একুশ মানেই স্বাধীনতা, অচিন পাখি, আত্মবিলাপ
একুশ মানেই স্বাধীনতা
একুশ মানে বাঁচার ভিত
বীর বাঙালীর অহংকার।
একুশ মানে স্বপ্ন বুনন
পথ দেখালো স্বাধীনতার।
একুশ মানে শিশুর মুখে
প্রথম শোনা মিষ্টি ভাষা।
একুশ মানে ভায়ের রক্তে
বন্দী প্রাণে মুক্তির আশা।
একুশ মানে শিশুর মনে
গল্প-ছবির বর্ণমালা।
একুশ মানে ফাগুন মাসের
আগুন ঝরা বরণডালা।
একুশ মানে তাজা প্রাণের
রক্ত রাঙা রাজপথ।
একুশ মানে মনের চেতনা
সত্য ন্যায়ের দীপ্ত রথ।
একুশ মানে হার না মানা
শহীদ স্মৃতির দৃশ্যপট।
একুশ মানে মায়ের ভাষায়
বলতে স্বাধীন মতামত।
আরও পড়ুন মো: হাতেম আলীর কবিতা-
স্বর্গসুখ
কাগজের ফুল
সাধ ছিল মা
আত্মবিলাপ
স্বার্থের পৃথিবীতে দলবল নিয়ে সাথে
ঘুরতেছি পথে পথে ,
বেলা শেষে ভ্রান্তিতে ক্লান্তিত মন।
লোভে পাপে হয়ে ন্যস্ত হয়েছি রে পথভ্রষ্ট
দেহ মন করেছি নষ্ট;
সময় থাকতে এ মন করিনি যতন।।
নিয়ে ভ্রান্ত ধারনা করেছি ভুল সাধনা
ভবের হাটে বেচাকেনা
বিচার বিবেকবোধ দিয়ে বিসর্জন।
কতশত অভিযোগ না দিয়েছি মনোযোগ
করছি যে উপভোগ;
ফুল ভেবে ভুল পথে করেছি গমন।।
মনে ছিল অভিলাষ গড়ব এক রঙ-বিলাস
সুখ বৃক্ষ করবো চাষ,
পরিত্যক্ত ভুঁইয়ে ফলবে ফসল দ্বিগুণ।
হায় হায় এ কী মহাভুল বিষবৃক্ষে ফুটছে ফুল
পথ হয়েছে প্রতিকূল;
কাঁদি তাই বসে বসে দুর্ভাগা এখন।।
অচিন পাখি
ও মন মাটির ঘরে বসত যে কার
দেখলি না তালাশ করে-
ও তোর জ্ঞান চক্ষুতে পরলে ছানি,
দেখতে পাবি না তারে।
তোর দেহের মাঝে আছে এক নদী-
সেই নদিতে তরঙ্গ স্রোত বয় নিরবধি
ভোলা মন বয় নিরবধি।
ও মাঝি তোর ভাঙা নৌকায় উজান ভেঙে
পৌছাবে কি সেই তীরে…।
ও তোর জ্ঞান চক্ষুতে পরলে ছানি,
দেখতে পাবি না তারে।
সেই মাটির ঘরে বসত হয়রে যার
মনের ভুলে একদিনও না খবর নিলাম তার
ভোলা মন খবর নিলাম তার।
ও সে ক্ষণেক থাকে যোজন দুরে
ক্ষণিকেই এ অন্তরে….।
ও তোর জ্ঞান চক্ষুতে পরলে ছানি,
দেখতে পাবি না তারে।
মনের মাঝে দিবানিশি চলেছি খুঁজে
তবু তো সেই অচিন পাখি পায় না দেখিতে
ওরে মন না পাই ধরিতে।
অধম এইচ আলী কয় অচিন পাখি রে
কখন না জানি যায় উড়ে।। ঐ
ও তোর জ্ঞান চক্ষুতে পরলে ছানি,
দেখতে পাবি না তারে।
আরও পড়ুন কবিতা-
প্রকৃতিতে হবো লীন
সাবাশ বাংলাদেশ
সময়ের দাবি
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
একুশ মানেই স্বাধীনতা