তিনি-একজন-মহিলা-মুক্তিযোদ্ধা-১ম-পর্ব
খলিফা আশরাফ (গল্প),  গল্প,  মুক্তিযুদ্ধ,  সাহিত্য

তিনি একজন মহিলা মুক্তিযোদ্ধা (১ম পর্ব)

তিনি একজন মহিলা মুক্তিযোদ্ধা (১ম পর্ব)

খলিফা আশরাফ

 

বাসে করে মিরপুর যাচ্ছি। প্রচণ্ড ভিড়। সিট ছাড়াও গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছে অনেক যাত্রী। কয়েকজন মহিলা যাত্রীও রড ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। এমনিতেই তিল ধারনের জায়গা নেই, তারপর আরও যাত্রী তুলতে “মিরপুর-১১/১২, মিরপুর-১১/১২” করে চেঁচাচ্ছে হেল্পার। গরমে অতিষ্ঠ কয়েকজন যাত্রী ক্ষেপে উঠলো,
“ঐ মিয়া যাত্রী কি তোমার মাথায় লইবা?”
কয়েকজন তো রেগে খুব বিশ্রী ভাষায় গাল দিলো হেল্পারকে। কিন্তু হেল্পার ছেলেটা খুবই বেহায়া টাইপের। ওইসব নোংরা গালটাল গায়ে না মেখে দাঁত কেলিয়ে হাসছে সে। আবার গদগদ বিনয় দেখিয়ে বলছে,
“রাগ কইরেন না সাব। একটু পিছায়া খাড়ান, কম কইরা আরও ১০ জন লওন যাইবো।”
এবার রড ধরে দাঁড়ানো ঘামে ভেজা এক যুবক তেড়ে উঠলো,
“এই হালার পুত, এইডা কি গরুর গাড়ি পাইছস? লিখ্যা রাখছস ‘সিটিং’, ভাড়াও লইতাছস সিটিংয়ের, আর লোক লইবি হাজাইয়া? বহুত লইছছ, আর যদি একটা যাত্রী লইবি, তরে লাথথি দিয়া বাস থনে ফালাইয়া দিমু।”
সাথে সাথে গাড়ির সমস্ত যাত্রীই যুবকের পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদী হয়ে উঠলো। অনেকেই উচ্চ কণ্ঠে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করছে, শাসাচ্ছে হেল্পারকে। সবার আক্রমণ-কটূক্তিতে একেবারে ভড়কে গেলো ছেলেটা। এদিক-ওদিক তাকিয়ে কোন কথা না বলে, চুপ করে বাসের গেটে গিয়ে দাঁড়ালো সে।

আরও পড়ুন গল্প লালু

আমাদের দেশে প্রতিবাদী লোকের অভাব নেই। ভালো লোকও কম নয়। কিন্তু প্রতিবাদ বা ভালো কাজের শুরু করা লোকের খুব অভাব। কেউ একজন সাহস করে সেটি আরম্ভ করলেই হাজার জন সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে, দাঁড়িয়ে যায় তার পাশে। প্রকৃতপক্ষে আমাদের সমাজে খারাপ লোকের সংখ্যা যে খুব বেশি, তা নয়। কিন্তু এই কম সংখ্যক লোকের কণ্ঠই সজোরে উচ্চকিত। এদের বেশির ভাগই উঠে এসেছে একেবারে নিচু থেকে। এদের না আছে সম্মানের ভয়, না আছে লজ্জা। এরা বেহায়া, বেপরোয়া, দুর্বিনীত এবং দুঃসাহসী। পক্ষান্তরে ভালো লোকগুলো বিনয়ী, সম্মান সচেতন এবং নির্বিরোধী। আর এই ভালোত্বের সুযোগ নিয়ে খারাপ লোকগুলো সমাজে আসন গেড়ে বসেছে, নেতৃত্ব পাকাপোক্ত করছে। কিন্তু যদি একবার সব ভালো লোকগুলো প্রতিবাদী হয়ে ওঠে, তবে খারাপ লোকগুলোর অবস্থাও ঐ অসহায় হেল্পারের মতোই হবে, পালিয়ে কুল পাবে না। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, ‘বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধা’-র লোকের খুব অভাব। কবে যে আমরা এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাবো, আল্লাহই জানেন।
বাস তালতলা থামতেই বেশ ক’জন যাত্রী নেমে গেলো। উঠলোও জন কয়েক। ক্র্যাচে ভর করে এক মাঝ বয়েসী মহিলা কোন রকমে উঠে পড়লো বাসে। মলিন বেশভুষা। কম দামী তাঁতের শাড়িতে রং উঠা ব্লাউজ। কাঁধে ঝোলানো রাবিন্দ্রিক ধরনের একটা কাপড়ের ব্যাগ। বেশ পুরানো। চোখে প্লাস্টিকের কম দামী চশমা। দেখেই বোঝা যায় বেশ দরিদ্র। ভাড়া দেবার সামর্থ নেই ভেবেই, হয়তো হেল্পার তাকে বাস থেকে নেমে যেতে বললো,
“এই বেডি, নাইম্যা যাও।”
প্রতিবাদী হয়ে উঠলেন তিনি,
“ক্যান নামুম? তুমি নামাইবার ক্যাডা?”
এবার খেপে গেলো হেল্পার,
“অই বেডি, বুজাইতেচি আমি ক্যাডা। বাসে যে উড়ছো, ভাড়া আছে? ভাড়া বাইর করো। নাইলে অহুনি ঘার ধইরা নামাইয়া দিমু।”
চকিতে তিনি অগ্নি স্ফুলিঙ্গের মতো জ্বলে উঠলেন,
“চুপ বেয়াদপ। তর বাপের খ্যামতা আছে আমারে নামাইবার? নামা দেহি, নামা?”
তার চোখ দিয়ে যেন আগুন ঠিকরে বেরুচ্ছে। হাতের ক্র্যাচ শক্ত করে ধরলেন। তাঁর রুদ্রমূর্তি দেখে ভড়কে গেলো হেল্পার। অবাক হলো অন্য যাত্রীরাও।

আরও পড়ুন গল্প বড় বাবা

এমনিতেই গাদাগাদি যাত্রী নেয়ায় সবাই হেল্পারের উপর রুষ্ট ছিলো, এবার সেই ঝালটাই ঝাড়লো সবাই। যার যা মুখে আসে বললো হেল্পারকে। সবার গালমন্দে একেবারে চুপসে গেলো সে। ততক্ষণে বাস চলতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি একটু শান্ত হতেই ভদ্র মহিলা কাছে ডাকলেন হেল্পারকে,
“এই পোলা, এদিক আহো৷”
কাছে আসতেই তিনি তাঁর ঝোলা থেকে লেমিনেটেড করা একটা কাগজ বেড় করে হেল্পারকে দেখিয়ে নরম গলায় বললো,
“এই ‘পাস’ সরকারে দিছে। বাসে ট্রেনে আমাগো ভাড়া লাগে না।”
অবাক বিস্ময়ে সবাই দেখলো, তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এ দেশ স্বাধীন করতে অসামান্য অবদানের কিঞ্চিৎ ঋণ শোধ করতে সরকার এ ‘পাস’ দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের। মুহূর্তে পালটে গেলো পরিস্থিতি। দ্রুত আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো কয়েকজন। তাদের আসনে বসবার জন্যে অনুরোধ করলো ভদ্র মহিলাকে। কিন্তু বসলেন না তিনি। বিনয়ের সঙ্গে বললেন,
“না বাবা, আপনারা বন। আমি কাজিপাড়া নাম্যা যামু। এইতো আয়া পরচি। আপনারা বন।”
কিন্তু উঠে দাঁড়ানো লোকগুলোর কেউ বসলো না। বৃদ্ধা না নামা পর্যন্ত সবাই দাঁড়িয়ে রইলো। আমি ছিলাম বাসের একদম পিছন দিকের সিটে। বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান জানাতে আমিও উঠে দাঁড়িয়েছিলাম। একজন পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে এইসব বীর যোদ্ধাদের প্রতি প্রগাঢ় শ্রদ্ধা আমার। বাবার কাছে শুনেছি স্বাধীনতা যুদ্ধের বর্ণনা, শুনেছি তাঁদের অসম বীরত্বের কথা, অবর্ণনীয় কষ্টের কথা, সহযোদ্ধার করুণ মৃত্যুর কাহিনি। কিন্তু কোন মহিলা মুক্তিযোদ্ধার কথা তাঁর কাছে শুনিনি কখনো। তাই এই বীর মহিলা মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে জানার জন্যে অধীর হয়ে উঠলো আমার মন। এরই মধ্যে এক যাত্রী হঠাৎ বলে উঠলো,
“দ্যাশে দেহি অহন মুক্তিযোদ্ধা বাইড়া গেছে।”
সাথে সাথে তাঁর পাশের সিটে দাঁড়িয়ে থাকা (মুক্তিযুদ্ধাকে সম্মান জানাতেই দাঁড়িয়েছিলো সে) এক যুবক ঝাঁঝালো কণ্ঠে বললো,
“আপনাদের মতো রাজাকারদের সংখ্যাও বেড়েছে।”
এবার একেবারে খেঁকিয়ে উঠলো লোকটি,
“কি আমি রাজাকার?”

