একটি তর্জনী আর বজ্রকণ্ঠ
একটি তর্জনী আর বজ্রকণ্ঠ
আজ হতে শতবর্ষ আগে জন্ম নিয়েছিল দেবদূত সম এক মানব
এক দুখী জনপদে,
সে জনপদের নাম বাংলা
সহস্র বছরের পরাধীন জাতি।
শোষণে, শাসনে তিলে তিলে হয়ে ছিল মৃতপ্রায়
দরদী হৃদয় কেঁদে হয়েছিল আকুল,
অসহায় জাতির দুর্দশায়
তাই কঠিন শপথ নিয়েছিল সহস্র বছরের নিপীড়িত, বঞ্চিত, দুখী জনতার দুঃখ মোচনের।
জগৎ দেখল একটি তর্জনী,
কি অসীম শক্তিধর একটি ক্ষুদ্র তর্জনী!
পৃথিবী শুনল একটি কণ্ঠের বজ্র নির্ঘোষ
কি অপরিসীম বলে বলীয়ান! কি তেজদৃপ্ত সেই বজ্রকণ্ঠ!
ঈশান কোণে জমে থাকা কালো মেঘ
তা থেকে বিচ্ছুরিত হলো বিজলীর ঝলকানি,
তীব্র ঝলকানির সে তড়িৎ শিখায় আলোকিত হলো বাংলার জনপদ
উজ্জ্বল সে আলোর ছটা সাথে এনেছিল গুরু গুরু মেঘমন্দ্র রবের বজ্রের হুঙ্কার।
কালজয়ী সে হুঙ্কার ছড়িয়ে গেল বাংলার আনাচে-কানাচে
বজ্র সে কণ্ঠ ডাক দিল শৃঙ্খল ভাঙার,
যুগ যুগ ধরে নিষ্পেষিত, বঞ্চিত জাতি জাগল বুঝি মায়ার কাঠির যাদুর ছোঁয়ায়
সহস্র বছরব্যাপী পড়ে পড়ে মার খাওয়া জনতা, নিপীড়িত জনতা, শোষণ বঞ্চনায় শৃঙ্খলিত জনতা।
সাগরের বাঁধ ভাঙ্গা তরঙ্গের মতো ছুটে এল বজ্র কণ্ঠের সে আহ্বানে!
ঘুরে দাঁড়াল বাঁকানো ধনুকের মতো,
ন্যায্য পাওনা বুঝে নিতে হলো আগুয়ান
ভুখা নাঙ্গা জাতি, করল কঠিন পণ।
কণ্ঠের বজ্রের সাথে উঁচিত হলো ক্ষুদ্র এক তর্জনী
কি বিপুল শক্তি ধারণ করেছিল সেই তর্জনী!
কি সীমাহীন শক্তি মত্ততায় ঠেলে ফেলে দিল কঠিন দুঃসহ জগদ্দল পাথরের ভার!
আকাশচুম্বী হিমালয়সম উন্নতশির দেখেছিল জগৎ, সবিস্ময়ে।
তর্জনী উঁচানো বজ্রকণ্ঠের আহ্বান আনল মুক্তি, আনল স্বাধীনতা
সর্বস্ব ত্যাগীয়া মুক্তি দিয়েছিলে কঠিন নিগড়ে বন্দি অযুত জনতার,
তাই তো সে হয়ে উঠেছিলে পিতা আপন গণমানুষের
বাঙালি জাতির অসীম দরদী সে পিতার নাম শেখ মুজিবুর রহমান।
আরও পড়ুন কবিতা-
তৃষ্ণাদুপুর
প্রশ্ন নারী দিবসে
সুদীর্ঘ নয় মাস
ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে
একটি তর্জনী আর বজ্রকণ্ঠ