কত শত বিল
কত শত বিল
মযলুম মুসাফির
ব্যস্ত শহরে কঠোর কহরে যদি বসি নিরজনে
গাজনা বিলের যত আছে মাঠ ভেসে ওঠে আঁখি কোণে।
কালিদহে কোন কালি দেখি নাই দেখেছি বানের পানি,
হাতিগাড়ার ঐ হাতি ইতিহাস কতটুকু বল জানি?
বাঁশতালুকেতে আগাছা বোঝাই বাঁশ নাই সেথা কোন,
পদ্মবিলের পদ্মের কথা দাদার মুখেই শোন।
জেলেপথে আজ ধান ও পেঁয়াজ মাছ ধরে নাকো জেলে,
মনের কোনায় সুখ খুঁজে পাই আজও সেথায় গেলে।
মুন্সিডাঙ্গিতে কত খেলিয়াছি গরু খেতো মাঠে চড়ে,
হইচই করে মেতেছি খেলায় সারাটি দিবস ভরে।
বিন্নিডাঙ্গিতে দাদি শুয়ে আছে গেছি কত একা একা,
অনেক বছর হয়নি কো আর দাদির কবর দেখা।
ডহার বিলের শেষ করে কাজ ফের গেছি গমগাড়া,
ফিরতি পথেতে খালুই ভরেছি খুশিতে আত্মহারা।
অভাগা মাছেরে ছোঁ মেরে নিত মাছরাঙা আর চিলে,
আমার এ মন আজো পড়ে থাকে সেই গাজনার বিলে।
ভুতের ভয়েতে সন্ধ্যা নামিছে পড়ে আছি সকিবাজ,
আল্লাহর নাম জবানে ছুটিত মনেপড়ে তাহা আজ।
রয়েছে ধুলট আর গজারিয়া কতো নাম সোনাতলা,
আমরা দেখেছি পানি আর পানি লোকে তারে বলে জলা।
গ্রাম থেকে বেশ দূরেতে আছিলো সেই সে রামার বিল,
মাছের নেশায় মশগুল সেথা বক আর গাঙচিল।
একে একে সব মনে পড়ে যায় আর ছিল মোষেখোলা,
আঁখির পাতায় ভিড় করে সব যায়না তাদের ভোলা।
অনেক মাঠের নাম রহিয়াছে বানান করাই দায়,
সাহস করিয়া করতে গেলেও দাঁতগুলো সব যায়।
কত শত নাম জানা ও অজানা আছে গাজনার বুকে,
কত ইতিহাস অবাক চোখেতে শুনেছি বাবার মুখে।
আরকি ফিরিয়া পাব সেই দিন আর সেই জারিগান?
দিন চলে গেছে হাত ইশারায় ডাকিছে গোরস্থান।
ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজে