একশত ছিদ্রযুক্ত জামা (৩য় পর্ব)
একশত ছিদ্রযুক্ত জামা (৩য় পর্ব)
রেজেক বাড়ি ফিরতেই লক্ষ করে, মোমেনাও আসন্ন যুদ্ধবিগ্রহে শঙ্কিত ও চিন্তাগ্রস্ত।
মোমেনা রেজেককে উদ্দেশ করে বলে,
── পাকিস্তানিরা নাকি সত্যই আমারে দেশের মানষির মাইরে ফেলাচ্ছে। ইডা কেমন কতা? ওরা না মুসলমান। মুসলমান হয়া আরেক মুসলমানরে মারতিছে। ওদের কি ধর্মটর্ম কিছু নেই তালি?
── কী আর কবো রে মোমেনা। পাকিস্তানি মিলিটারিরা কাশিনাথপুর ক্যাম্প গাড়েছে। ওরা নাকি আমারে গিরামেও আসপি। অল্প বয়স্ক বেটা-ছেলেদের নাকি ধইরে নিয়ে যাচ্ছে। কী হরবো, কিছুই বুঝবের পারতেছিনে।
মোমেনা উৎকণ্ঠিত গলায় বলে, আগে আপনি হাটে যান। গ্রামের অনেকেই চাল-ডাল-নুন-তেল মজুত করতিছে। যুদ্ধ শুরু হয়া গেলি মানুষজন খাবি-পরবি কেবি কইরে?
── টাহা কনে পাবো রে মোমেনা। রসু হারামজাদা তো এটা টাহাও দিল না।
── আমার কাছে দুইডে টাহা আছে। তাই নিয়ে টপ কইরে হাটে যান। কিছু চাল-ডাল আর নুন-কেরোসিন কিনে নিয়ে আসেন।
দুটো টাকা সম্বল করে হাটে এসে উপস্থিত হয় রেজেক আলী। যদিও ভালো করেই জানে, সম্পূর্ণ মাসের সদাইপাতি করতে কমপক্ষে চার-পাঁচ টাকা প্রয়োজন। কী আর করা, অভাবের সংসার। হাটেও এসেছে তার সেই ফুটো জামা পরে। হাটবাজারে সর্বত্রই একটি চাপা আতঙ্ক ও উত্তেজনা, কখন কী হয়। এর মধ্যেই সবাই হুলস্থুল করে প্রয়োজনীয় সদাইপাতি কেনায় ব্যস্ত। তারপরও অনেকেই রেজেকের দিকে বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে। তার পরিধেয় শার্টটি সত্যিই বেশ অদ্ভুত। বিশ-পঁচিশটা ফুটো। দু-চারটি ফুটো হলেও না হয় বোঝা যায় হয়তো বিপদে পড়ে এই পিরানটি রেজেককে পরতে হয়েছে। কিন্তু বিশ-পঁচিশটা ছিদ্রযুক্ত জামা।
এটা কী ধরনের বসন রে বাবা! হাটের অনেকেই ভ্রুকুটি করে মনে মনে বলে, আজ আবার এ সং সাজা হলো কোন মতলবে কে জানে। পাকা সড়কের দুপাশ জুড়ে পাইকার ও হাটুরেরা নানা ফল ও পণ্যদ্রব্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে। রাঙা আলু, শজনে ডাঁটা, হরেক রকমের বুনো শাক আর বেতফল-জাতীয় রকমারি পণ্য বিক্রি হচ্ছে সেখানে। যুদ্ধের ডামাডোলে লোকসমাগম বেশ কম। আলাদিপুর হাটে অস্থায়ী বিকিকিনির পসরা বসলেও স্থায়ীভাবে আছে কিছু খুচরো মনোহারি ও মুদিয়ালি দোকান। সেই সাথে ডাকঘর ও ইউনিয়ন পরিষদের ঘুপচির মতো খড়ের দোচালা অফিস।
আরও পড়ুন সাতবাড়ীয়া গণহত্যা
চটের বস্তা বিছানো অস্থায়ী দোকান থেকে প্রয়োজনীয় চাল-ডাল ও আনাজপাতি কিনে রেজেক এগোয় খুচরো মুদিদোকানের দিকে। যুদ্ধের সময় কেরোসিন ও লবণ দুটি অতিপ্রয়োজনীয় জিনিস। এগুলো তাকে কিনতে হবে চটপট। মুদিদোকানের সামনে বেশ ঘন জটলা। তুমুল হট্টগোল। দেশের এখন কী হবে? শেখ মুজিবকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পশ্চিম পাকিস্তানে। এখন কে দেবেন যুদ্ধের নেতৃত্ব?
কেউ একজন বললেন, পশ্চিম পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত আক্রমণ করেই ছাড়ল। দ্বিতীয় একজন বলল, এই যুদ্ধ একসময় না একসময় হতোই। তাদের সঙ্গে আমাদের সাংস্কৃতিক বৈষম্য পাহাড়সমান। তৃতীয়জন বলল, পাকসেনারা নাকি অল্প বয়স্ক বেটা-ছেলেদের ধরে নিয়ে গুলি করে মারছে। আর যুবতীদের গণহারে ধর্ষণ করছে। তার মানে, বউ-বাচ্চা নিয়ে নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। রেজেক বেশ কিছুক্ষণ সময় দাঁড়িয়ে রইল জটলার সামনে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ভিড়ের লোকজনকে উদ্দেশ করে বলল,
── আপনারা একটু হইরে দাঁড়ান দেহি। আমাক একটু সদাই কইরবের দেন।
ভিড়ের মধ্য থেকে একজন বলে উঠল,
── কী রে বেটা, তোর মনে হয় একারই তাড়াহুড়া আছে? আমারে তাড়াহুড়া নাই? দেকপের পারতেছিস নে, দেশের যুদ্ধ নিয়ে আমরা কতা কচ্ছি। সারা দেশে মানুষ মইরে সয়লাব হয়া যাচ্ছে আর তুই আছিস তোর সদাইপাতি নিয়ে।
── পাকিস্তানিরা যুদ্ধ বন্ধ করলেই কি আমার পেটে আহার জুইটে যাবি? নাকি কেউ আমার জন্যি খাবার নিয়ে আসপি? যুদ্ধ হলিও আমার না খায়া মরা লাগবি। যুদ্ধ না হলিও আমার না খায়া মরা লাগবি।
রেজেক এবার একটু জোর খাটিয়ে ভিড় ঠেলে মুদিয়ালের সামনে এসে দাঁড়ায়। আড়াই ছটাক লবণ ও দুই সের কেরোসিনের ফরমায়েশ করে সে।
মুদিয়াল রেজেককে জিজ্ঞেস করে,
── কী রে রেজেক, কেরোসিন কি সাদাটা নিবি, নাকি লালটা?
── লাল রঙেরটাই দেও। আমি তো আর হেরিকল জ্বালব না, আমার ঘরে জ্বলে চেরাগ। চেরাগের জন্যি লালটাই ভালো, দামও একটু কম।
চটের থলিভর্তি সমস্ত সদাইপাতি নিয়ে লালডাঙ্গীর পথে পা বাড়ায় রেজেক। বেশ কয়েক দিন ধরেই রেজেক ভাবছে, যেহেতু পেট আর কিছুতেই চলছে না। মোমেনাকে রানীনগর ওর এক খালার বাড়ি পাঠিয়ে নিজে যোগ দেবে মুক্তিযুদ্ধে।
আরও পড়ুন আমাদের দ্বারিয়াপুর গ্রাম
সেদিন সলিম শেখই রেজেককে বলল,
── গ্রামকে গ্রাম মিলিটারি যেভাবে ছায়া যাচ্ছে, কোন দিন না জানি লালডাঙ্গীতেও উইঠে আসে এই পাকহায়েনারা। শোন রেজেক বিনে পয়সায় একটা পরামর্শ দিচ্ছি। বউটাক কোথাও পাটা দিয়ে যুদ্ধে চইলে যা। মুক্তিযোদ্ধারা যেহানেই যুদ্ধ করুক না কেন। ভদ্র গৃহস্থরা সব সময় তাদের দুধ-পাটালি, চিড়ে-কলা কিংবা ঘরের পোষা কুরহে (মোরগ) হোক, কী অন্য কিছু হোক, ভালোমন্দ দুইডে খাওয়ানের চেষ্টা করে, বুঝেছিস?
রেজেকও মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়, মোমেনাকে সে রানীনগর তার দূরসম্পর্কীয় এক খালা জয়নাবের কাছে পাঠিয়ে নিজে যোগ দেবে যুদ্ধে। মোমেনাকে বিষয়টা বলার পর সে একটু গাঁইগুঁই করল বটে, কিন্তু পরিস্থিতিটা ভালো করে বোঝানোর পর অবশেষে নিমরাজি হলো সে।
মোমেনার রানীনগর যাওয়ার বন্দোবস্ত করতে হলো খুব দ্রুত। রেজেক গ্রামের শুক্কুর গাড়িয়ালকে ঠিক করে রেখেছিল আগে থেকেই। একটি গাড়ি ও দুটো মহিষ আছে শুক্কুরের। মহিষের গাড়িটাই তার আয়-রোজগারের একমাত্র অবলম্বন। এক বিকেলে সূর্য মধ্য আকাশ থেকে পশ্চিমে একটু হেলে পড়তেই ঘরের মধ্য থেকে চাবুকের শব্দ শোনা গেল। ‘ডানি ডানি’ বলে শুক্কুর মহিষের গাড়িটাকে রেজেকের বাড়ির প্রবেশমুখের সদর ফটকের ডান দিকে দাঁড় করাল। শুক্কুর জোরে হাঁক ছাড়ে, কই রে রেজেক, তোর বউ আর মাল-সামানা নিয়ে ঘরতিন বাইর হয়া আয়। তাড়াতাড়ি না বাড়ালি সন্ধের আগে রানীনগর পৌঁছানো যাবিনানে।
পুরনো কিছু কাপড় ও প্রয়োজনীয় টুকটাক দু-চারটি জিনিসপত্র একটি পুঁটলিতে বেঁধে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে মোমেনা। মাথার ওপর ঈষৎ আঁচল টেনে ধীর পদক্ষেপে গিয়ে ওঠে মহিষের গাড়িতে। অস্ফুট কণ্ঠে রেজেককে উদ্দেশ করে শুধু বলে,
── যেহানেই থাহেন, ভালো থাইহেন। খাওয়াদাওয়াটা ঠিকমতো কইরবেন।
মোমেনার চিবুক বেয়ে নেমে যাচ্ছে নিঃশব্দ অশ্রুধারা।
শুক্কুর আলী বুঝল, এমন পরিস্থিতিতে আর দাঁড়িয়ে থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। দেরি যত বেশি হবে, বিষাদের আবহ আরো বেশি করে ঘনীভূত হবে। সে ‘হট হট’ শব্দ তুলে মহিষের পিঠে চাবুক কষতে লাগল।
রেজেকের কাছে মনে হলো, চাবুকের পাকানো শক্ত দড়িটি যেন মহিষের পিঠে গিয়ে আছড়ে পড়ছে না। শুকুর আলী যেন আসলে চাবুক কষছে তার কোমল হৃদয়ে।
আরও পড়ুন বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন সন্টু
গাড়িটি আস্তে আস্তে এগোতে লাগল ধুলোময় হালট ধরে সামনের দিকে। গাড়িটা ধীরে ধীরে ছোট হতে হতে রাস্তার বাঁকে একসময় অদৃশ্য না হওয়া পর্যন্ত রেজেক ঠায় দাঁড়িয়ে রইল সেখানটায়। বাঁ হাত দিয়ে চোখটা শুধু মুছে নিল একবার। বিকেলটা আজ বড্ড বেশি ধূসর ও বিবর্ণ বলে মনে হলো তার কাছে।
রেজেক যে ক্যাম্পটায় যোগ দিয়েছে, সেটি লালডাঙ্গী থেকে মাইল তিনেকের পথ। স্থানটির নাম বদনপুর। পুরনো আমলের জমিদার গোছের পরিত্যক্ত একটি বাড়ি। বাড়িটি বনজঙ্গলে এমনভাবে ঘেরা যে একা এলে দিনের বেলাতেও গা ছমছম করে। ইছামতীর সবল একটি প্রশাখা বদনপুর নামক এই জায়গাটির সামনে দিয়ে বেঁকে কিছু দূর গিয়ে আবার ইছামতী নদীতেই গিয়ে মিশেছে। সামনে দিয়ে প্রবহমান নদীর জন্যই অভয়াশ্রম হিসেবে এই স্থানটিকে বেছে নিয়েছে মুক্তিযোদ্ধারা।
পাবনা জেলাটি পড়েছে সাত নম্বর সেক্টরে। আর এই জেলার সেক্টর কমান্ডের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন মেজর রশিদ। বি কোম্পানির উপ-অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুর্দান্ত সাহসী মকবুল হোসেনকে।
রেজেক দেখে অবাক হয়, আশপাশের বহু গ্রাম থেকে কত মানুষ এসে জড়ো হয়েছে এ ক্যাম্পটিতে। তাদের মধ্যে বেশ কজন বয়স অনুপাতে একেবারেই নবীন। তবে বেশির ভাগ মুক্তিযোদ্ধাই যুবক। বয়স আর কত হবে, ত্রিশ থেকে চল্লিশের মধ্যে। বেশ কয়েকজন প্রৌঢ় মানুষও এসে যোগ দিয়েছে যুদ্ধে। দেখে রেজেকের বেশ ভালো লাগে। রেজেক নিজেই উপযাজক হয়ে কয়েকজনের সাথে পরিচিত হলো। একজনের নাম ইয়াকুব, সে এসেছে কুড়িপাড়া গ্রাম থেকে। মিশমিশে কালো বেঁটে গাট্টাগোট্টা ধরনের আরেকটি ছেলের নাম আক্কাস, বাড়ি শান্তিপুর। গা-গতরে শীর্ণকায় তালপাতার সেপাই ছেলেটির নাম এন্তার আলী, সে বাস করে গুপিনপুর। এরা মোটামুটি সবাই তার সমবয়সী। এ ছাড়া ফয়জদ্দি শেখ, আনসার মোল্লা, ফেকের আলীসহ বেশ কয়েকজনের বয়স সম্ভবত পঞ্চাশ অতিক্রম করে গেছে। বেশির ভাগ মুক্তিযোদ্ধারই সম্বল একটি লুঙ্গি ও গামছা। হাতে গোনা দু-একজন লুঙ্গির পরিবর্তে পরেছে পেন্টুল।
আরও পড়ুন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল কুণ্ডু
পেন্টুলগুলো হয়তো যুদ্ধে প্রাণ হারানো পাকসেনাদের শরীর থেকে খুলে নেওয়া সামরিক পোশাক। লতাপাতার ছোপ ছোপ রঙের লম্বা পাতলুনটিকে হাঁটুর কাছ থেকে কেটে ফেলে সেটাকে পেন্টুলের মতো কিছু একটা তৈরি করা হয়েছে। বি কোম্পানির সাত নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মকবুল হোসেনের দেবকান্তি চেহারা। ধবধসে ফরসা গায়ের রং। একটু রোদের আভা পড়লেই শরীরটা গোলাপি রঙা হয়ে ওঠে। কোঁকড়ানো ঘন কালো চুল। অবিন্যস্ত উচ্চশুষ্ক চুলগুলো দেখলেই বোঝা যায়, বহু দিন ওখানে তেল-জল কিছু পড়েনি। গড়নে দীর্ঘকায়। টিকলো নাক। তাকে দেখতে মোটেও বাংলাদেশি বলে মনে হয় না। বরং তাকে দেখতে অনেকটা আরব দেশীয় কিংবা স্প্যানিশ বলে মনে হয়। বেশির ভাগ সময় মকবুল হোসেন বুট জুতা ও প্যান্ট পরে থাকলেও গায়ে সব সময় তিনি জড়িয়ে রাখেন একটা আলোয়ান- কি গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত। ক্যাম্পের সবারই এটি জানা যে, সেই আলোয়ানের নিচে মকবুল হোসেন সযত্নে লুকিয়ে রাখেন তার প্রিয় স্টেনগানটি।
কমান্ডার মকবুল হোসেন রেজেককে দেখে খানিকটা কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। তার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেন,
── কী মিঞা, ক্যাম্পে নতুন ঢুকছ নাকি?
রেজেক লজ্জায় অধোবদনে মাথা নাড়ে।
── তোর নাম কী রে ছোকরা?
─ রেজেক আলী।
── গায়ের যে জামাটা পরেছিস, ওটায় এত ছিদ্র কেন? দেখে তো মনে হচ্ছে সার্কাস দলের ক্লাউন। আতাকে বলে দিচ্ছি, ও তোকে একটা শার্ট, পেন্টুল ও একজোড়া বুট জুতা দিয়ে দেবে। তোকে নিয়ে আমার অন্য চিন্তা আছে ।
আরও পড়ুন মুক্তিযুদ্ধের প্লাটুন কমাণ্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিফা আশরাফ
আতার পোশাকি নাম আতাউর রহমান। সে এই ক্যাম্পে এক ধরনের ম্যানেজার। আতা কমান্ডারের সব আদেশ-নির্দেশ পালন করে।
রেজেককে যথারীতি একটি শার্ট, একটি হাফপ্যান্ট ও একজোড়া পুরনো বুট জুতা দেওয়া হলো। এ সবই উচ্ছিষ্ট ও কারো না কারো পরিত্যক্ত জিনিসপত্র। হাফপ্যান্টটির কোমরের দিকটা বেশ ঢোলা। তাই দড়ি দিয়ে শক্ত করে বাঁধতে হলো। পা দুটো জুতোর মধ্যে রাখাই দুষ্কর। মনে হয় যেন জুতো জোড়াই দৌড়ায় তার পদক্ষেপের আগে। জুতো জোড়া কোনো কাজে লাগছে না দেখে রেজেক আতাকে সেগুলো ফেরত দিয়ে দেয়।
রেজেককে ট্রেনিং দিলেন স্বয়ং মকবুল হোসেন। ট্রেনিং পর্ব চলল এক সপ্তাহজুড়ে। সে এক কঠিন পথ পরিক্রমণ। রেজেক এখন মোটামুটি যেকোনো অপারেশনের জন্য প্রস্তুত।
আরও পড়ুন একশত ছিদ্রযুক্ত জামা-
১ম পর্ব
২য় পর্ব
৪র্থ পর্ব
শেষ পর্ব
ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগরের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
একশত ছিদ্রযুক্ত জামা (৩য় পর্ব)