আগ্রার-তাজমহল
তাহমিনা খাতুন (ভ্রমণকাহিনি),  ভ্রমণকাহিনি,  সাহিত্য

তাজমহলের শহর আগ্রায়

তাজমহলের শহর আগ্রায়

তাহমিনা খাতুন

 

মোগল সম্রাট শাহজাহানের অমর সৃষ্টি পৃথিবীর সাত আশ্চর্যের এক আশ্চর্য আগ্রার তাজমহল! শত শত বছর ধরে অতুলনীয় এই সৌন্দর্য শোভা নিজের চোখে একবার দেখার জন্য পৃথিবীর সব প্রান্তের মানুষ বিস্ময়কর এই সমাধি সৌধ স্থলে ছুটে যায়। সাত আশ্চর্যের একটা আশ্চর্য দেখতে পাওয়া তো বিরল এক সৌভাগ্যের ব্যাপার বৈকি। সেই বিরল সৌভাগ্যের ভাগীদার হওয়ার সুযোগ পাওয়া গেল।

দিল্লী থেকে আগ্রার দূরত্ব ২৪৩ কিলোমিটার। সড়ক পথে ঐতিহাসিক এই শহরে পৌঁছাতে সময় লাগে সাড়ে চার ঘন্টার মতো। জুলাই মাসের এক ভোরে মাইক্রোবাসে দিল্লী থেকে আগ্রা যাত্রা শুরু করলাম।
দিল্লী থেকে আগ্রার যাত্রা পথে আরও এক ঐতিহাসিক ঐতিহাসিক স্থান দেখার সুযোগ পাওয়া গেল। প্রাইমারি স্কুলে পড়ার সময়েই জেনেছিলাম মোগল সম্রাট আকবরের সমাধি সৌধস্থল রয়েছে সিকান্দ্রা নামক স্থানে। মোগল সম্রাট আকবরের সমাধি মোগল স্থাপত্যের এক অসাধারণ নিদর্শন। মাইক্রোবাসের ড্রাইভার আমাদেরক নিয়ে গেল সেই সমাধি সৌধস্থল পরিদর্শনের জন্য।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, সম্রাট তাঁর জীবদ্দশায়ই নিজের সমাধি সৌধের নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলেন। তবে তিনি এর নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেননি। আকবরের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র সম্রাট জাহাঙ্গীর ১৯ একর জমির উপর আকবরের সমাধি সৌধ নির্মাণ করেন। আকবরের সমাধিস্থলের চারদিকে ঘিরে তাঁর বেগম এক দৃষ্টিনন্দন বাগান তৈরি করেন-যা আজ অবধি পর্যটকদের আকর্ষণ করে।

আরও পড়ুন ভ্রমণকাহিনী রোমান সামাজ্যে কয়েকদিন

সম্রাটের সমাধি সৌধস্থলে প্রবেশ করলাম। এটি মোট ১০৫ বর্গমিটার আয়তনের চার তলাবিশিষ্ট সমাধিসৌধ। গাঢ় লাল বেলে পাথর এবং সাদা মার্বেল পাথরে নির্মিত সমাধি সৌধস্থল। সমাধি সৌধস্থলে প্রবেশের জন্য রয়েছে ৪টি দরজা। দক্ষিণের দরজাটি সর্ববৃহৎ। দরজার চারপাশে রয়েছে চারটি উঁচু মিনার। প্রতিটি দরজাই লাল-নীল-সোনালী রঙের পাথর দিয়ে তৈরি। সে সময়েই এই সমাধি সৌধস্থল নির্মাণে খরচ হয়েছিল ১৫ লক্ষ টাকা। সম্রাট আওরঙ্গজেবের রাজত্বকালে জাঠ রাজা রাজারাম আকবরের সমাধিতে লুঠপাট চালিয়ে সমাধির অভ্যন্তরে রাখা সোনা-রুপা মনি-মানিক্য এমনকি কার্পেট পর্যন্ত লুট করেন এবং সম্রাটের সমাধি খুলে সম্রাটের কঙ্কাল পুড়িয়ে দেন! পরবর্তীতে ১৯০৫ সালে বৃটিশ শাসনামলে ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন সম্রাটের সমাধি সৌধস্থলটি পুনরায় মেরামত করার মাধ্যমে এটিকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনেন। এই সমাধি সৌধের অভ্যন্তরেই সম্রাটের বেগম মারিয়াম-উজ-জামানি যিনি যোধা বাঈ নামেই সমধিক পরিচিত ছিলেন-এর কবর।

সম্রাট আকবরের সমাধি সৌধস্থলে প্রবেশ করার পর একটা বিশেষ অনূভুতি জাগে। মনে হয় এক সময়ের বিশাল মোগল সাম্রাজ্যের মহা পরাক্রমশালী সম্রাটকেও মৃত্যুর কাছে হার মেনে নিস্তব্ধ কবরে আশ্রয় নিতে হয়েছে। একজন গাইড আমাদেরকে সমাধি সৌধস্থলের বিভিন্ন কামরায় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিলেন এবং সেগুলোর ইতিহাস বর্ণনা করছিলেন। কামরাগুলো দেখানোর সময় গাইড আমাদেরকে বললেন, কামরার দেয়ালের এক প্রান্ত থেকে ফিসফিস করে একজনকে কিছু বলতে এবং অন্য প্রান্তে আরেক জনকে কান লাগিয়ে সেটা শুনতে! সম্ভবত দেয়ালেরও কান আছে কথাটির উৎপত্তি এখান থেকেই! বিষয়টি রীতিমতো বিস্ময়কর! ৫/৬ শত বছর আগে সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে কিনা-তা পর্যবেক্ষণের জন্যই হয়তো এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল! এতো বছর আগে বিস্ময়কর এই প্রযুক্তির উদ্ভাবন-ভাবলে অবাক না হয়ে পারা যায় না।

আরও পড়ুন ভ্রমণকাহিনী শানশি লাইব্রেরি ও মোরগ ডাক
তাজমহলের-সামনে-আমরা
             তাজমহলের সামনে আমরা

সিকান্দ্রায় সম্রাট আকবরের সমাধি সৌধ দেখা শেষ করে আমাদের মূল উদ্দেশ্য আগ্রার তাজমহল দর্শনে যাত্রা করলাম।

১৫৬৬ সালে মোগল সম্রাট আকবর আগ্রা শহরটি প্রতিষ্ঠা করেন। অল্প দিনেই এটি সংস্কৃতি এবং জ্ঞান চর্চার কেন্দ্রে পরিণত হয়। ১৬৪৮ সালে সম্রাট ঔরঙ্গজেব রাজধানী দিল্লীতে স্থানান্তর করার আগ পর্যন্ত আগ্রা মোগল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল।

পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের এক আশ্চর্য আগ্রার তাজমহল। মোগল সম্রাট শাহজাহান তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী মমতাজ মহলের স্মৃতিকে চিরস্থায়ী করার জন্য তাঁর নামানুসারে আগ্রার যমুনা নদীর তীরে তাজমহল নির্মাণ করেন। সে কারণে তাজমহলকে প্রেমের সমার্থক সমাধি ও বলা হয়। ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ হাজার শ্রমিকের ২০ বছরের পরিশ্রমের ফসল আগ্রার তাজমহল! পরম প্রিয় পত্নীর প্রতি সম্রাটের প্রেমকে অবিনশ্বর রুপ দেওয়ার ইচ্ছা থেকেই তাজমহল তৈরি করা হয়েছিল। তাজমহল একদিকে যেমন সম্রাট শাহজাহানের প্রেমের নিদর্শন হয়ে আছে, অন্য দিকে এটি নিষ্ঠুরতার, বর্বরতার আর অহংকারেরও প্রতীক হয়ে আছে! কারণ তাজমহলের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই এর নির্মাণ কাজে যুক্ত স্থপতিদের চোখে আঘাত করে চিরদিনের জন্য অন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং যে সমস্ত শ্রমিকের পাথর ভাঙা হাতে গড়ে উঠেছিল সাত আশ্চর্যের এক আশ্চর্য এই স্থাপত্য, সেই সব শ্রমিকের হাতের আঙুল নিষ্ঠুরভাবে কেটে দেওয়া হয়েছিল!

