জলখেলা, দেহের ভাঁজে কতো পথ, নৌকোজীবন, রঙছবি
জলখেলা
আমার চোখের নদী
জলের নূপুর হয়ে
ঢেলে দেয় সবুজ দুপুর
চেয়ে থাকে ঘাট থেকে নদী
নদী থেকে কষ্ট, প্রেম।
এতসব জল খেলা
ভিতরে ভাঙন আনে
ঋতুর খেলায়।
ডুবো জলে ডুবে থাকি
নদীর আশায়
তবু কেনো প্রেম প্রেম নেশা
কার যেন ঘর ভাঙে
জলের খেলায়।
আর হাঁটু গেড়ে বসে থাকি
তোমার ডেরায়।
আরও পড়ুন আদ্যনাথ ঘোষের কবিতা-
শূন্যের নিক্তিরা
যদি তুমি হও কালোরাত্রি
হে তরুণ
দেহের ভাঁজে কতো পথ
দেহের ভাঁজে কতো পথ
কতো তার তান
কতো তার লয়
অনুরাগে ঝরে ঝরে পড়ে।
শুকনো পাতা আর
ঝরা ফুল
মরাঘাট নদী, জ্বালাপোড়া মাঠ
গতিহীন, নিথর নীরব।
হুহু করে কেঁদে ওঠে প্রাণ
পথহীন নির্বাক।
জেগে ওঠে মন
ভেসে ওঠে আশা
ঢেউ জাগে সংসার বুকে
পথের বাঁকে,
পড়ে থাকা ধুলোয়
বিষণ্ন উঠোনে।
নৌকোজীবন
কিছু কিছু কথা
কিছু লবণের কণা
কিছু ভাত আর মাড়
আর কিছু ঝাল
সব কিছু সাবাড় করেই চলি।
দিন চলে যায়
মাস পার হয়,
তবু পড়ে থাকে কথা,
সংসারের ক্ষত,
বয়সী সময়, চামড়ার ভাঁজ
আর কিছু কষ্টের বুনট।
তবু তুমি আশার দংশনে
দিন গুনে চলো
ব্যাকুল তৃষ্ণায়
প্রতীক্ষার মোহে আর কাছে।
তাই পোড়ার জ্বালায়
বুক পেতে বসে আছি
সব আজ জড়ো করে
দাউদাউ চিতায়।
রঙছবি
উনুনের কান্না যদি ভেসে ওঠে আগুনের শরীরে
তা হলে কী জোনাকির চুম্বন রঙ মাখে জলরঙ খেলায়!
কী নামে ডাকবো তোমায়? ভালোবেসে বলো,
স্মৃতিগুলোও সন্ধ্যার ভেতর কুড়িয়ে চলে উড়ানো ফসল।
আমাকেও বুঝে নিতে হয় ফসলের উর্বরা ভরণ।
তাই দেখে জীবনও ছোবল মারে উনুনের গন্ধে।
জানার তো সীমারেখা নেই।
কালোর শরীর পেঁচিয়ে শুয়ে থাকে আলোর বিছানা।
মুছে যায় কান্নারও পায়ের ছাপ।
এই ঘোর ঘোর পিপাসায় কেন তুমি শিউলি ফোটাও?
কেন তুমি জীবনের পাতায় নিতি নিতি রঙছবি আঁক?
ভোর আর উনুন, আগুন আর জল; এই মোহন বাঁশির সুর
আর ছুঁয়ে থাকা স্রোতসিনী নদী কি যাবে না জীবনের কালসাপ খেয়ায়?
আরও পড়ুন কবিতা-
অগ্নিশ্বর
তোমার প্রতীক্ষায়
প্রকৃতিতে হবো লীন
প্রেমের পদ্য
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে