একশত ছিদ্রযুক্ত জামা (৪র্থ পর্ব)
একশত ছিদ্রযুক্ত জামা (৪র্থ পর্ব)
এবারের অপারেশন হবে বনকোলা নামক গ্রামে। সেখানে জনা পঞ্চাশেক মিলিটারির একটি ক্যাম্প গঠিত হয়েছে। যেকোনো মূল্যে সে ক্যাম্পটিকে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। বনকোলা গ্রামটি একেবারে গাজনার বিলের তীর ঘেঁষে। সেই হিসেবে জলপথেই আক্রমণ সবচেয়ে সুবিধা ও নিরাপদ। তিনটি নৌকায় তোলা হলো মোট বিশ জন মুক্তিযোদ্ধা। দুটি ভাউলিয়া নৌকা ও একটি জেলে ডিঙি। ভাউলিয়া নৌকাটির পেছন থেকে অর্ধেক পর্যন্ত বাঁশের শক্ত চাতালের মতো ছই। সামনেরটুকু একেবারেই ফাঁকা। এতে করে বেশ সুবিধাই হয়। পাকসেনাদের নিয়োজিত অনুচরদের আর সন্দেহ থাকে না যে সেগুলোতে আসলে মুক্তিযোদ্ধারা লুকিয়ে আছে।
ভাউলিয়া নৌকাটি ক্ষুদ্রাকার, অপ্রয়োজনীয় বাহুল্যবর্জিত ও হালকা। অপেক্ষাকৃত কম আয়তনের দীর্ঘ কিন্তু সংকীর্ণ। তাই দ্রুতগতিসম্পন্ন। একমাত্র কেবিনটি ডেকের কিছুটা নিচ থেকে তৈরি হয় বলে এর উচ্চতা কম এবং জলের ওপর স্থিতিশীল বজরা, পানসি কিংবা গয়না-নৌকাগুলো আরাম ও অলস ভ্রমণের জন্য বেশ প্রসিদ্ধ ও মনোহর। কিন্তু বাতাস ও স্রোত প্রতিকূল হলে মন্থরগতি। নদী-বিলবিধৌত এই এলাকায় যুদ্ধ করে মকবুল হোসেন যেন দিনে দিনে বেশ পাকা হয়ে উঠেছেন। যুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্রপাতিগুলো বেশির ভাগ সময়ই মাছ ধরার জাল কিংবা পালে ব্যবহৃত কাপড় দিয়ে ঢাকা থাকে। সুবিধামতো সময়ে সেগুলো বের করে কাজে লাগানো হয়।
মকবুল হোসেন নির্দেশ দিলেন কার কী কাজ। আতা মাঝি সেজে হাল ধরে থাকবে। এন্তার ও মোকসেদ দুজন বিলের মধ্যে জাল ফেলতে ফেলতে বনকোলার ঘাটে ভিড়ে তারা যত দূর সম্ভব কাছাকাছি যাওয়া যায়, সেখান থেকে পাকসেনাদের ক্যাম্পটির পূর্ণাঙ্গ খবর জোগাড় করবে। তারপর পরিবেশ-পরিস্থিতি আক্রমণের অনুকূল দেখে তারা শেয়ালের মতো করে ডাক ছাড়বে।
আরও পড়ুন গল্প সম্রাট জাহাঙ্গীরের স্বর্ণমুদ্রা
ভাউলিয়া নৌকা দুটি বেশ খানিকটা দূরত্ব বজায় রেখে জেলে ডিঙিটির পদচ্ছাপ অনুসরণ করবে। শেয়ালের ডাক শোনামাত্রই মুক্তিযোদ্ধারা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হয়ে পাকসেনাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে বিক্রমে। বেশি রাতে অপারেশন হচ্ছে বলেই আজ শেয়ালের ডাক হাঁকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুবা রাতের প্রথম প্রহরে অপারেশন হলে কুকুরের মতো করে ডাকার নিয়ম। আবার আক্রমণ যদি কখনো-সখনো ভোররাতে করতে হয় সে ক্ষেত্রে সাংকেতিক চিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত হয় কোকিলের ডাক।
ভাউলিয়া নৌকা দুটিতে সতেরো জন মুক্তিযোদ্ধা সতর্কাবস্থায় কান দুটি উৎকর্ণ করে রইল। কখন শুনতে পাবে অতীব কাঙ্ক্ষিত সেই শেয়ালের ডাক। প্রকাণ্ড বিলের জলরাশির ঢেউগুলো ছলাৎ ছলাৎ শব্দে নৌকার গলুইতে এসে আছড়ে পড়ছে। ঢেউয়ের তরঙ্গমালার মতো রেজেকের মনের মধ্যেও চলছে অবিরাম ধুকপুকানি। কী হবে যুদ্ধে? সে যদি মারা যায়, মোমেনা কীভাবে একা বেঁচে থাকবে। তার বুকের ভেতরের হৃৎপিণ্ডটা হঠাৎ যেন আছাড় খেয়ে পড়ে। মৃত্যুর আগে মোমেনার বদনখানি কি সে একটিবারের জন্যও দেখতে পাবে না? এসব ভাবতে ভাবতে চকিতে দূর থেকে শেয়ালের ডাক শোনা গেল। পরপর বেশ কয়েকবার।
লহমায় রেজেকসহ অন্য মুক্তিযোদ্ধারাও সতর্ক হয়ে ওঠে। একটু পরই ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে সর্বাত্মক যুদ্ধে। কারো হাতে থ্রি নট থ্রি, কারো হাতে এলএমজি। মকবুল হোসেন ও খোরশেদের হাতে শক্তিশালী স্টেনগান। রেজেকের অবশ্য থ্রি নট থ্রির চেয়ে এলএমজি অস্ত্রটি বেশি পছন্দের। থ্রি নট থ্রি অস্ত্রগুলো পাকিস্তানি হানাদারদের ক্যাম্প লুট করে আনা। আর এলএমজি বন্দুকগুলো এসেছে ভারত থেকে। এসব তথ্য মকবুল হোসেনের মুখেই শুনেছে রেজেক। স্টেনগানের নল পরিষ্কার করতে করতে কমান্ডার মকবুল হোসেন একদিন বললেন,
── বুঝেছিস রেজেক, চিনা নেতা মাও সে তুং সব সময় বলতেন, শত্রুর অস্ত্রাগার থেকে লুট করে আনা অস্ত্রই হচ্ছে আমাদের অস্ত্রাগার।
আরও পড়ুন গল্প পাথরে শৈবাল খেলে
তিনটি নৌকাই বনকোলা গ্রামের একটি ঘাটে এসে থামে। রেজেক ও অন্য মুক্তিযোদ্ধারা সন্তর্পণে নেমে আসে নৌকা থেকে। নিকষ কালো অন্ধকার রাত। পায়ে হাঁটা সরু মেঠো রাস্তাটির দুধারে কিছু বাবলাগাছ। খেজুরগাছের মতো হেঁতাল ঝোপ। কিছু ঘন বাঁশঝাড়। পদধ্বনি শুনে শুকনো পাতা ঠেলে খসখস শব্দ তুলে হয়তো কোনো সাপ-খোপ ঢুকে পড়ে বাঁশঝাড়ের মধ্যে।
কাছেই বনবেড়াল কিংবা খাটাশ-জাতীয় কোনো বন্য প্রাণীর চকিত পদধ্বনি। সবকিছুকেই ভ্রুকুটি করে তারা পৌঁছে যায় পাক-ক্যাম্পটির একেবারে নাগালের মধ্যে। একজন পাকসেনা কাঠ-কয়লার উনুনে কিছু রান্না করছিল। ঠিক সেই সময় প্রথম গুলি চালালেন মকবুল হোসেন। পাকসেনাটি সঙ্গে সঙ্গে লুটিয়ে পড়ল মাটিতে। গুলি ছোড়া শুরু হলো অপর প্রান্ত থেকেও। শুরু হয়ে গেল তুমুল যুদ্ধ। থেমে থেমে যুদ্ধ চলল ভোররাত পর্যন্ত। পঞ্চাশ জন পাকসেনার মধ্যে মারা গেল সাতাশ জন। বাদবাকি সেনা পালিয়ে প্রাণ বাঁচাল। বিশ জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে শুধু শহীদ হলেন খোরশেদ।
যুদ্ধে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি রেজেককে আরেকটি কাজ করতে হয়। সেটি সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার চেয়েও কম শক্ত নয়। তাকে ছদ্মবেশ ধারণ করে পাকসেনাদের গতিবিধি লক্ষ রাখতে হয়। কোথায় নতুন নতুন ক্যাম্প হচ্ছে। রাজাকার-আলবদর-আলশামস, কে কোথায় কীভাবে পাকিস্তানিদের সাহায্য করছে, এসব আরকি। মুটে-মজুর, ফেরি করে তিলের খাজা বিক্রি কিংবা কখনো ভিখারি সেজে পাকিস্তানি সেনাছাউনি ও সম্ভাব্য আক্রমণের খবর সংগ্রহ করতে হয় তাকে।
হঠাৎ করেই খবর এল আলাদিপুর থেকে চার-পাঁচ ক্রোশ উজানে মাতপুর নামে একটি গ্রাম সম্পূর্ণ জ্বালিয়ে দিয়েছে পাক-হায়েনারা। চিন্তার বলিরেখা ফুটে উঠল মকবুল হোসেনের কপালে। রেজেককে নির্দেশ দিলেন ছদ্মবেশ ধারণ করে দ্রুত পাকিস্তানিদের অবস্থান ও গতিবিধির খবর সংগ্রহ করতে। তিনি রেজেককে উদ্দেশ করে বললেন,
── আমরা কুমিরের চোয়ালের মধ্যে পড়ে গেছি রে রেজেক। নয় কুমিরের চোয়াল ভেঙে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। নতুবা কুমিরের উদরস্ত হতে হবে। তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নে, খবর জোগাড় করতে হবে।
আরও পড়ুন গল্প স্বপ্ন গোধূলি
নানা পসরা সাজিয়ে ঝাঁকা মাথায় করে ফেরিওয়ালা সেজে রেজেক রওনা হয় মাতপুরের দিকে। ঘণ্টা দেড়েকের হাঁটার পর পাকা সড়কের কাছে চলে আসে রেজেক। বেশ খানিকটা ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত দেখায় তাকে। বিশ্রাম নিতে একটি ছাতিমগাছের নিচে খানিকটা অলস বসে থাকে সে। মাঝেমধ্যে শাঁ শাঁ শব্দ করে পাশের পাকা সড়ক কাঁপিয়ে মিলিটারি-ভর্তি জলপাই রঙের কনভয় ছুটে যায় নির্দিষ্ট কোনো গন্তব্যে। কনভয়ের ট্রাকগুলোর ভেতর থেকে বারুদ-গ্রেনেডের গন্ধ বাতাসের ওপর ভর করে ভেসে আসে নাকে।
মাতপুর পৌঁছে বিষম খাওয়ার মতো অবস্থা হয় রেজেকের। ঘরবাড়িগুলোতে এখনো জ্বলছে খণ্ড খণ্ড আগুন। বারুদের গন্ধ উড়ে বাতাসে, আগুনে পুড়ছে গ্রাম-জনপদ। এ যেন শুধু নরকের আভাস নয়, পুরোদস্তুর নরক। দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, গতকাল রাতে ভয়ানক যুদ্ধ হয়ে গেছে এখানে। পাকসেনাদের মৃতদেহ পড়ে আছে এখানে-ওখানে। পাক-জানোয়ারের গুলিতে উড়ে গেছে নাম না জানা কোনো এক মুক্তিযোদ্ধার মাথার খুলি। মৃৎপাত্রের মতো ভাঙা খুলির হালকা হলুদ অংশটুকু লেগে আছে রাস্তায়। সে এক রোমহর্ষক দৃশ্য। রেজেকের মাথা চক্কর দিয়ে ওঠে। ভেতর থেকে উল্টে আসতে চায় সবকিছু। শক্ত করে মুখ চেপে ধরে আরেকটু সামনের দিকে এগোয় রেজেক।
মিলিটারিদের একটি ট্রাক নাক ডুবিয়ে পড়ে আছে পাকা সড়কের পাশের একটি খালে। দেখে মনে হয় যেন মিশকালো কোনো মোষ খালে মুখ লাগিয়ে জল খাচ্ছে। জলপাই রঙের মস্ত বড় ট্রাকটির স্থির অবিচল ছায়া দেখা যায় জলের মধ্যে। রেজেক মনে মনে ভাবে, পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীও হয়তো একদিন এ ট্রাকটির মতো মুখ থুবড়ে পড়বে। কিন্তু তাদের বীভৎসতা ও বর্বরতাগুলো জলের এই আবছা ছায়ার মতো দেশের মানুষের মনে ক্ষত সৃষ্টি করে হৃদয়ে লেপ্টে থাকবে কতকাল ধরে, কে জানে?