তাজমহলের মতো অনিন্দ্য সুন্দর আর একটি স্থাপত্য যাতে আর একটি তৈরি না হয় সেই কারণে এই নির্মম কাজটি করা হয়! ভালোবাসার সাক্ষী হওয়ার পাশাপাশি অহংকারী, নিষ্ঠুর, হৃদয়হীন সম্রাটের নিষ্ঠুরতম কাজেরও সাক্ষী হয়ে আছে তাজমহল। এর শ্বেত পাথরে যে জগদ্বিখ্যাত কারুকাজ খচিত হয়েছে, সেই শ্বেত পাথরের ভাঁজে ভাঁজেই জমে আছে অসংখ্য শ্রমিকের রক্ত, ঘাম আর দীর্ঘশ্বাস!
তবে মমতাজের প্রতি সম্রাটের ভালোবাসা কতটা নিখাদ ছিল-সে বিষয় ও তর্কাতীত নয়। ইতিহাস থেকে জানা যায়, সম্রাট শাহজাহানের নয় জন স্ত্রী ছিল এবং মমতাজের মৃত্যুর পর শাহজাহান মমতাজের ছোট বোনের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত অন্তরঙ্গ সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন!

আরও পড়ুন ভ্রমণকাহিনী ঘুরে এলাম পর্তুগাল
আগ্রার-হুমায়ুন-কবরস্থলে
      আগ্রার হুমায়ুন কবরস্থলে

তাজমহলের অভ্যন্তরে মমতাজ মহলের কবরের পাশেই রয়েছে সম্রাট শাহজাহানের কবর।
এই সম্রাটের শেষ জীবনের আট বছর কেটেছে তাঁর নিজ পুত্র আওরঙ্গজেবের গরাদ খানায় বন্দি অবস্থায়! ক্ষমতার লোভের কাছে পিতা, মাতা, ভাই, বোনের স্নেহের সম্পর্ক যে কত টা মূল্যহীন-মহা পরাক্রমশালী এই সব সম্রাটদের নিষ্ঠুরতাই তার প্রমা। বন্দি জীবনে সম্রাট শাহজাহান তাঁর তৈরি তাজমহলের দিকে চেয়ে দীর্ঘশ্বাস আর চোখের পানি ফেলেছেন-এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নাই।

তাজমহল দর্শনের সময় জুতা পরে সমাধি সৌধস্থলে প্রবেশ নিষেধ। ২০১১ সালে জুন জুলাই মাসে আগ্রার তাপমাত্রা মাত্রা ছিল ৪৫/৪৬ ডিগ্রির উপরে! শ্বেত পাথরের উপর দিয়ে হাঁটার সময় পায়ে ফোসকা পরে গিয়েছিল।
একটা বিষয় না বললেই নয় তা হলো পৃথিবীর সাত আশ্চর্যের এক আশ্চর্য দেখার পূর্বে যতটা আকর্ষণ অনুভব করতাম, তাজমহলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে, এর সৌন্দর্য দেখে ততটা বিমোহিত হতে পারিনি।

