তুমি কাঁদিতেছ কেন, অযাচিত অহমিকা
তুমি কাঁদিতেছ কেন?
শীতকালে এমন বৃষ্টি দেখিনি কখনো!
ব্যথিত হৃদয়ে তুমি কাঁদিতেছ কেন?
নেই বৈশাখের ইশান কোণের নিকষ কালো মেঘ
নেই আষাঢ়ের কালো মেঘের ঘনঘটা
তবে কেন তোমার চোখে ঝরছে বারিধারা।
হঠাৎ সঙ্গীহারা কোনো যুবতীর আর্তনাদের মতো
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ নীড়হারা আশ্রয়হীন পাখির মতো
যেমন কাঁদে ব্যর্থ প্রেমিকের বিধ্বস্ত হৃদয় ;
অনেক জমানো কথা না বলার অভিযোগে-
আশাহত পৌষ তুমি কাঁদিতেছ কেন?
নেই নদীর উত্তাল তরঙ্গের প্রথাগত আস্ফালন
নেই শ্রাবণের বিরামহীন বারিধারার প্রচণ্ড ঢল
নেই নদী স্রোতের তোরে নদীভাঙা কোনো জনপদ
তবে কেনো নদীগর্ভে সব হারানো রমণীর মতো-
নির্লীপ্ত মাঘ তুমি কাঁদিতেছ কেন?
নেই দখলদার কোনো রাজার রক্তচক্ষুর চোখ রাঙানি
নেই কোনো মায়ের মুখের ধ্বনি উচ্চারণের প্রতিবন্ধকতা
নেই ভাদ্রের রুদ্র মেঘের কোনো তর্জন গর্জন
তবে কেনো সন্তান হারা বাংলা মায়ের মতো-
প্রেয়সী ফাল্গুন তুমি কাঁদিতেছ কেন?
আরও পড়ুন জাহাঙ্গীর পানুর-
অন্ধকারের জ্যোতি
স্বপ্ন সারথি
শ্বাশত বাণী
আরও পড়ুন অন্যান্য কবির কবিতা-
অগ্নিশ্বর
হেমন্তের বিকেল
অনন্ত
তিতাস নদীর পাড়ে
প্রশ্ন তোমাকে
প্রেমের পদ্য