দহন, রোমস্থন, প্রকৃত কান্নার স্মৃতি, গমন ও গন্তব্য
দহন
অপেক্ষার পরিধি ভেঙে সে যখন মগ্ন হলো মন্ত্রে
মুগ্ধতা তখন নিমেষেই ছড়ালো প্রতিবেশ
মুগ্ধতাই যে নীরবতার প্রতিরূপ
তার প্রচল প্রথা ভেঙে
সে আরো একবার চূড়ায় দাঁড়ালো
ধমনীর ভেতর যে লোহিত স্রোত
তাকে বলি আগুনের নদী
চোখ বেয়ে নামে যে উদ্গীরিত লাভা—লাভাস্রোত
হৃদপুর থেকে আসে
বিপরীতগামী পথ
পথের শেষে
নোনতা জ্বরের উপগ্রাম
আরও পড়ুন কবি রিঙকু অনিমিখের কবিতা-
দ্বিধা
শোকবার্তা
রোমস্থন
যে প্রেমিক তার প্রেয়সীর মুখে ছড়াতো
আগুনের হল্কা, সে আর কিছু নয়
ঢেউয়ের ফেনা থেকে কুড়িয়ে আনা
নাবিকের দীর্ঘশ্বাস।
ঢেউয়ে ঢেউয়ে হাতছানি—
দূরের সমুদ্র ডাকে—আয়!
যেতে যেতে ক্লান্ত অভিযান; মরীচিকা সাঁতরায়
সৈকতে দাঁড়িয়ে
যাকে সমুদ্রের হাহাকার বলে মেনেছো
সে-ও তো অবহেলায় অযত্নে ফুঁসে ওঠা
প্রেমিকের বর্ধিত শ্বাস
লবণাক্ত হাওয়া।
প্রকৃত কান্নার স্মৃতি
তোমাদের সংক্ষিপ্ত মেঘ উড়ে এলো
আমাদের বৃহৎ আকাশে;
বৃহত্তম দীর্ঘশ্বাস — যাকে আকাশ বলে জানো
মূলত সে মানুষের হাহাকার।
এখানে ঘাসের পাতায় বিন্দু বিন্দু নদী
প্রকৃত কান্নার স্মৃতি
এখানে জলের প্রান্ত ঘেঁষে নদীর কিনার
সহস্র চোখের লোনা-বালুচর
যে মেঘ উড়ে এলো হাওয়ায়
সমুদ্র তার হিসাব রাখে না,
বেদনার পরিসংখ্যান রাখে না লবণও;
শুধু চেয়ে দেখো, মেঘে মেঘে কী প্রকারে
বৃষ্টি নামে ঝরে পড়ে
লবণের অশ্রু
গমন ও গন্তব্য
আলোয় পুড়ে রাত্রি ছারখার
চারপাশে কয়লা-ছাই—কালি—ঝুলি একাকার
গরাদে গারদের ছায়া
ঘর হতে দুই পা, পায়ে পায়ে দৌঁড়, অদূরে মায়া
মুখশ্রী, মুখে মুখে উন্মুখ
প্রচ্ছদ ঢেকেছে আড়াল, উন্মাদ সুখ
আরও পড়ুন কবিতা-
সাদা মন
স্মৃতিছায়া
হেমন্তের বিকেল
ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে
দহন