কবিতা,  জিন্নাত আরা রোজী,  সাহিত্য

নীলাম্বরী শাড়ি, সাধ

নীলাম্বরী শাড়ি

জিন্নাত আরা রোজী  

 

দিনটি ছিলো চৌদ্দই আষাঢ়।
কিছু একটা লেখার ভূত চাপলো মাথায় কি লিখবো,
কি লিখবো করে দিন শেষে সন্ধ্যায়:
সবাই তো আর লিখতে পারে না!
তবুও চেষ্টা,
হঠাৎ তাকাই গগনপানে
চেয়ে দেখি নীল আকাশ তো নয়,
নীলাম্বরী শাড়ির আঁচল বিছিয়ে এক রাজকন্যা।
চমকে উঠে থমকে দাঁড়ালাম,
শরীরে জাগলো এক অচেনা শিহরণ ।
কানে ভেসে এলো এক সুমধুর মিষ্টি আওয়াজ।
নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে আবারো গগন পানে চাইলাম,
কই, কোথায় নীলাম্বরী রাজকন্যা?
মনে হয় আগেও কোথায় দেখেছি ওকে
খুব চেনা চেনা মনে হয়
পার্কে, রেস্টুরেন্টে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডোরে।
কি উচ্ছৃল হাসিতে বন্ধুদের সাথে নখ নেড়ে নেড়ে কথা বলে!
নীল শাড়ি, গোলাপী ঠোঁট, খোঁপায় গোঁজা বাহারী
কাঠগোলাপ ফুল ।
আহা! কি আবেদন শাড়িতে, বেহায়া হৃদয়ে বিদ্যুৎ খেলে যায়।
এই বুঝি গোপনে ডাকবে তার চিলোকোঠার মুখে!
নাকি ঐ আকাশেরই রাজকন্যা হয়ে থাকবে?
আচ্ছা, ওকে স্পর্শ করতে পারবো তো?
নাকি চিৎকার করে বলবো, ভালোবাসি তোমাকে!
তুমি পবিত্র, তুমি স্বর্গীয় নীলাম্বরী শাড়িতে
তোমার জন্য অপেক্ষা করবো আমি এক পৃথিবী ভালোবাসা নিয়ে।
তোমার জন্যই আবার আসবে ফিরে চৌদ্দই আষাঢ়!

আরও পড়ুন জিন্নাত আরা রোজীর কবিতা-
তোমরাই সফল
কেন আমাকে জন্ম দিল
সন্ধ্যা নামার আগে

 

সাধ

জীবনের কত না রঙ ধুয়ে মুছে গেছে…
অনাদরে অবহেলায় প্রাপ্ত বেলায়,
তবু বেঁচে থাকা।
সত্যের মুখোমুখি,
তোমাকে ভালোবাসার ছলনায়,
নীল জ্যোৎস্নায়, মায়াকুসুম বনে,
তোমারই হাত দুটি ধরে বসে রবো নির্জন নিরালায়।
দিগন্তের যত সুরেলা আওয়াজ ভিড় জমাবে এই মধুক্ষণে।
হয়তো ভুলে যাবো আগের অপ্রাপ্তির কিছু জমানো ব্যথার ঝুলি,
কৃষ্ণপক্ষের কুশপুত্তলিকা, দাবানলে জ্বলবে নীরবে।
রয়ে যাওয়া দিনগুলি না হয় রঙধনু সাতরঙে রাঙিয়ে দিও।
হৃদয়ের গহীনে তোমারই নাম স্বর্ণাক্ষরে রাখবো খোদাই করে।

আরও পড়ুন কবিতা-
খুঁজি স্বাধীনতা
হায়রে মুঠোফোন
সন্ধ্যা

 

ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলফেসবুক পেইজে

নীলাম্বরী শাড়ি

Facebook Comments Box

প্রকৌশলী আলতাব হোসেন, সাহিত্য-সংস্কৃতি বিকাশ এবং সমাজ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিবেদিত অলাভজনক ও অরাজনৈতিক সংগঠন ‘আমাদের সুজানগর’-এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ‘আমাদের সুজানগর’ ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক। এছাড়া ‘অন্তরের কথা’ লাইভ অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক তিনি। সুজানগর উপজেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, শিক্ষা, মুক্তিযুদ্ধ, কৃতি ব্যক্তিবর্গ ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে ভালোবাসেন। বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করে বর্তমানে একটি স্বনামধন্য ওয়াশিং প্লান্টের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেকশনে কর্মরত আছেন। তিনি ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই জুন পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত হাটখালি ইউনিয়নের সাগতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

error: Content is protected !!