কপিশ-নয়ন-শেষ-পর্ব
আবু জাফর খান (গল্প),  গল্প,  সাহিত্য

কপিশ নয়ন (শেষ পর্ব)

কপিশ নয়ন (শেষ পর্ব)

আবু জাফর খান

 

ছয়.
মধ্যরাত। কে যেন আব্দুর রহিত ব্যাপারীর সদর দরজায় কড়া নাড়ে। একবার দুবার নয়, অনবরত।
ব্যাপারীর তন্দ্রামতো এসেছিল। সে উঠে বসে। রাগে বিরক্তিতে তার হাত-পা কাঁপছে। ভয়ও পেয়েছে। তার শত্রুর অভাব নেই। চারপাশে বৈরিতা। শত্রুসংকুল পরিবেশে তার বাস। সুহৃদ বলে কেউ নেই। আগে তবু আড়ালে আবডালে চলত। ইদানিং অনেকটা প্রকাশ্যেই চলে।
“কে? কে কড়া নাড়ে?” রহিত ব্যাপারীর গলা কেঁপে যায়।
“মামা আমি। আমি শাওন। দরজা খুলুন। প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে এসেছি। দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না। একটু তাড়াতাড়ি করুন।” শাওন গলা চড়িয়ে বলে।
“এত রাতে আমাকে উদ্ধার করতে এসেছে! যতসব অপদার্থের দল আমার ঘাড়ে এসে চাপে!” রহিত ব্যাপারী রাগে গজ গজ করতে করতে গেট খোলে।
“মামা, ভাত আছে? খিদেয় নাড়ি-ভুড়ি চোঁ-চোঁ করছে।” শাওন মামার রাগ মোটেই গায়ে মাখে না।
“হ্যাঁ, নবাব পুত্রের জন্য ভাত রেঁধে বসে আছি। আমার রেঁধে খাওয়ানোরই মানুষ নেই। উনি এসেছেন দুপুর রাতে ভাত খেতে। আখুটে কথা শুনলে পিত্তি জ্বলে।”
“কেন, আপনার রোশনি বেগম নেই?” শাওন আড়চোখে মামার দিকে তাকায় ।
রহিত ব্যাপারী আমতা আমতা করে। সে তার ঘরের দরজার সামনে গ্যাট হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার চোখেমুখে সন্ত্রস্ত ভাব। শাওন যা বোঝার বুঝে নেয়। শালার বুড়োর ভীমরতি ধরা এখনো কাটেনি তাহলে! ভীমরুলের চাকে খোঁচা দিয়ে তোমার দফা নিকাশ করব এবার।
“রোশনি আছে। ও না থাকলে তো উপোস করে মরতে হতো। বেচারি সারাদিন পরিশ্রম করে। এখন ঘুমচ্ছে।”
“ওকে ডাকি।” শাওন রোশনির ঘরের দিকে এগোয়।
“না না, তুই হাতমুখ ধুয়ে নে। আমি ডাকছি।”
“মামীকে আনেন না কেন? তিনি তো শহরের বাড়িতে একা থাকেন।”
“ও মাগির কথা বাদ দে। উনি তো জমিদারনি। এখানে এলে পায়ে যদি মাটি লাগে?”

আরও পড়ুন গল্প লালু

শাওন মনে মনে ভাবে, হ্যাঁ বাদ তো দেবোই। সে আসলে তো আপনার দুর্গন্ধী কর্মকাণ্ডে বিঘ্ন ঘটবে। আপনি তো একটা অশিষ্ট জীব। আপনার সঙ্গে কেউই বাস করতে চাইবে না। না স্ত্রী, না ছেলেমেয়ে, না অন্যকেউ। অবিশ্যি রোশনিরা চাইবে। উপোস করে মরার চেয়ে এই ভালো। পেটও ভরে, গতরের আশও মেটে। আবার হাতে দুটো টাকাও আসে। তবে সব রোশনিরা নয়। শাওন জানে একে একে ছয় ছয়জন কাজের মেয়ে বুড়োর অত্যাচারে পালিয়েছে। একজনের জন্য তো রীতিমতো শালিস বসাতে হয়েছিল। শাওনও উপস্থিত ছিল। মোটা টাকা গুণে বুড়ো সেবার পার পায়। অবশেষে সেয়ানা বুড়ো গা-গতরে হৃষ্টপুষ্ট গাংভাঙা চরের মেয়েকে খুঁজে বের করে। বুড়ো-হাবড়া এখন আছে বেশ। বাপের শালা এই বয়সেও আশ মিটিয়ে চালাচ্ছে!
“মামা, আপনার সাথে কিছু কথা ছিল। আমি ভোরেই চলে যাব। আপনি তো অজু করে এসেছেন। তাহাজ্জুত আদায় করবেন। এটি তো শেষ রাতের নামাজ। এখনো অনেক সময় বাকি।”
“কী বিষয়ে, শুনি?”
“মজু মামাকে কেন তাড়িয়ে দিলেন?”
“নিষ্কর্মা মানুষকে আমি একেবারে সহ্য করতে পারি না। শালা বসে বসে আমার অন্ন ধ্বংস করছিল।”
“তিনি আপনার স্ত্রীর বড় ভাই। সম্মান করে কথা বলুন। তাছাড়া আপনি অজু করে এসেছেন। অশালীন শব্দ ব্যবহারে অজু নষ্ট হবে।”
“তুই আমার সঙ্গে মস্করা করছিস!”
“নাউজুবিল্লা। আমি বয়োজেষ্ঠ্যদের অসম্মান করি না। তবে মুখের ওপর সত্য বলতে একটুও দ্বিধা করি না। তা মজু মামা কী পরিমাণ অন্ন ধ্বংস করেছেন বলে আপনার ধারণা?”
“গড়ে প্রতিবেলা তেত্রিশ টাকা করে ধরলে দিনে তিনবেলা একশো টাকা। বছরে প্রায় ছত্রিশ হাজার পাঁচশো টাকা। সেই হিসেবে তিন বছরে এক লক্ষ নয় হাজার পাঁচশো টাকার অন্ন ধ্বংস করেছে। এ তো গেল শুধু খাবার হিসেব। এছাড়া…।”
“ব্যস ব্যস, বুঝতে পেরেছি। আপনি কি ক্যালকুলেটরে হিসেব করেছেন? নাকি খাতা-কলমে, না কর গুণে? ক্যালকুলেটরে নিশ্চয়ই নয়? কারণ, সেটি আপনার নেই। ছাত্রাবস্থায় ধার-ধোর করে কাজ চালিয়েছেন। বেশ ক’বছর পর মাস্টার্স করেছেন জায়গির থেকে। হোস্টেলে থেকে পড়ার খরচ চালানোর মতো হৃৎপিণ্ড না ছিল আপনার না আপনার বাবার। কী, ঠিক বলছি তো?”

আরও পড়ুন গল্প সুরেন বাবু

“তুই কি এত রাতে আমার পাছায় লাগতে এসেছিস?”
“আমি এত অধঃপাতে যাইনি যে আপনার পাছার দিকে নজর দেব। আমার অভিরুচিও অত নিম্নগামী নয়, সেটি আপনি বেশ ভালো করেই জানেন।”
“কী বলতে চাইছিস?” রহিত ব্যাপারী যে অনেক কষ্টে নিজেকে দমন করছে সেটি শাওন বুঝতে পারে।
“বলছি, আপনার আপাদমস্তক সুন্নতি লেবাস। মাথায় টুপি, মুখে চাপদাড়ি, পরনে জোব্বা এবং সেলাই বিহীন লুঙ্গি। এই পবিত্র পোশাকের মর্যাদা রক্ষা করা মুসলিমদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। আপনি কি তা করছেন?”
“নিশ্চয়ই করছি। আমি তাহাজ্জতসহ পাঞ্জেগানা নামাজ আদায় করি।”
“তা করছেন। আপনার অশীলতা আড়াল করবার বৃথা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সেটি আমার চেয়ে ভালো আর কেউ জানে না। আপনার নিশ্চয়ই জানা থাকার কথা, ‘সূরা মাউনে’ আল্লাহ পাক বলেছেন, ‘আরাইতাল্লাযী ইউকাজ্জিবুবিদ্দীন। ফাজালিকাল্লাযী ইয়াদুউল ইয়াতীম ওয়ালা ইয়াহুদ্দু আলা তায়ামিল মিসকীন। ফাওয়াইলুল্লিল মুসাল্লীন। আল্লাযিনা হুম আন সালাতিহিম সাহূন। আল্লাযিনা হুম ইউরাউন।’ আপনার কি এ অংশটুকুর অর্থ জানা আছে?”
“আমাকে অর্থ শেখাতে এসেছে!” রহিত ব্যাপারী রাগে থর থর করে কাঁপছে।
“অত রাগলে ব্রেইন স্ট্রোক হতে পারে মামা। একটু স্থির থাকুন। অর্থ আসলে আপনি জানেন না। আমি বলছি শুনুন। —‘তুমি কি দেখেছ তাকে, যে দীনকে প্রত্যাখান করে? সে তো সেই, যে এতিমকে রূঢ়ভাবে তাড়িয়ে দেয়। এবং অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদানে উৎসাহ দেয় না। সুতরাং দুর্ভোগ সেই সালাত আদায়কারীদের, যারা তাদের সালাত সম্বন্ধে উদাসীন। যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ এখানে ‘দীন’ অর্থ কিন্তু নিঃসম্বল। মামা আপনি মজহাব চৌধুরীর মতো অতি অসাধারণ একজন অসহায় মানুষকে নির্মম মানসিক যন্ত্রণায় নিপতিত করে তাঁর শেষ আশ্রয়টি বিচূর্ণ করেছেন। তাঁকে পথে নামতে বাধ্য করেছেন। আপনার এই লেবাস, আপনার সালাত আদায় মেকি বহিরাবরণ ছাড়া আর কি?”
“তোর স্পর্ধা দেখে আমি বিস্মিত হচ্ছি!”

আরও পড়ুন ভ্রমণকাহিনী নেপোলিয়ান বোনাপার্টের দেশে

“এ তো সবে শুরু। বিস্ময়ের কোনো এক পর্যায়ে স্খলিত পায়ে ঘরে ঢুকে খিল এঁটে হাত-পা ছেড়ে সটান ভূশয্যা নিতে হবে।”
“তুই এই মুহূর্তে আমার দৃষ্টি সীমানার বাইরে চলে যাবি। আর যেন কখনো তোকে না দেখি।”
“হেঁটে যাব, না দৌড়ে?”
“দৌড়ে যাবি। এক সেকেন্ডও সহ্য হচ্ছে না তোকে।”
“কথা যে এখনো শেষ হয়নি মামা। আপনি খুব ভালো করে জানেন, আমি এখানে থাকতে আসিনি। আপনার কাছে থাকার অভিরুচি আমার নেই। আপনার আশপাশে আসলে কেউ কখনো ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না। রহিত ব্যাপারীরা চিরকালই একা।”
“মানে?”
“আপনি মজু মামার খাই-খরচার চুলচেরা হিসেব দিলেন। কিন্তু সপ্তাহে সপ্তাহে জামাইয়ের ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করায় সে ভদ্রলোকের কত টাকা গচ্ছা যায় তা কি একবারও হিসেব করেছেন? আমি এই মুহূর্তে অঙ্ক কষে দেখলাম, আপনাকে আনা-নেয়া করা বাবদ এ পর্যন্ত শুধু তেল খরচই হয়েছে পাঁচ লক্ষ ছিয়াত্তর হাজার টাকা। নিজের ব্যাপারে ষোলো আনা হিসেব, আর অন্যের ব্যাপারে ঠনঠন, তা তো চলে না মামা। কেবল পেতে এবং আত্মসাৎ করতে হাত বাড়িয়ে থাকবেন, দেবার বেলায় শূন্য, তা কী করে মানা যায়। কেউই মানবে না। আপনার বারোজন নাতি-নাতনির কারও জন্যই আজ অবধি কানাকড়িও খরচ করতে দেখিনি। আমার তো মনে হয়, মৃত্যুর পর আপনি এই বিপুল বিষয়-আশয় কোদাল দিয়ে চেঁছে কবরে নিয়ে যেতে চাইবেন। নাকি চাঁছা শুরু করেছেন? না করলে অযথা কালক্ষয় না করে আরম্ভ করুন। কারণ, একজন গোর খোদকও পাশে পাবেন না আপনি। কাজটি করতে পারলে অন্তত বুকের কাছে ধনসম্পত্তি নিয়ে অনন্ত নিদ্রাটি সুখের হবে। এ জগতে তো তেমন ঘুমতে পারেননি। কী বলেন?”
“তুই ব্যাটা কপর্দকহীন। তুই বিষয়-আশয়ের কী বুঝবি?”

আরও পড়ুন গল্প  তৃতীয় স্বাক্ষী

“আমার বোঝার দরকারও নেই। ঐ যে বললেন, “তুই কপর্দকহীন’। হ্যাঁ, আমি তাই-ই। তবে আপনার মতো বাটি হাতে দাঁড়ানোর ইচ্ছে আমার নেই। অত লোলুপতাও নেই। কুড়ি বছর হলো আপনার বাপ গত হয়েছেন। আপনি আজও এক ক্রান্তি জমিও বোনদের দেননি। ইতোমধ্যে তিন ছেলের নামে পঁচিশ বিঘা সেরা জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন। স্পষ্টত মেয়েদের বঞ্চিত করলেন! মেয়েগুলো কি আর কারও বীর্যে তৈরি? উত্তরাধিকারীদের বঞ্চিত করে যারা, নিশ্চয়ই তারা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে—এটি আপনার জানা থাকার কথা।”
“তুই অনেক বলে ফেলেছিস। আমি তোকে যেতে বলেছি।” রহিত ব্যাপারী রাগে তোতলাচ্ছে।
“এত অস্থির হচ্ছেন কেন? আমার সত্য কথাগুলো কি খুবই অপ্রিয় মনে হচ্ছে? যত রূঢ়ই মনে হোক, কথাগুলো যে আমি বলবই। এখনো শেষ হয়নি৷ মামা, আপনি রোশনি বেগমকে নিকে করছেন না কেন? এভাবে ওকাজ করাটা কি ঠিক? আপনি হজব্রত পালন করা শ্বেত শ্মশ্রুশোভিত ছিয়াত্তর বছর বয়সী সুন্নতি লেবাসধারী একজন মানুষ। একাজ তো আপনার মানায় না। ইসলাম ধর্মে একসঙ্গে চারজন স্ত্রী রাখার বিধান আছে। রোশনি বেগম হবে আমার দ্বিতীয় মামী। সমস্যা কোথায়? রহিত ব্যাপারী করবে নিকে আঙুর বেগমের কন্যাকে। মন্দ হবে না। আপনার বাবা চারবার পিঁড়িতে বসেছিল। আপনি না হয় দুইবার বসলেন। তাছাড়া কাজের মেয়ে বিয়ে করার পারিবারিক ঐতিহ্য তো আপনাদের রয়েছেই। আপনি এভাবে দিনের পর দিন অধর্ম করে যেতে পারেন না। সমাজ মানবে কেন?”
“তুই আমাকে সমাজ দেখাচ্ছিস! সমাজের ইয়ের মধ্যে আমি ইয়ে ঢোকাই। ব্যাটা… (অশ্লীল) এই মুহূর্তে আমার চোখের সামনে থেকে দূর না হলে… ।” ক্রোধান্ধ রহিত ব্যাপারী রাগের তোড়ে বাক্যটিও শেষ করতে পারে না।

আরও পড়ুন গল্প পরাজিত নাবিক

“দূর না হলে কী করবেন? শ্বশুরের দেয়া বন্দুক দিয়ে গুলি করবেন? পারবেন না। জানেন তো, লোভী এবং অসতেরা হয় অতি ভীরু। দরজা থেকে সরে যান। আমি আপনার ঘরে ঢুকব।”
“না না, খবরদার।”
“কেন, গা কেমন-কেমন করছে? আমি জবরদস্তি করে ঢুকতে পারি। কিন্তু সেটি করব না। আপনাকে স্পর্শ করার ইচ্ছে আমার নেই। ঘৃণা বোধ করি। শুনুন মামা, গায়ে গু মাখলেও যমে ছাড়ে না। আপনাকেও ছাড়বে না। আপনার ঘরে ঢুকলে কী দেখতে পাবো আমি জানি। সেটি দেখার রুচি আমার নেই। আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখুন, ঝাঁকে ঝাঁকে শকুন উড়ছে। ওরাই আপনাকে খুবলে খাবে। আপনার ভাগ্যে মাটিও নেই।”
রুদ্র শাওন বড়াল নদীর তীর ধরে দ্রুত হাঁটছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মজু মামার কাছে পৌছতে চায়।

দুদিন পর আব্দুর রহিত ব্যাপারীর বাড়ির দিকে উৎসুক জনতা সহস্র দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে আছে। একটি অবলুপ্তপ্রায় পাখি দল বেঁধে বাড়িটির ওপর উড়ছে। কিছু পাখি ঘরের ওপরকার বিশাল আমগাছের ডালে বসেছে। বাড়ির ভেতর থেকে ভেসে আসছে শকুন-শকুনির হুল্লোড়। বাতাসে কটু গন্ধ। জনতার ঠোঁটে ঈষৎ বাঁকা হাসি।

আরও পড়ুন কপিশ নয়ন-
১ম পর্ব
২য় পর্ব
৩য় পর্ব

 

ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলফেসবুক পেইজে

কপিশ নয়ন (শেষ পর্ব)

Facebook Comments Box

কবি ও কথাশিল্পী আবু জাফর খান নিবিড় অন্তর অনুভবে প্রত্যহ ঘটে চলা নানান ঘটনা, জীবনের গতি প্রকৃতি, বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি, ব্যক্তিক দহনের সামষ্টিক যন্ত্রণা তুলে আনেন নান্দনিক উপলব্ধির নিপুণ উপস্থাপনায়। তাঁর লেখায় ধ্বনিত হয় বিবেক কথনের অকৃত্রিম প্রতিভাষা। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: পাথর সিঁড়িতে সূর্যাস্ত বাসনা, অনির্বেয় আকাঙ্ক্ষায় পুড়ি, যে আগুনে মন পোড়ে, যূপকাঠে যুবক, একটি জিজ্ঞাসাচিহ্নের ভেতর, সোনালী ধানফুল, রাতভর শিমুল ফোটে, বীজঠোঁটে রক্তদ্রোণ ফুল, স্যন্দিত বরফের কান্না, প্রত্নপাথর মায়া; গল্পগ্রন্থ: মাধবী নিশীথিনী, পথে পথে রক্ত জবা, উপন্যাস: মেখলায় ম্যাগনোলিয়ার মুখ, জ্যোৎস্নায় ফুল ফোটার শব্দ, কুমারীর অনন্তবাসনা, জ্যোৎস্নাবাসর, মেঘের বসন্তদিন, রূপোলী হাওয়ার রাত, একাত্তরের ভোর, তৃতীয় ছায়া। তিনি ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ৩১শে জানুয়ারি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত আহম্মদপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। 

error: Content is protected !!