প্রজ্বলিত স্মৃতি
প্রজ্বলিত স্মৃতি
আজ এই পড়ন্ত অবেলায়
কৃষ্ণচূড়ার তলায় দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রশ্ন করি
কোথাও কী একটু অবসর ছিল না?
একান্তে নিজেকে জানিবার, বুঝিবার।
এইতো সেদিন –
গোলাপের পাপড়ি আর শিউলি ফুলের মালা হাতে নিয়ে এসে বলেছিল-
“প্রিয়তমেসু, অল্প সময়ের জীবনে আমাদের চাওয়াগুলো অফুরন্ত, নিটোল।
জানি তোমাকে পাব না! কিন্তু আজ এই পড়ন্ত বিকেলে নীলাকাশকে স্বাক্ষী রেখে বলে গেলুম,
তোমাকে জীবনে হারাতেও চাই না
আমি রব নিরবে তোমার শয়নে, স্বপনে,
তোমার হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দনে।”
শাব্দিক কথা শেষ হয়েছিল পুস্পিতার ।
কিন্তু! তার প্রতিটি নিশ্বাসের হা-হুতাশের উচ্চারিত বাক্যগুলো ছিল খুবই স্পষ্ট এবং আত্মবিশ্বাসে ভরপুর।
তার কথার গভীরতা সেদিন বুঝিনি।
কিন্ত আজ এই অপরাহ্নে দাড়িয়ে তার কথার প্রতিটি শব্দমালা আমাকে প্রায়শই প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে।
কোনো এক সন্ধেবেলা কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলেছিল–
“তোমার দুচোখের তারায় আমাকে দেখতে পাবে যখন আমি থাকব না, থাকব দূরে, অনেক দূরে, বহু দূরে।
তখন আমার সান্নিধ্য তোমার কাছে
বড্ড মাধুর্য্যমন্ডিত উপভোগ্য মনে হবে,
রৌদ্রে পোড়া ক্লান্ত পথিক যেমন বটের ছায়াকে উপভোগ করে,
চাতক পাখি যেমন বৃষ্টির পানি দিয়ে তৃষ্ণা মেটায়, ঠিক তেমনই।
তখন আমাকে তুমি কাছে ডাকবে,
কিন্তু পাবে না, এ আমি বলে রাখলুম।
এ আমার চাওয়া নয়,
এ আমার পাওয়া, পরম পাওয়া!”
উত্তাল বসন্তের পরিতৃপ্ত ভরা দগদগে ক্ষতচিহ্নগুলো আজ হয়তোবা জৈষ্ঠ্যের খরতাপে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে
কিন্তু সেদিনের পোড়া ছাইয়ের সোঁদা গন্ধ আজও স্মৃতিতে প্রজ্বলিত।
আরও পড়ুন কবি জাহাঙ্গীর পানুর কবিতা-
একুশ মানে
ঘনঘটা
বেকারত্ব
ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর-এর অফিসিয়াল ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে
প্রজ্বলিত স্মৃতি
Facebook Comments Box