডিবিতে
কেন তবে পাখ গজিয়ে এলি রে মরতে?
ঘরের আসবাব খাম খুঁটি
সবই খেয়ে করলি মাটি-
মরতের প্রাণ বাড়লে বেশি থাকে না যে হুঁশে
আলো ভেবে আগ সেবে সে মরণ নৃত্যে নাচে..!
পাহাড়ি তুই ভালোই ছিলি দূর পাহাড়ের গায়
ঝড়-ঝাপ্টা রোদ-বৃষ্টিতে গাছের’ই ছাঁয়ায়;
নির্বিচারে কেটে গাছ
আনলি ডেকে সর্বনাশ –
পাহাড় কাঁদে,বন কাঁদে রে অঝোরে ঝর্ণায়
পশু-পক্ষি কেঁন্দে খোঁজে নিরাপদ আশ্রয়…!
মানুষ ভবে শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কিন্তু একি হায়!
মোহ-মায়ায়, লোভের থাবায় শ্রেষ্ঠত্ব হারায়;
মানুষ সেরা জ্ঞান বিজ্ঞানে
ছুটছে তবু ধ্বংসের পানে-
উঁইপোকা সে ক্ষুদ্র প্রাণী বিবর্ণ ধারায়
কর্মগুণেই হাজার ভীড়ে মানুষ চেনা যায়…।
শিক্ষা গুরু
অন্ধকার তাড়িয়ে যিনি দেখায় ভবে আলোর পথ
যে আলোতে অন্ধজনের বদলিয়ে দেয় গতিপথ;
যার হাতে হয় শিক্ষা শুরু
তিনি হলেন শিক্ষা গুরু –
বিদ্যা অমূল্য রতন, করলে তায় অপাত্রে দান
কলংকিত করবে সমাজ, কলুষিত করবে মান,
বিদ্যান বিদ্যুষি যে জন, ধর সদা তার চরণ-
পাহাড় ডিঙে চলে সেতো, সত্য ন্যায়ের মনোরথ…।
ধন সম্পদ অর্থ কড়ি, দান করলে কমবে ঠিক
বিদ্যাদানে কমে নারে, যতই বিলাও দিগ্বিদিক;
বিদ্যা শিক্ষায় বাড়ে জ্ঞান
লোক সমাজে বাড়বে মান-
বিদ্যাহীন অন্ধজনে চোখ থাকতেও নাই কিরণ
বৃথাই যে তার জীবন মরণ-বৃথা হল ত্রিভূবন।
জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করতে চতুর্দিক,
শিক্ষা গুরুর ঐ কদমে সদায় মাগি ভিখ….।
ওরে দামাল দেনা সামাল সর্বনাশা পথ
গুরুর পায়ে সপে নে তুই সু-শিক্ষার শপথ…!
ঘুরে আসতে পারেন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
মরা নদী