প্রেমের পরশ, আমার গানের পাখি
প্রেমের পরশ
তোমার প্রেমের পরশ,
আমার বুকে কাঁটা হয়ে ফোঁটে
কখনো তা হয় সরস।
প্রেমের এ কেমন ধারা,
প্রেমের পরশ পেয়েছে যেজন
বাঁচিবে না প্রেম ছাড়া।
ওগো মোর প্রেম বালা,
প্রেম-প্রেম খেলা খেলিও না আর
বাড়িও না প্রেম জ্বালা।
তোমার প্রেম যে আগুন
কখনো বুকে রক্ত ঝরায়
কখনো তা হয় ফাগুন।
জানো না তোমার প্রেমের দহনে
নিশিদিন আমি দহি,
সব জ্বালা আমি বুক পেতে নিয়ে
চুপ করে সবই সহি।
আমার কাব্য রানী,
চুপি চুপি মোর মন্দিরে এসে
শোনাও মধুর বাণী
ওগো প্রেম সুন্দরী,
সব কিছু মোর অবহেলা করে
মনটা করিলে চুরি।
আমার পরাণ পাখি,
তোমার ছাড়া ফুল ফাগুনেও
কত জ্বালা নিয়ে থাকি।
উদাসী বাতাস আসে,
আমার নয়নে ঐ মুখখানা
সব কিছুতেই ভাসে।
কে বলে তুমি নাই?
ছন্দে ও গানে আমার পরাণে
পেয়েছো যে তুমি ঠাঁই
ওগো মোর প্রেম বালা
আমাকে বাঁধিলে প্রেমের বাঁধনে
বুঝিলে না প্রেম জ্বালা।
বুঝলেনা কী প্রেমের আগুন
আসেনিকো বুঝি প্রেমের আগুন,
তোমার যৌবনটায়,
ভাসালাম তরী তোমার নামে
তোমার প্রেমের বায়।
ওগো সুর সুন্দরী,
কোথায় পাবো তোমার দেখা?
পথে পথে তাই ঘুরি।
আমি যে এখানে বসে আছি একা,
কোনোদিনও তুমি করিলে না দেখা,
বল তবে কবে হবে?
হয়তো হবে না তোমার দেখা
বাঁচিয়া থাকিতে ভবে।
এভাবে বল আর কতকাল?
বুনিবো আমি স্বপনের জ্বাল?
হয়তো হবে না শেষ,
পাবো না তোমার ঘনকালো কেশ,
দেখিতে দুইটি চোখে,
শুনিবে তুমি, তোমার প্রেমিক
মরিয়াছে তব শোকে।
সেদিন হয়তো হায়,
আসিবে আমার দখিন দুয়ারে
কাঁদিবে পড়িয়া পায়।
এমনি করিয়া এসে,
রূপাই সাজিয়া গভীর নিশিতে
যেয়ো মোরে ভালোবেসে।
সেই হবে বড় পাওয়া,
তোমার কণ্ঠে কণ্ঠে মিলিয়ে
কাঁদিবে দখিন হাওয়া।
আমার প্রেমের বাতি,
জ্বলিবে না আর কারো পথ চেয়ে
খুঁজিবে না আর সাথী।
আরও পড়ুন কবি পথিক জামানের কবিতা-
মাছ-বিল-পাখি-পদাবলি
কবি ওমর আলী
ভালোবাসা রঙ পাল্টায়
আমার গানের পাখি
আমার গানের পাখি,
আমারে দিয়াছে ফাঁকি
কার বাগিচায় জাগিতেছে নিশি
উঠিতেছে ডাকি ডাকি।
এপারে আমি যে একা,
কতকাল নাই দেখা,
কত নিশিদিন কাটিবে এমন
কোথায়ও তা নাই লেখা।
নিভে গেলো সব আশ
শুধুই দীর্ঘশ্বাস,
এমনি করে কি বহিয়া বেড়াবো?
বছর-দিবস-মাস?
তোমায় ছাড়া আমি,
সকল দিবস যামী,
কী করে কাটাই বুকটা ফাটাই
বেশ ভালো জানে স্বামী।
তোমারে যদি না পাই,
আমার জীবন ছাই,
বুঝিতে পারি তোমার বুকেতে
কোন আপসোস নাই।
তবে কেন এত হাসা?
বুকে দিলে ভালোবাসা
হবে না আমার জীবনের তরে
কেন দিলে এত আশা?
তোমায় পুষি যে খাঁচায়
নিশ্চয়ই কোন আশায়
সেই ক্ষীণ আশা টিকে আছে বলে
এখনো আমারে বাঁচায়।
তুমি বাগানের ফুল,
নও তো পথের ধূল,
তোমার দাবি ছাড়িব না আমি,
ছাড়িব না একচুল।
বুকের গভীরে কে-সে?
গভীর নিশিতে এসে,
দুই গালে মোর চুমো দিয়ে যায়
মধুর মিলন শেষে।
হায়রে গানের পাখি,
আমার তৃষিত আঁখি,
চারিদিকে তোরে কত খোঁজা খোঁজে
তা-তুই জানিস নাকি?
আমার ব্যথার বেদন,
কত শত করে রোদন,
শূন্য হতে শূন্যে ছোটে
স্খলিত তারার মতন।
এ বুকে যে হাহাকার
কে নিবে হিসাব তার?
তুমি বেঁচে থাকো যুগ-যুগ ধরে
বাঁচিতে চাই না আর।
আরও পড়ুন কবিতা-
বাংলার কৃষক
স্বর্গসুখ
দাঁড়িয়ে আছি ভুল দরজায়
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে