একশত ছিদ্রযুক্ত জামা (শেষ পর্ব)
একশত ছিদ্রযুক্ত জামা (শেষ পর্ব)
চিনেখরা ব্রিজ থেকে আনুমানিক বিশ-বাইশ গজ দূরে কিছুটা ঝোপঝাড় ও জঙ্গল গোছের একটি জায়গা বেছে নিয়ে, সেখানে লম্বা আড়াআড়িভাবে বড় একটি বাঙ্কার খনন করা হলো। এন্তার ও ফেকের দুজনেই পেশায় কামিন। মাটি কাটা তাদের নিত্যদিনের অভ্যেস বলে খুব দ্রুতই বাঙ্কারটি খোঁড়া হয়ে গেল। তবে রেজেকসহ অন্যরাও হাত লাগাল সমানতালে। বাঙ্কারটি খনন করা হলো গলাসমান করে, যাতে মাথাটি ঈষৎ উঁচু করে যুদ্ধ করা যায়। ১৫ তারিখের আগেই সম্পূর্ণ প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেল। ঢাকা থেকে ডিনামাইট ও প্রয়োজনীয় রসদগুলো সময়মতো চলে এসেছে ক্যাম্পে। এখন শুধু এখানকার কিছু প্রস্তুতি।
১৪ তারিখ ভোর রাতে লোহার ব্রিজটার গায়ে সেঁটে দেওয়া হলো বেশ কয়েকটা শক্তিশালী ডিনামাইট। ডিনামাইটের সাথে সংযোগ স্থাপনকারী সুতোনলি সাপের মতো সরু তার ব্রিজটা থেকে বিছিয়ে বিছিয়ে টেনে আনা হলো বাংকার অবধি। তারপর সবাই প্রতীক্ষায় রইল।
পাকসেনাদের বড় বড় কনভয়গুলো সাধারণত রাতেই যাতায়াত করে। তারপরও বলা তো যায় না, যদি দিনের বেলায় চলে আসে ওগুলো। এ জন্য ব্রিজটা থেকে কিছু দূর সামনে এগিয়ে গিয়ে অপেক্ষারত রইল আতা। আর বাংকারের মধ্যে অবস্থান নিল রেজেক, ইয়াকুব ও আক্কাস। অপেক্ষা করতে করতে কেটে গেল সমস্ত দুপুর। টকটকে লাল রঙের সূর্যটা বেশ খানিকটা ঢলে পড়েছে পশ্চিমে। রেজেকের চোখ দুটোতেও কেমন যেন ঢুলোঢুলো ভাব। বেশ কয়েক দিন নানাবিধ খাটুনিতে শরীরের ওপর বেশ খানিকটা অত্যাচার করা হয়েছে, সে জন্যই বোধ হয় একটু হয়তো তন্দ্রার মতো ভাব হয়েছিল। এর মধ্যেই রেজেক দেখল একটি স্বপ্ন- উত্তর-পশ্চিম কোণ থেকে দুর্ধর্ষ ঘোড়সওয়ার বাহিনীর মতো একটি বিশাল পাকিস্তানি ফৌজের দল ঝড়ের বেগে উড়ে আসছে উঁচু উঁচু শিরীষ, ছাতিম ও অন্যান্য গাছপালার মাথা ভেঙে।
আরও পড়ুন গল্প একজন কিশোরীর প্রেম
ডিসেম্বর মাস বলে বিকেল হতেই বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। রেজেক জামার ওপর ময়লা ও ধূসর রঙের একটি আলোয়ান গায়ে জড়িয়ে নিল। আতার কাছ থেকে এখনো কোনো সংকেত আসছে না। যদিও বাঙ্কারের মধ্যে শুধু রেজেক ইয়াকুব ও আক্কাস, কিন্তু একটু পশ্চাতেই রয়েছে শ খানেক মুক্তিযোদ্ধার মোটামুটি একটি বড় কোম্পানি। যুদ্ধ শুরু হলেই তারা এসে নেমে পড়বে বাঙ্কারে। গুপ্তচরবৃত্তি ও নিরাপত্তার জন্যই তারা বাঙ্কারটিতে এসে আশ্রয় নেয়নি। পাছে একসঙ্গে সবাই মারা পড়ে, সেই ভয়ে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাতের প্রথম প্রহর। না, কারো কোনো সাড়াশব্দ নেই। আশপাশে আদাড়-বাদাড় ঘন ঝোপজঙ্গল। অমাবস্যার রাত। ঘুটঘুটে অন্ধকারটা যেন আরো একটু বেশি করে পাকিয়ে উঠেছে আজ। পাশে দাঁড়ানো আক্কাস কিংবা ইয়াকুবকেও যেন ভালো করে চেনা যাচ্ছে না। ঝোপঝাড়গুলোতে পিটপিট করে জ্বলছে অসংখ্য জোনাকি পোকা।
শীতে শরীর যেন অসাড় হয়ে আসছে মনে হয়। শীতের তীব্রতা ছুরির তীক্ষ্ণ ডগার মতো কানের মধ্যে আঘাত করছে বারবার। পেন্টুলের পকেট থেকে বানর-টুপিটা বের করে পরে নিল একবার। কিন্তু পরক্ষণেই খুলে ফেলল সেটা। বানর-টুপিতে সমস্ত কান দুটোই তো ঢাকা পড়ে যায়। পাছে যদি আতার সংকেত কানে না পৌঁছায়। তখন কী হবে?
ঠিক সে সময় দূর থেকে শোনা গেল কুকুরের ডাক। ঘে… উ… । আতা অবিকল কুকুরের মতো করে ডাকতে পারে। এই ক’মাসে সম্ভবত তার অভ্যেস হয়ে গেছে। কুকুরের ডাক শোনা মানেই হলো সতর্ক হয়ে ওঠা। অমনি সবাই সতর্ক ও প্রস্তুত হয়ে রইল। সরীসৃপের মতো নিজেদের মাটিতে লুটিয়ে অনেকটা সাঁতার কাটার মতো করে বাঙ্কারে এসে নামলেন মকবুল হোসেন ও অন্যরা। বুভুক্ষের মতো সবার দৃষ্টি রইল দূরে। আতা টর্চের আলো ফেলামাত্র মকবুল হোসেন ডিনামাইটের সুইচটি চেপে ধরবেন। সবার নিশ্বাস প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। কখন আসবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। অধীর আগ্রহে সবাই যখন অপেক্ষা করছে, ঠিক সে সময় আতার টর্চের আলো দেখা গেল দূরে।
আরও পড়ুন গল্প কপিশ নয়ন
আর ঠিক তখনই ঘঁ…ঘ… ঘঁ… আওয়াজ তুলে যেই না একটি ট্রাক ব্রিজের ওপর সবেমাত্র উঠেছে, ঠিক তখনই মকবুল হোসেন চেপে ধরলেন ডিনামাইটের সুইচ। দ্রাম দ্রাম বিকট শব্দে ভেঙে লুটিয়ে পড়ল লর্ড কার্জনের আমলে নির্মিত ইস্পাতের তৈরি লাল রঙের ব্রিজটি। কনভয়ের পেছনের সমস্ত ট্রাক আচানক ব্রিজের গোড়ায় এসে থেমে গেল। ট্রাকগুলো থেকে তড়িৎ-গতিতে পাক- মিলিটারিরা বন্দুক-কার্তুজ হাতে নেমে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের লক্ষ্য করে দিগ্ বিদিক শূন্যভাবে শুরু করল বেগতিক গুলিবর্ষণ। মুক্তিযোদ্ধারাও বসে থাকার পাত্র নয়। তারাও সর্বশক্তি দিয়ে শুরু করল যুদ্ধ।
আকাশে আতশবাজি জ্বলার মতো করে গুলি ছুটতে লাগল দুপাশ থেকে। শরীরে গুলি লেগে কে যে কখন লুটিয়ে পড়ছে মাটিতে, সেদিকে কারো তেমন ভ্রুক্ষেপ নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের মনের ভেতর কাজ করছে শুধু একটি বিষয়, যে করেই হোক, মুক্ত করতে হবে মা-তুল্য এই মাটি, এই দেশ। রাতের শেষ প্রহরেও যুদ্ধ থামার বিশেষ কোনো লক্ষণ পরিলক্ষিত হলো না। অথচ বাঙ্কারের সমস্ত গোলাবারুদ ও গ্রেনেড প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। বদনপুরের মূল ক্যাম্প থেকে পর্যাপ্ত গোলাবারুদ ও অন্যান্য রসদ না নিয়ে এলে যুদ্ধে পরাজয় অবসম্ভাবী। মকবুল হোসেনের কপালে চিন্তার বলিরেখা ফুটে ওঠে।
তিনি রেজেককে উদ্দেশ করে বললেন,
── তোরা ক’জন যুদ্ধ চালিয়ে যা। আমি দু-একজনকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছি বদনপুর ক্যাম্পে। আমাদের গুলি-গ্রেনেড প্রায় শেষ হওয়ার পথে। পাকসেনারা যেভাবে দৃঢ়তার সাথে যুদ্ধ করছে, তাতে মনে হয়, তাদের যুদ্ধসরঞ্জামের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। এই মুহূর্তে পিছু হটা ঠিক হবে না। আমরা ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই বাংকারে ফিরে আসব।
রেজেক, ইয়াকুব, আক্কাস ও অন্য মুক্তিযোদ্ধারা সর্বশক্তি দিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে লাগল। মকবুল হোসেন বলে গিয়েছিলেন, এক ঘণ্টা পরেই সে ফিরে আসবেন, কিন্তু ঘণ্টা দুই পার হওয়ার পরও তার ফেরার কোনো নামগন্ধ নেই।
চারদিকে প্রচণ্ড কুয়াশা। এরই মধ্যে আবছা করে ভোরের আলো ফুটে উঠেছে চারদিকে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, চারদিকে আলো ফুটে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পাকসেনাদের প্রান্ত থেকে গুলিবর্ষণের তীব্রতাও কমে এলো বেশ খানিকটা।
আরও পড়ুন গল্প শিকড়ের সন্ধানে
ইয়াকুবের দিকে তাকিয়ে রেজেক বলল,
── আমি একটু বাঙ্কার থেকে বেরিয়ে সামনে গিয়ে দেখে আসি পাকসেনাদের কী অবস্থা।
ইয়াকুব রেজেককে বাধা দিয়ে বলল,
── এ মুহূর্তে বাঙ্কার থেকে বের হওয়া ঠিক হবে না, রেজেক। আগে কমান্ডার মকবুল হোসেন ফিরে আসুক, তারপর দেখা যাবে। রেজেক মকবুল হোসেনের জন্য কিছুতেই অপেক্ষা করতে রাজি নয়। দু’ঘণ্টার বেশি সময় পার হয়ে গেছে, এখনো তার ফেরার চিহ্নমাত্র নেই। অথচ কাউকে না কাউকে বাইরে বেরোতেই হবে। তা না হলে তো বোঝার উপায় নেই পাকিস্তানি মিলিটারিদের মধ্যে কতজন জীবিত। ইয়াকুবের শত বাধা সত্ত্বেও বাঙ্কার ডিঙিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে রেজেক। গিরগিটির মতো দুখানা হাত ও হাঁটুর ওপর শরীরের সমস্ত ভার ন্যস্ত করে সামনের দিকে এগোতে থাকে সে। আরো একটু সামনে গিয়ে যেই না মুণ্ডুটি ঈষৎ উঁচু করেছে, ঠিক তখনই কোথা থেকে যেন ভারী মেশিনগানের একঝাঁক গুলি এসে লাগল রেজেকের বুকে। সঙ্গে সঙ্গে রেজেক লুটিয়ে পড়ল মাটিতে।
ইতোমধ্যে মকবুল হোসেন সমস্ত রসদসামগ্রী নিয়ে ফিরে এসেছেন বাংকারে। তিনি বাংকারে প্রবেশ করার সাথে সাথেই ঘটল এমন ভয়ানক একটি ব্যাপার। মুহূর্ত খানেক আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাটির আকস্মিকতায় মকবুল হোসেন নিজেও হতভম্ব। এটা কী ঘটল? রেজেক কেন বাঙ্কার ছেড়ে বাইরে বেরোল। যেভাবেই হোক, জখম হওয়া রেজেককে বাঙ্কারে ফিরিয়ে আনতেই হবে। তিনি এন্তার, ফেকের, ফয়েজ, ইয়াকুব ও অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে তুলে দিলেন ভারী কিছু অস্ত্রশস্ত্র। সাথে প্রত্যেকের গলায় বুলেটের মালা। নির্দেশ দিলেন, শত গজ দূরে থাকা রেজেককে দ্রুত তুলে আনতে। রেজেককে যখন বাঙ্কারে ফিরিয়ে আনা হলো, তখন তার সমস্ত শরীর অরুণ বর্ণে রঞ্জিত। মলিন ও ময়লাযুক্ত সাদা রঙের শার্টটি রক্তে ভিজে একেবারে একাকার হয়ে গেছে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, এতগুলো গুলি খেয়েও রেজেক মরেনি। কিংবা তার জ্ঞানও লুপ্ত হয়নি।
আরও পড়ুন গল্প সাদা মেঘের তুলো
রেজেক মকবুল হোসেনকে উদ্দেশ করে ক্ষীণ কণ্ঠে বলল,
── মকবুল ভাই, দেখেছেন আজ হুজুর জালালাবাদীর কথাই সত্য বলে প্রমাণিত হলো। তিনি তো আমাক বলেছিলেন, যেদিন আমি একশডা ছিদ্র, ফাঁড়া জামা গায়ে পরব, সেদিন আমার সমস্ত দুঃখ-কষ্ট ঘুইচে যাবি। দ্যাহেন আইজ আমার গায়ে সত্যি সত্যি শত ছিদ্রওয়ালা জামা। নিজেকে আজ আমার অনেক ভারমুক্ত লাগতিছে। মনের ভেতর শুধু এটাই দুঃখ মোমেনাক আমি জীবনে সুখী কইরবের পারলাম না। বেচারি আমার জন্যিই সারা জীবন কষ্ট কইরে মইরল। মকবুল ভাই, আপনি মোমেনাক কয়েন যে আসলে দোষ আমার। আমার জন্যিই ওর এত দিন বাচ্চা-কাচ্চা হয়নি। ও যেন আরেকটা বিয়ে কইরে সুখী হয়। তাহলি আমি মইরেও শান্তি পাব।
মকবুল হোসেন রেজেককে নরম করে একটি ধমক দিয়ে বলেন,
── রেজেক, চুপ কর। তোর এই অবস্থায়ও কি তুই মিথ্যা বলে আরেকজনকে সুখী করতে চাস? আসলে তোর দোষে যে বাচ্চা হয়নি, এটা সত্যি নয়। তোদের দুজনের কারোরই কোনো দোষ নেই। উপরওয়ালা এত দিন চাননি, তাই তোদের ঘর আলোকিত করে কেউ আসেনি। শোন, বদনপুর ক্যাম্প থেকে আমার ফিরতে দেরি হচ্ছিল, কারণ রানীনগর থেকে লোক এসেছিল সুসংবাদ নিয়ে। তুই বাবা হয়েছিস। দু’মাস আগে মোমেনার গর্ভে একটি ফুটফুটে ছেলে হয়েছে। প্রসূতি মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ ও সবল আছে। এই সুখবরটি তোকে পৌঁছে দেওয়ার অনেক চেষ্টাই করেছে মোমেনা। কিন্তু আমাদের হদিস তারা কিছুতেই বের করতে পারেনি।
মৃত্যুমুখেও রেজেকের চোখ দুটিতে আলোর ঝলকানি দেখা যায়। চকচক করতে থাকে তার সমস্ত মুখাবয়ব।
── আপনি সত্যি কচ্ছেন, মকবুল ভাই? আমি বাপ হয়েছি! আমার এহন সত্যি অনেক বাঁইচপের ইচ্ছা হচ্ছে। আমার বাপধনের মুখখানা যদি একবার দেকপের পারতেম, মইরেও শান্তি পাইতেম।
আরও পড়ুন গল্প বেলীফুলের ঘ্রাণ
ইতোমধ্যে জনৈক মুক্তিযোদ্ধা হুড়মুড় করে দৌড়ে এসে খবর দিয়ে গেল, রেডিও থেকে ঘোষিত হচ্ছে, পাকিস্তানি বাহিনী নাকি আত্মসমর্পণ করেছে। দেশ স্বাধীন হয়েছে।
রেজেক নিদারুণ কাতর কণ্ঠে বলল,
── মকবুল ভাই, এক দিনে দুইটে ভালো খবর। এত সুখ আমার সয় কী করে, আপনিই কন? মোমেনাক আপনি কয়েন, আমার ছেইলেডার নামডা যেন রাহে স্বাধীন। এডাই আমার শেষ ইচ্ছে।
মকবুল হোসেন রেজেককে বললেন,
── আমরা তোকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাব। তুই আবার ভালো হয়ে উঠবি।
── আমাক ক্যান আপনি মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছেন, মকবুল ভাই। আমি জানি, আমার দিন শেষ। আমার আয়ু খতম। আপনি দেখতিছেন না আমি একশডা ছেঁদাওয়ালা জামা পইরেছি।
রেজেক শক্ত করে মকবুল হোসেনের হাতটি চেপে ধরে। চোখ দুটি মুদিত হয়ে আসে ধীরে ধীরে। হাতের কবজিটিও নিস্তেজ হয়ে ঝুলে পড়ল একপাশে রেজেকের। মকবুল হোসেন অসম্ভব এক বিস্ময়ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন রেজেকের বুকের ওপর ঝাঁঝরা হওয়া শত ছিদ্রযুক্ত জামাটির দিকে।
আরও পড়ুন একশত ছিদ্রযুক্ত জামা-
১ম পর্ব
২য় পর্ব
৩য় পর্ব
৪র্থ পর্ব
ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগরের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
একশত ছিদ্রযুক্ত জামা (শেষ পর্ব)