আরও পড়ুন গল্প সুরেন বাবু
জলপাই রঙের ট্রাকটির পাশেই কিছু রাজহাঁস ও পাতিহাস জলে ডুব দিয়ে গুগলি তুলে তুলে খাচ্ছে। তারপর ব্যতিব্যস্তভাবে ঠোঁট দিয়ে পিঠের পালক সাফ করছে। কী আশ্চর্য! যুদ্ধের এই বীভৎসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ কিছুতেই যেন তাদের স্পর্শ করছে না। কী নির্লিপ্ত ও নির্বিকার এই প্রাণীগুলো। আহ্, এই জীবগুলোর মতো যদি নির্বিকার ও নির্লিপ্ত থাকা যেত! কিন্তু তা তো আর সম্ভব হচ্ছে না। বিগত আট মাস ধরে মোমেনার জন্য ভীষণ এক দহনে ভস্মীভূত হচ্ছে তার হৃদয়। একমাত্র খোদাই বলতে পারেন কবে দেখা হবে মোমেনার সঙ্গে। তত দিন কি সে আদৌ বেঁচে থাকবে? এই ক’মাস নানা ঘাত-প্রতিঘাতে জীবন সম্পর্কেও বেশ সাবালক হয়ে উঠেছে রেজেক। তার মধ্যে আজ এই বোধ জন্মেছে যে দেশ স্বাধীন হলে অবশ্যই দেশের মানুষের অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য আসবে। সেই সাথে তার জীবনেরও উন্নতি হবে। তখন হয়তো হুজুরের নির্দেশমতো তার আর ছেঁড়া-ফাঁড়া জামা পরতে হবে না।
পাকিস্তানি সেনাশিবিরের সমস্ত খবরাখবর জোগাড়যন্ত্র করে রেজেক ফিরে আসে ক্যাম্পে। কী তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, কবে ও কোথায় তাদের পরবর্তী টার্গেট- এই তথ্যগুলো বেশ কৌশল খাটিয়ে জানতে হয়েছে তাকে। কিন্তু এসব গোপন খবর কাউকে দেওয়া চলে না। এ ব্যাপারে কমান্ডার মকবুল হোসেনের কঠোর নির্দেশ। মকবুল হোসেনকে ক্যাম্পের বাইরে একটি নিভৃত স্থানে ডেকে নিয়ে আসে রেজেক। তাকে সবকিছু খুলে বলে সে। ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে পাকসেনারা আক্রমণ চালাবে চিনেখরা, আলাদিপুর, বদনপুর, চরগোবিন্দপুর, চরদুলাই ও লালডাঙ্গী গ্রামে। তাদের ধারণা, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধান আখড়াই নাকি এসব অঞ্চলে। তাদের এ ধারণা তো আর সম্পূর্ণ মিথ্যা নয়- বিড়বিড় করে অস্ফুট কণ্ঠে বলে ওঠেন মকবুল হোসেন। বিস্তীর্ণ গাজনার বিলটি লালডাঙ্গী ও চরদুলাই গ্রাম দুইটির একেবারে লাগোয়া, তাই বড় বড় জেলে নৌকায় পালিয়ে থাকাও বেশ সহজ ও নিরাপদ। পাকসেনারা বেশির ভাগই ডাঙার মানুষ। তারা পানি দেখে যে ভয় পাবে, সেটাই তো স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন গল্প তৃতীয় স্বাক্ষী
মকবুল হোসেন ঈষৎ আতঙ্কগ্রস্ত চোখে বললেন,
── এখন আমাদের কী করতে হবে, কিছু বুঝতে পারছিস?
রেজেক মাথা নেড়ে বলল,
── না, আমরা এহন কী হরবো? কিছুই তো বুইজবের পারতিছিনে, মকবুল ভাই।
মকবুল হোসেন বললেন,
── মাথায় একটি বুদ্ধি এসেছে। বুদ্ধিটা কাজে লাগানো গেলে আমাদের এদিককার সম্পূর্ণ অঞ্চলটি রক্ষা করা যাবে বলে মনে হয়। মাতপুর ও চিনাখরার মধ্যে ইস্পাতের তৈরি লাল রঙের যে ব্রিজটা আছে না, সেটি উড়িয়ে দিতে হবে এবং সেটা করতে হবে ১৫ তারিখ রাতেই। সর্বাত্মক আক্রমণ করতে হবে আমাদের। ধ্বংস করে দিতে হবে পাকিস্তানি কনভয়গুলো। নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে হায়েনাদের মনোবল। এখনো হাতে পুরো ছয়-সাত দিন সময় আছে। লোহার ব্রিজটার কাছাকাছি কোথাও বাংকার খুঁড়তে হবে। তারপর ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দিতে হবে ব্রিজটা। আমাকে এখনই প্রয়োজনীয় বিস্ফোরক ও অন্য অস্ত্রশস্ত্রের জন্য হেডকোয়ার্টারে খবর পাঠাতে হবে। তোরা সবাই তৈরি হয়েনে। রেজেকের দিকে তাকিয়ে বললেন মকবুল হোসেন। আজ রাতেই সম্পূর্ণ পরিকল্পনাটির ছক এঁকে ফেলতে হবে। নইলে দেরি হয়ে যাবে। মকবুল হোসেন রেজেককে উদ্দেশ করে বললেন,
── তুই এখনই গিয়ে আতাকে খবর দে। বল আমি ওকে এখানে ডাকছি। ওই সব ব্যবস্থা করে ফেলবে সময়মতো।
রেজেক মাথা নেড়ে চলে গেল ক্যাম্পের ভেতর।
আরও পড়ুন একশত ছিদ্রযুক্ত জামা-
১ম পর্ব
২য় পর্ব
৩য় পর্ব
শেষ পর্ব
ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগরের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
একশত ছিদ্রযুক্ত জামা (৪র্থ পর্ব)