তাজমহল দেখা শেষ করে দ্বিতীয় মোগল সম্রাট হুমায়ুনের কবর দেখতে গেলাম। সম্রাট হুমায়ুনের পুত্র আকবর ১৫৫৮ সালে হুমায়ুনের কবর নির্মাণ শুরু করেন এবং ১৫৭১ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয় হুমায়ুন পত্নী হামিদা বানু বেগমের নির্দেশে। ১৫৫৬ সালে হুমায়ূন মারা যাওয়ার কয়েক বছর পর এটা নির্মাণ শুরু হয়। হুমায়ুনের কবর নির্মাণে খরচ হয়েছিল ১৫ লক্ষ টাকা। কবরটির নকশা করেছিলেন পারস্যের বিখ্যাত স্থপতি মিরাক মির্জা গিয়াস। সম্রাট হুমায়ুনের সমাধি সৌধস্থলের অভ্যন্তরে তাঁর বেগম হামিদা বানু বেগম, সম্রাট শাজাহানের জ্যৈষ্ঠ পুত্র দারা শিকো, দ্বিতীয় আকবর প্রমুখের সমাধি রয়েছে। আগ্রার যমুনা নদী হয়তো এর রূপে মোগল সম্রাটদের গভীরভাবে আকৃষ্ট করে থাকবে। আর এ কারণে তাঁরা এ নদীকে ঘিরে এতোগুলো দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা তৈরি করেছিলেন।

আরও পড়ন ভ্রমণকাহিনী কুনমিংয়ের বৃষ্টি ও শৈশবের বৃষ্টিবিলাস

আগ্রায় মোগলদের আরও একটি অনিন্দ্য সুন্দর স্থাপত্য হলো আগ্রা দূর্গ। সুলতান সিকান্দার লোদীর আমলে (১৪৮৮-১৫১৭) দিল্লী থেকে আগ্রায় রাজধানী স্থানান্তরিত হয়। পানিপথের যুদ্ধে মোগল সম্রাট আকবরের নিকট পরাজিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি আগ্রায় অবস্থান করতেন। সিকান্দার লোদী দূর্গের ভিতরে বেশ কিছু ইমারত ও ইঁদারা তৈরি করেছিলেন। ১৬৩৮ সালে দিল্লীতে স্থানান্তরের পূর্ব পর্যন্ত আগ্রা দূর্গ ছিল মোগল সম্রাটদের রাজকীয় আবাস। বর্তমান দূর্গটি মোগল আমলে নির্মিত হলেও সেখানে ১১ শতকে নির্মিত একটি প্রাচীন দূর্গের অস্তিত্ব ছিল। ১৪৭৫ সালে আগ্রা দূর্গটি ছিল রাজা বাদল সিংহের ইঁটের তৈরি একটি সামরিক দূর্গ! আগ্রা দূর্গ লাল বেলে পাথরে তৈরি দূর্গের সম্প্রসারিত অংশ ষোড়শ শতকে সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে শুরু হয়েছিল এবং অষ্টাদশ শতকে সম্রাট আওরঙ্গজেবের রাজত্বকালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

আগ্রা-দূর্গ
                  আগ্রা দূর্গ

সম্রাট শাহজাহানের সময়ে আগ্রা দূর্গ বর্তমান রূপ লাভ করে। শাহজাহান আগ্রা দূর্গ লাল বেলে পাথরের পরিবর্তে সাদা মার্বেল পাথরে নির্মাণ করেন। প্রায় ৪ হাজার শ্রমিকের আট বছরের শ্রমে নির্মিত এই দূর্গ!মোগলের পরে মারাঠা এবং  শেষ পর্যন্ত বৃটিশ শাসকেরা আগ্রা দূর্গ দখল করেন। ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের সময় এই দূর্গের ভিতরে স্বাধীনতাকামী বিপ্লবীদের সঙ্গে বৃটিশ সৈন্যদের যুদ্ধ হয়েছিল।

দূর্গের ২.৫ কিলোমিটার প্রাঙ্গনের ভিতরে রয়েছে অনেক প্রাসাদ, মসজিদ এবং মিনার। দূর্গের অভ্যন্তরে উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থাপনাগুলো হলো দেওয়ানি আম, দেওয়ানি খাস, শীশমহল, মুহাম্মান বুর্জ, মোতি মসজিদ, নাগিনা মসজিদ ইত্যাদি। এসব স্থাপনায় তিমুরিদ, পারসিক এবং ভারতীয় শিল্প কলার মিশ্রণ দেখা যায়।

আরও পড়ুন ভ্রমণকাহিনী নেপোলিয়ন বোনাপার্টের দেশে

আগ্রার তাজমহল দেখে ফেরার সময় সম্রাট আকবরের নির্মাণকৃত আরও একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা ফতেহপুর সিক্রি দেখতে যাওয়া গেলাম। সম্রাট আকবরের পুত্র সেলিমের জন্মের পর খুশী হয়ে সম্রাট একটি নতুন শহর প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর নাম দেন ফতেহবাদ! পরবর্তীতে শহরটি ফতেহপুর সিক্রি নামে পরিচিতি পায় এবং শিল্পী ও গুণী ব্যক্তিদের বসবাসের আদর্শ স্থানে পরিণত হয়! সম্রাট আকবর তাঁর পূর্ব পুরুষ তৈমুর লঙ্গের পারসিক আদলের সঙ্গে স্থানীয় আদলের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে এক যুগান্তকারী স্থাপনা নির্মাণ করেন। সম্রাটের ইচ্ছায় মাইল দুয়েক লম্বা এবং মাইল খানেক চওড়া ফতেহপুরে নতুন রাজধানী গড়ে ওঠে। ফতেহপুর নির্মাণে খরচ হয়েছিল এক কোটি চল্লিশ লাখ টাকা। এতে দুই হাজার নয় শতটি অট্টালিকা ছিল! ফতেহপুর ছিল মূলত একটি দূর্গ। ফতেহপুর সিক্রিতে ষাট হাজার সৈন্য বাস করতো।

দিল্লীর লাল কেল্লা কিংবা আগ্রার লাল কেল্লার চেয়ে ফতেহপুর সিক্রির কেল্লা অনেক বড় এবং জাঁকজমকপূর্ণ ছিল। তিন দিকে প্রাচীর ঘেরা শহরটিতে ছিল নয়টি দরজা। চতুর্থ পাশে তৈরি করা হয়েছিল একটি কৃত্রিম লেক। নয়টি দরজার মধ্যে প্রধান দরজাটি ছিল বুলন্দ দরওয়াজা। ১৫৭৩ সালে সম্রাট আকবর গুজরাট বিজয়ের স্মৃতিতে এটা তৈরি করেছিলেন। এটি ছিল বিশ্বের বৃহত্তম দরজা! প্রায় চল্লিশ ফুট উঁচু বেদির উপর চুয়ান্ন ফুট উঁচু দরজা দিয়ে হাতিও প্রবেশ করতে পারতো। বিশ্ববিখ্যাত দরজাটিতে পবিত্র কুরআনের আয়াত খোদিত আছে। গঠন শৈলীর কারণে এটি দর্শকের দৃষ্টিতে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।

মোগল আমলে নির্মিত অনিন্দ্য সুন্দর এই স্থাপনাগুলো দেখার জন্য সারা দুনিয়ার মানুষ হুমড়ি খেয়ে পরে। কিন্তু এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ যথাযথভাবে হয় কিনা-সে ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।

 

ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ফেসবুক ও  ইউটিউব চ্যানেলে

তাজমহলের শহর আগ্রায়

Facebook Comments Box

তাহমিনা খাতুন একজন বহুমুখী প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব। তিনি ছড়া, কবিতা, গল্প, ভ্রমণকাহিনি এবং নারীর অধিকার নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত কলাম লিখে থাকেন। পেশায় তিনি একজন আইনজীবী। তার পেশাগত জীবনে তিনি নারীদের আইনি সহায়তা প্রদান এবং তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করতেন। তাহমিনা খাতুন ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ১লা মার্চ পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত আহম্মদপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে এই গ্রামেই।

error: Content is protected !!