তিনি-একজন-মহিলা-মুক্তিযোদ্ধ-৩য়-পর্ব
খলিফা আশরাফ (গল্প),  গল্প,  মুক্তিযুদ্ধ,  সাহিত্য

তিনি একজন মহিলা মুক্তিযোদ্ধা (৩য় পর্ব)

তিনি একজন মহিলা মুক্তিযোদ্ধা (৩য় পর্ব)

খলিফা আশরাফ

 

একদিন রাতে মধুকে তাঁর ঘরে ডেকে নিয়ে হাজি সাহেব বললেন,
“ওই মধু তুই তো বহুতদিন আমার এইহানে কাম করছস। তর মেলা ট্যাকা জইমা গ্যাছে। আমারও বয়স হইচে। কহন কি হয়া যায় কয়া তো যায় না। আমি দেনা রাইখ্যা মরবার পারুম না। তর ট্যাকা তুই হিসাব কইরা লইয়া ল।”
মধু কোন কথা না বলে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে। লোকটাকে সে বাবার মতো শ্রদ্ধা করে। এই মানুষটা কখনো মধুকে কর্মচারীর মতো দেখেননি। সন্তান স্নেহেই আগলে রেখেছেন। বিশাল বাড়িতে তাঁর অন্য দুই ছেলের মতো মধুর জন্যেও আলাদা একটা রুম দেয়া হয়েছে। এক সময়ের নিরাশ্রয় বালক মধুর আজ যা অবস্থান, সব তারই দয়ায়-আশ্রয়-ভালবাসায়। কি বলবে মধু? কি করে হিসাব-নিকাশ করতে বসবে? মাথা নিচু করে নিরুত্তর দাঁড়িয়ে রইলো সে। তাকে চুপ থাকতে দেখে তিনি আবার বললেন,
“কিরে কতা কস না ক্যান?”
অভিমানের সুরে মধু বললো,
“আমার টাকা-পয়সা লাগবো না।”
“আহারে, পোলাডা কয় কি? অক্করে বুকা। আরে ট্যাকা অইলো পুরুছ মানষের খ্যামতা। বুজচ্চস? আর তা ছাড়া তর একটা ভুত-ববিশ্যত আছে না? হাড়া জীবন কি এইহানে পইরা থাগবি? কিছু তর করণ লাগবো না?”
এবার মুখ খুললেন পাশে বসা গৃহিণী। মধু তাঁকে ‘আম্মা’ বলে ডাকে। তিনিও নিজের ছেলের মতোই ভালবাসেন মধুকে। সেই ছোটবেলা এসেছে, তাঁর হাতেই এতো বড় হয়েছে মধু। এই দশ/এগারো বছরে সেই স্নেহটা আরও বেড়েছে, গাঢ় হয়েছে।

আরও পড়ুন গল্প হাইয়া আলাল ফালাহ

তিনি বললেন,
“অয় কি কইবো? মধুতো বহুত বছর তুমার খেদমত করছে। অহন অর ববিশ্যত কও আর বালা-মন্দ যাই কও, যা করার তুমিই কইরা দিবা। হ্যার তো আর কেউ নাই। এইডা তুমারই দায়িত্ব।”
“হ ঠিক কতাই কইচো। আচ্চা দেহি।”
মধুকে হাতের ইশারায় যেতে বললেন তিনি। চলে গেলো সে। সেই ছোটবেলা থেকেই মধু তাঁদের বাড়িতেই আছে। শিশু মধু এখন যুবক। সৎ এবং বিশ্বস্ত হওয়ায় ওকে সবাই ভালোবাসে। বলতে গেলে অনেকটা আপনের মতোই হয়ে গেছে। ওর জন্যে কি করা যায় এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রী আলোচনা করলেন। গৃহিণী বললেন,
“অয় তো দোকানদারি ছুন্দর মতোই করতাচে। আমার মনে কয়, অরে ছোড়-খাড় একখান দুকান কইরা দিলে পোলাডা ভালাই করবো। তুমিও মাজে-মইদ্যে দ্যাকভাল করলা। আমার মনে লয় দুকান কইরা দিলেই মদুর ভালা অইবো।”
এরকম ‘আইডিয়া’ হাজি সাহেবের মাথায়ও ঘুরছিলো। এই দশ বছর মধুকে দেখে তাঁরও বিশ্বাস জন্মেছে, একটা দোকান স্বাধীনভাবে চালানোর যোগ্যতা তার আছে। এ ছাড়া মধুর অন্য কিছু করর অভিজ্ঞতাও নেই। দোকানদারিই তার জন্যে সঠিক। এতেই ভালো করবে সে। তিনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন, দোকানই করে দেবেন মধুকে। হাজি সাহের প্রসন্ন দৃষ্টিতে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে হেসে বললেন,
“হ তুমি ঠিকই কইচো। দেহি, মানুষজন লাগায়া দেই দুকান খোঁজনের লাইগ্যা।”
হাজি সাহেবের দোকান স্টেডিয়ামে ‘হাজি এম্পোরিয়াম’। বিশাল দোকান। সাটিং, শুটিং, শাড়ি কাপড়ের নামকরা পাইকারি-খুচরা বিক্রেতা। এক নামে চেনে সবাই। তাঁর দোকানের মোটামুটি কাছেই গুলিস্তান এলাকায় একটা দোকান পাওয়া গেলো। বেশি বড় না হলেও ভালোই। কাপড়ের দোকান করার উপযোগী। তিনি এক রাতে মধুকে ডেকে বললেন,
“মধু, গুলিস্তানে একডা দুকান পাওয়া গেচে। ওরা কইলো মোটামুটি ভালা। তুই দেইখ্যা আয়। তর পচন্দ অইলে আল্লার নামে শুরু কইরা দে।”
মধু কিছু না বলে দাঁড়িয়ে রইলো।

আরও পড়ুন গল্প দীপ্তিদের দেবতা

তিনি আবার বললেন,
“মধু, মরন-বাচনের কতা কওয়া যায় না। আমি বাইচা থাকতে থাকতে তর কিছু কইরা দিবার চাই। তুই দেইখ্যা আয়। পচন্দ না অইলে আর একডা দ্যাখ। তরে ব্যবসা ধরাইয়া দিবার পারলেই আমার ছান্তি।”
পিতৃ স্নেহের দায়িত্বে ভারী হয়ে এলো হাজি সাহেবের কণ্ঠ। আর সামলাতে পারলো না মধু। হাউমাউ করে কেঁদে দিলো সে। তাঁর নিজের বাবার স্নেহ পায়নি সে কোনদিন। সৎ মায়ের সংসারে ভালবাসাতো দূরের কথা, খুব ছোট বয়সেই পড়া বন্ধ করে তাকে লাগানো হয়েছিলো রাখালের কাজে। সেখানকার অত্যাচারও মন গলাতে পারেনি বাবার। অথচ অনাপন একজন মানুষ স্নেহ দিয়ে, ভলোবাসা দিয়ে কত সহজেই আপন করে নিয়েছে তাকে। আজ মৃত্যুর আগে ওকে দাঁড় করিয়ে দেবার জন্যে কতো ব্যগ্রতা, কতো আন্তরিকতা তাঁর। ভেতরটা হুহু করে উঠলো তার। ছুটে গিয়ে সে হাজি সাহেবের পা জড়িয়ে ধরে বললো,
“আমার দোকান লাগবো না। আমি হারাজীবন আপনের কাছেই থাকুম।”
হাজি সাহেবের হাঁটুর উপর মাথা রেখে কাঁদতে লাগলো সে। বৃদ্ধ হাজি সাহেবের চোখ দিয়েও টপটপ করে পানি ঝড়তে লাগলো। তিনি সস্নেহে মধুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললেন,
“আরে পাগল, কাঁনদিস ক্যান? আমি কি হারা জনম বাইচ্যা থাহুম? চোক বন হইলেই ছব শ্যাষ। তুই দুকানডা একবার দেইখ্যা আয়।”
মধু তেমনি কাঁদতে থাকে। পাশেই বসে ছিলেন হাজি সাহেবের স্ত্রী। তিনিও হাজি। দুবার হজ্ব করেছেন। তার চোখও পানিতে ভিজে উঠেছে। মধুকে তিনিও স্নেহ করেন। স্বজনহারা সেই ছোট্ট মধুকে দশ/এগারো বছর ধরে সন্তানের মতোই আপন করে নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর নিজের সন্তানেরা যখন বেশ বড় হয়ে উঠেছে, তখনই মায়াবি চেহারার বালক মধু এসেছিলো তাঁর কাছে। মধুর আচার-ব্যবহার, কথাবার্তাও ভালো লেগেছিলো তাঁর। তাই খুব সহজেই মাতৃস্নেহে সন্তানের মতো কাছে টেনে নিয়েছিলেন তিনি। প্রথম দিকে এটি দয়া-করুণার বিষয় থাকলেও, সময়ের বিবর্তনে সে ভেদটাও ঘুচে গিয়ে মা-সন্তানের আত্মিক নিবিড় সম্পর্কই তৈরি হয়েছিলো তাদের মধ্যে। তিনি উঠে এসে পরম স্নেহে মধুকে নিজের কোলে টেনে নিলেন। আজন্ম স্নেহ বুভুক্ষু মধু মায়ের কোলে আরও জোড়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকলো।

আরও পড়ুন তবুও ভালোবাসলাম

কদিনের মধ্যেই দোকান ঠিক হয়ে গেলো। মিস্ত্রির কাজ, রং করা, ফার্নিচার কেনা, মালামাল উঠানো সবই হল হাজি সাহেবের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধায়নে, তাঁর পছন্দ মতো। তারপর একদিন মিলাদ দিয়ে মধুকে দোকানে বসিয়ে দিলেন তিনি। দোকানের কাগজপত্রও হল মধুর নামে। একেবারে ঝকঝকে তকতকে দোকান। এক সময়ের নিরাশ্রয় মধু হয়ে গেলো দোকানের মালিক। মধু অবাক হয়ে দেখলো, তার এতদিনের বেতনের কয়েকগুণ খরচ করেছেন হাজি সাহেব। কিন্তু তার জন্যে আরও বিস্ময় অপেক্ষা করছিলো। হাজি সাহেব রাতে তাকে ডেকে বললেন,
“মধু, দোকানডা তরে আমি তোফা দিছি। এই ল তাঁর এতো বছরের বেতনের ট্যাকা। এইডা আমি আলাগ কইরা রাখছিলাম। অহন তার আমানত তারে ফিরাইয়া দিলাম।”
টাকা ভর্তি একটা ব্যাগ মধুর হাতে তুলে দিলেন তিনি। অবাক বিস্ময়ে ফ্যাল ফ্যাল করে হাজি সাহাবের দিকে তাকিয়ে থাকে মধু। লোকটা কি ফেরেস্তা! নিজের বাবা যার কোনদিন ভালোমন্দ খোজ নেয়নি, বেঁচে আছে কি মরে গেছে সে খবরও রাখেনি, সেই অপাংতেয় মধুর জন্য এই অনাত্মীয় মানুষটার বুক ভরা কি দরদ! মধুর চোখ দিয়ে দরদর করে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। মিসেস হাজি মধুকে সস্নেহে নিজের কাছে টেনে নেন। মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন,
“কান্দিস না মধু। আমরা ছাড়া তারতো আর কেউ নাই। তর লাইগ্যা আর ক্যাডা করবো? এই ট্যাকাগুলান খরচ করিস না, ব্যাংকে রাইখ্যা দিস। পরে কামে লাগবো। টুকটাক যা ট্যাকা লাগে আমারে কইস। অহন ব্যাবসায় ভালা কইরা মন লাগা।”
মধু আবেগে কিছুই বলতে পারলো না। শুধু ফোসফোস করে কাঁদতে থাকে। এই দুজন মানুষের ঋণ কোনদিন শোধ করতে পারবে না সে। এদের আশ্রয় না পেলে এতোদিন কোথায় ভেসে যেতো সে। আজকের মধুতো তাদেরই দান, তাদের দয়ায়ই আজ সে ঢাকায় একটা দোকানের মালিক হতে পেরেছে। টাকার ব্যাগটা রেখেই চোখ মুছতে মুছতে বেড়িয়ে গেলো মধু।

আরও পড়ুন গল্প ভাঙা গড়ার টান

হাজি সাহেব তার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললেন,
“পোলাডা খুব ভালা। সেই যে আইচে, আর কোনদিন দ্যাশেও যায় নাই। মনে লয় অর বাপ-মা নাই। ক্যামুন জানি মায়া পইরা গেচে অর লাইগা। তুমি ট্যাকাডা রাইখ্যা দ্যাও। পরে দিয়া দিও। আর দেইখা হুইন্যা অরে একখান বিয়া করাইয়া দ্যাও। ঘর-ছংছার করুক। আমাগো রিশতার মাইদ্যে ভালা কোন মাইয়া নাই?”
মাথা নেড়ে সায় দিয়ে তিনি বললেন,
“হ ঠিকই কইচেন। বিয়া-সাদীর বয়স তো অর অইচেই। তয় ক্যাবল তো দুকান ছুরু করচে। আরও কয়দিন যাউক। একটু গুছাইয়া লোউক। আমিও এদিক ওদিক মাইয়া দেহি। মধুর লাইগ্যা ত ভালা মাইয়া লাগবো। ছুন্দরও হইবো, আবার ছংছারী ভি হয়ন লাগবো। কি কন?”
হাজি সাহেব স্ত্রীর কথায় হেসে বললেন,
“হেইডা তুমার ব্যাপার। আমি কি কমু?”

মধুর দোকান ভালোই চলছিলো। সপ্তাহে ২/৩ দিন হাজি সাহেব আসেন। বুদ্ধি পরামর্শ দেন। এর মধ্যে মধুর বিয়ে হয়েছে। হাজি সাহেবই বিয়ে দিয়েছেন, তার দোকানের ম্যানেজারের মেয়ের সাথে। দেখতে শুনতে ভালো, ভদ্র-নম্র স্বভাব। হাজি সাহেবের স্ত্রীর পছন্দেই বিয়ে। কনে দেখা থেকে শুরু করে ঘর সাজিয়ে দেয়া, সব কাজ তারাই করেছেন। বেশ ধুমধাম করে বিয়ে দিয়েছেন হাজি সাহেব। বিয়ের সব খরচই বহন করেছেন তিনি। এক পয়সাও দিতে হয়নি মধুকে। বিয়ের পর মধু উঠলো ভাড়া বাসায়, গুলিস্তানের দোকানের কাছেই নিমতলীতে। হাজি সাহেব এবং তার স্ত্রী নিজের বাড়িতেই রাখতে চেয়েছিলেন ওদের। কিন্তু মধু কোনমতেই রাজি হয়নি। আর কতো নেবে সে? কতোদিন আর গলগ্রহ থাকা যায় তাদের? এখন স্ত্রী-সংসার হয়েছে, দোকান থেকে আয় হচ্ছে, আরতো অন্যের ঘাড়ে চেপে থাকা শোভা পায় না। অনেক কষ্টে হাতে-পায়ে ধরে হাজি দম্পতিকে সন্মত করেই ভাড়া বাসায় সংসার পাতলো মধু।

আরও পড়ুন  গল্প সুরেন বাবু

কিন্তু খানিকটা দূরে হলেও স্নেহ-ভালবাসার কমতি পড়েনি একটুও। ২/১ দিন পরপরই বড়বড় টিফিন ক্যারিয়ার ভরতি পোলাও-গোস্ত পাঠিয়ে দিতেন মিসেস হাজি। আবার মাঝে-মধ্যে নিজেই চলে আসতেন এটা-ওটা সংসারী জিনিসপত্র নিয়ে। মধুর সংসার নিজের হাতে গুছিয়ে দিলেন তিনি। তার মাতৃস্নেহে কোন কিছুই ঘাটতি থাকেনি মধুর সংসারে। বেশ ভালোই চলছিলো। লক্ষ্মী মেয়ের মতো ফুটফুটে ময়না ছোট্ট সংসার গুছিয়ে রাখতো। সারাদিন দোকান করে ঘরে ফিরে প্রশান্তির স্পর্শ পেতো মধু। মা-বাবার স্নেহ বঞ্চিত মন আপন ঘরের আনন্দ-হর্ষে পূর্ণ হয়ে উঠলো। কিন্তু সবার ভাগ্যে বুঝি সুখ জোটে না। সবাই সুখী হয় না। সোনার হরিণ সুখ কারো কারো কাছে অধরাই থেকে যায়। মধু-ময়নার জীবনে যখন কেবল আনন্দের পুষ্প-বৃষ্টি শুরু হয়েছে, ঠিক তখনি স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো।

আরও পড়ুন তিনি একজন মহিলা মুক্তিযোদ্ধা-
১ম পর্ব
২য় পর্ব
৪র্থ পর্ব
শেষ পর্ব

 

ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলফেসবুক পেইজে

তিনি একজন মহিলা মুক্তিযোদ্ধা (৩য় পর্ব)

Facebook Comments Box

খলিফা আশরাফ জীবন ঘনিষ্ঠ একজন কবি ও গল্পকার। তাঁর লেখায় মূর্ত হয়ে ওঠে সমসাময়িক কাল, মূল্যবোধের অবক্ষয়, নৈতিকতার বিপর্যয় এবং মানুষের অভাবিত সার্থলোলুপতার ক্লিষ্ট চিত্র। তিনি বৈরী সময়কে গভীর ব্যঞ্জনায় অনুপম রূপায়ন করেন তাঁর লেখায়, সামাজিক অন্যায় অসঙ্গতি এবং নির্মমতার কারুণ্য ফুটিয়ে তোলেন অন্তর্গত তীক্ষ্ম অনুসন্ধিৎসায়। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: বিপরীত করতলে, কালানলে অহর্নিশ, অস্তিত্বে লোবানের ঘ্রাণ; গল্পগ্রন্থ: বিল্লা রাজাকার ও সেই ছেলেটি, অগ্নিঝড়া একাত্তুর, একাত্তরের মোমেনা, পাথরে শৈবাল খেলে; ছড়াগ্ৰন্থ: ভুতুড়ে হাওয়া, কাটুশ-কুটুশ। তিনি  ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। 

error: Content is protected !!