আরও পড়ুন গল্প নীরুর মা

ছেলেটি তেমনি উচ্চকণ্ঠে বললো,
“তাই তো মনে হয়। মুক্তিযোদ্ধার নাম শুনলেই গায়ে জ্বালা ধরে কেন? ওই শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যেই তো দেশটা স্বাধীন হয়েছে, আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, আপনিও বেঁচে আছেন, এখনও কথা বলতে পারছেন ওই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যেই। বুঝেছেন? এমন অকৃতজ্ঞ জাতি বুঝি আর পৃথিবীতে নেই।”
লোকটি ততোধিক উত্তেজিত কণ্ঠে বললো,
“হ দ্যাশ স্বাধীন কইরা এক্কেরে বেহেস্ত বানাইয়া দিছে। সারা বছর দাঙ্গা-ফ্যাসাদ, খুন-খারাপি লাইগ্যাই আছে। পাকিস্তান আমলে তো এসব আছিলো না। তহনি ভালা আছিলাম আমরা।”
এবারে গর্জে উঠলো পুরো বাস। সমস্বরে সবাই তাকে ‘রাজাকার’, ‘আল-বদর’, ‘জামাত’, ‘পাকিস্তানি দালাল’ আরও বিশ্রী ভাষায় গালি দিলো লোকটাকে। সবার আক্রমণে একেবারে ভড়কে গেলো সে। আর কোন কথা না বলে এদিক-ওদিক তাকিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি আঁচ করে চুপ করে গেলো। এবার প্রথম প্রতিবাদী যুবকটা কঠিন কণ্ঠে বললো,
“এই ড্রাইভার বাস থামাও।”
পেছন দিকে তাকিয়ে ছেলেটির অগ্নি মূর্তি দেখে বাস থামালো ড্রাইভার। বাস থামতেই ছেলেটা লোকটার কলার চেপে ধরে আদেশের সুরে বললো,
“এই রাজাকার বাস থেকে নাম তুই। তোর মতো পাকি-রাজাকারের এই বাসে জায়গা নাই। এখনই নাম তুই, নাম।”
ঘটনার আকস্মিকতায় একটু হতচকিত হলেও পরক্ষণেই সবাই একসাথে বলে উঠলো,
“হ্যা ভাই, নামিয়ে দেন রাজাকারকে।” কেউ কেউ আবার ‘পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেবার’, ‘পিটুনি দেবার’ কথাও বললো। বেশি সোচ্চার নতুন প্রজন্মের যুবকেরা। এবার সেই পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা মহিলা এগিয়ে এসে বললেন,
“ওনারে মাপ কইরা দ্যাও বাবা।”
উত্তেজিত যুবক দৃঢ় কণ্ঠে বললো,
“না। একাত্তুরে আপনারা এদের মাপ করে দিয়েছিলেন বলেই আজ দেশের এই অবস্থা। রাজাকাররা দেশকে অশান্ত করে তুলেছে। আমরা আর এ ভুল করবো না।”
লোকটাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দিলো যুবক। সবাই তাকে হাত তালি দিয়ে বাহবা দিলো, আনন্দ প্রকাশ করলো। বীর মুক্তিযোদ্ধার মুখে অলক্ষ্যে মৃদু হাসির ঝিলিক ফুটে উঠলো। মনে মনে আশান্বিত হলেন তিনি। যে কাজটা তারা করতে পারেনি, তাদের সেই অপূর্ণ কাজটা নতুন প্রজন্মের ছেলেরাই পূর্ণ করবে। প্রত্যাশিত স্বপ্ন পূরণের শুভ সংকেতে তিনি আস্থা ফিরে পান যেন।

আরও পড়ুন গল্প পরাজিত নাবিক

বাস কাজিপাড়া আসতেই নেমে পড়লেন মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর সাথে আমিও তড়িঘড়ি কাজিপাড়ায় নেমে পড়লাম। হেল্পার চিৎকার করে উঠলো,
“এই যে ভাই, আপনি না ১২ লম্বরের ভাড়া কাটলেন, এইডা তো কাজিপাড়া?”
ততোক্ষণে ক্রাচে ভর করে মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাঁটতে শুরু করেছেন। বেশ জোড়েই হাঁটছেন।
আমিও দ্রুত তাঁকে অনুসরণ করলাম। পেছন থেকে হেল্পারের কণ্ঠ কানে এলো,
“লোকটা পাগল নাকি?”
হেল্পারের কথায় ভ্রুক্ষেপ না করে আরও জোড়ে পা চালালাম আমি। দ্রুত কাছাকাছি পৌঁছে জিজ্ঞাসা করলাম,
“আন্টি কোথায় যাবেন আপনি?”
চকিতে ঘুরে দাঁড়ালেন তিনি। চোখে বিস্ময়-সন্দেহ। সরু চোখে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে কঠিন কণ্ঠে শুধালেন,
“তুমি ক্যাডা?”
ক্র্যাচটা শক্ত হাতে ধরেছেন তিনি। বেশ সতর্ক। আক্রমণের জন্যে প্রস্তুত যেন! তিনি হয়তো সন্দেহ করছেন আমাকে। আমি তাড়াতাড়ি নিজেকে সন্দেহমুক্ত করতে গড়গড় করে বললাম,
“আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। বাসে আপনার পরিচয় পেয়েই নেমে পড়েছি, আমি আপনার সাথে একটু কথা বলার জন্যে। বাবার কাছে মুক্তিযুদ্ধের অনেক গল্প শুনেছি, কিন্তু ‘বীর’ মহিলা মুক্তিযোদ্ধার গল্প শোনা বা দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি কখনো। আপনার সাথে কথা বলতেই নেমেছি আমি।”
মুহূর্তেই পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পাল্টে গেলো। অগ্নিঝরা চোখে স্নেহের পেলবতা নামলো। মাতৃত্বের মধুর প্রসন্নতায় ঝলমল করে উঠলো সাড়া মুখ। একটু এগিয়ে এসে বগলের নিচে ক্র্যাচটা রেখে দু’হাত দিয়ে আমার মুখটা তুলে ধরলেন। খুব কোমল কণ্ঠে বললেন,
“তোমরা আছো বইলাই অহনও বুক আশায় বাইন্দা আছি বাবা। এহনও বিশ্বাস করি দ্যাশ রাজাকারমুক্ত হইবো, যে দ্যাশের জন্যি যুদ্ধ করছি, হেই দ্যাশ আবার ফিরা পাবো।”
চোখ দিয়ে তাঁর টপটপ অশ্রু ঝরে পড়ছে। আমি তাঁর কোল ঘেঁষে দাঁড়ালাম। আমার হাতটা স্বস্নেহে তাঁর হাতের মধ্যে টেনে নিলেন তিনি। তাঁর আশীর্বাদ-অশ্রু আমার জড়িয়ে থাকা হাতটাকে ভিজিয়ে দিচ্ছে। আমি স্বপ্নাচ্ছন্ন হলাম। তাঁর সাথে হেঁটে হেঁটে তাঁর বাসা পর্যন্ত গেলাম আমি। ঠিক বাসা নয়, কোন মতো থাকবার ঠিকানা।

আরও পড়ুন তিনি একজন মহিলা মুক্তিযোদ্ধা-
২য় পর্ব
৩য় পর্ব
৪র্থ পর্ব
শেষ পর্ব

 

ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলফেসবুক পেইজে

তিনি একজন মহিলা মুক্তিযোদ্ধা (১ম পর্ব)

Facebook Comments Box

খলিফা আশরাফ জীবন ঘনিষ্ঠ একজন কবি ও গল্পকার। তাঁর লেখায় মূর্ত হয়ে ওঠে সমসাময়িক কাল, মূল্যবোধের অবক্ষয়, নৈতিকতার বিপর্যয় এবং মানুষের অভাবিত সার্থলোলুপতার ক্লিষ্ট চিত্র। তিনি বৈরী সময়কে গভীর ব্যঞ্জনায় অনুপম রূপায়ন করেন তাঁর লেখায়, সামাজিক অন্যায় অসঙ্গতি এবং নির্মমতার কারুণ্য ফুটিয়ে তোলেন অন্তর্গত তীক্ষ্ম অনুসন্ধিৎসায়। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: বিপরীত করতলে, কালানলে অহর্নিশ, অস্তিত্বে লোবানের ঘ্রাণ; গল্পগ্রন্থ: বিল্লা রাজাকার ও সেই ছেলেটি, অগ্নিঝড়া একাত্তুর, একাত্তরের মোমেনা, পাথরে শৈবাল খেলে; ছড়াগ্ৰন্থ: ভুতুড়ে হাওয়া, কাটুশ-কুটুশ। তিনি  ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। 

error: Content is protected !!