কালের যাত্রী, জ্যান্ত লাশের গন্ধ
কালের যাত্রী
নামেই শুনি প্রণোদনা না পায় কোন দুস্থজনা
যায় না চেনা কে কোন জনা চতুর্পাশে প্রবঞ্চনা ;
কাঙাল বেশে খাচ্ছে চুষে
বিচারকর্তা দেখছে বসে-
নেড়ি কুত্তা আগে-পিছে সকাল-সন্ধা আনাগোনা
চিতায় পোড়া মরা লাশের নামেও হচ্ছে হুলিয়ানা।
কেউ তো নহে ছোটবড় জগতময়ী মায়ের কাছে
সন্তানসম আদর-স্নেহে কাছে টানে সে ভালোবেসে ;
তুই কেন আজ রাতকানা
দেখেও কেন দেখিস না মা -?
হাড়-মাংস খাচ্ছে গিলে হারামীর দল পাটায় পিষে
জ্বলে অঙ্গ জ্বলে মাগো আজ দেখে ওরা অট্টহাসে।
চেনা যে দায় আসল-নকল সবই যেনো মায়াজাল
খরিদ করে এনে ঘরে ভেঙে দেখি এ মাকাল ফল !
কথা কাজে মিষ্টি হাসি
অন্তরে সে নরকবাসী-
সুযোগ বুঝে নিচ্ছে খুঁজি অসহায় এতিমের মাল
কালের নেশায় কালের যাত্রী ভুলে গেছে মহাকাল।
আরও পড়ুন মো: হাতেম আলীর কবিতা-
অচিন পাখি
শহুরে ছোঁয়া
শূন্যতা
জ্যান্ত লাশের গন্ধ
উত্তর-দক্ষিণ পূর্ব-পশ্চিম যেদিক পানে চাই
কেমন যেনো উৎকট এক লাশের গন্ধ পাই।
মরা লাশ নয় জ্যান্ত মানুষ গরীব-দূঃখী জনে
ঘুরছে কবর শ্মশান ঘাটে ক্ষুধার্ত দীনহীনে।
ফুল ফসলে ভরে আছে এই বাংলার ভান্ডার
তবু কেন বলতে পারেন সুখ শান্তি নেই আর?
পাচারকারী মজুদদারী বাড়ছে দুরাচার
গরীব-দুখী, মধ্যবৃত্তের মনে শুধুই হাহাকার।
দিন-দুপুরে চাঁদাবাজ চায় যখন তার সেলামী
প্রাণ ভয়ে সব দিয়ে ভাবি জীবনটা যে দামী।
ধমক দিয়ে বলে যখন থাকলে জানের মায়া
এখন থেকে বাঁচতে হবে মাসোওয়ারা দিয়া।
বাসে ট্রামে চলতে ফিরতে লাগাম ছাড়া ভাড়া
সিট খালি নেই তবু লোকের চলতে হচ্ছে দাঁড়া।
কার কাছে এর দেবো বিচার দুঃখে মরে যাই
আইন আছে ঠিকই দেশে প্রয়োগ যে তার নাই।
শীতকাল আজ তবু ঘামে ভিজছে শরীর মন
কোন রোগেতে বলতে পারো হচ্ছে রে এমন?
স্বাধীন দেশটা আজও যেনো লাগছে পরাধীন
ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত হচ্ছে ক্ষীণ দিনদিন।
আরও পড়ুন কবিতা-
প্রকৃতিতে হবো লীন
সাবাশ বাংলাদেশ
সময়ের দাবি
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
কালের যাত্রী