আত্মশুদ্ধির-মাস
কবিতা,  জাহাঙ্গীর পানু,  সাহিত্য

আত্মশুদ্ধির মাস

আত্মশুদ্ধির মাস
জাহাঙ্গীর পানু

স্বাগতম হে মাহে রমাদান।
তোমার আগমনে হৃদয় হয় স্পন্দনে উদ্বেলিত।
মহান রবের প্রতি চির কৃতজ্ঞতায়
হয়েছি মোরা ধন্য।
আপন শরীরের অযাচিত আবর্জনা
ধুয়ে মুছে পরিষ্কার হয়ে যাক;
আদায় হোক দেহের পরিপূর্ণ যাকাত।
মানবতার মুক্তির সনদ কোরআনের আগমনে
বেড়েছে তোমার সম্মান;
সত্য মিথ্যার পার্থক্য বুঝে আমরা করি
মহান স্রষ্টার গুণগান।
তোমার মাধ্যমে মহান স্রষ্টা সুযোগ দিয়েছে
তাঁর সম্পর্কে জানিবার
মানবজাতির সহজে সুযোগ হয়েছে
মহান প্রতিপালককে চিনিবার।
রহমত, বরকত আর মাগফেরাতের মাস
দোযখ হতে মুক্তি যেন অতিরিক্ত বোনাস।
ভোররাতে খাদ্য তালিকায় বরকতময় সাহরি,
আর সুর্যাস্তের পর দোয়া কবুলের আনন্দময় ইফতারি।
মানুষের কল্যাণে রয়েছে নামাজ তারাবিহ,
রাতের ইবাদাত যেন পাপ মোচন আর শরীর চর্চার দাওয়াই।
তোমারই পরশে বারবার খুঁজে ফিরি মোরা
পরকালীন মুক্তি,
একরাতের ইবাদতে আপন ভান্ডারে পাই
সহস্র রাতের আমলের প্রাপ্তি।
রমাদানের সিয়াম যেন আখিরাতের উপলব্ধি,
সিয়ামের বদৌলতে সারাদিন উপবাসে আর
অসহায় মানুষের সেবায় নিয়োজিত রেখে
বুঝে নেই আপন আত্মার পরিশুদ্ধি।

আরও পড়ুন কবি জাহাঙ্গীর পানুর কবিতা-
শ্বাশত বাণী
বেকারত্ব

 

গীতি কবিতা

হে রাসুল,
তোমাকে চিনতে মোরা করেছি তো ভুল।
জীবনের প্রতিক্ষণে, হাজারো কষ্ট সয়ে,
মানুষের মুক্তির জন্য হয়েছ ব্যাকুল।।

তায়েফের প্রান্তরে, পাথরের আঘাত দিয়ে
তোমাকে দিয়েছি মোরা দেহ রক্তাক্ত করে
তবুও দাওনি তুমি কোনো অভিশাপ মোদের
আমাদের ক্ষমা করে কেঁদেছ উম্মাতি বলে
কেঁদে কেদে রবের দরবারে তুমি
হয়েছ আকুল।।

ওহুদের ময়দানে প্রচন্ড আঘাত পেয়ে
হাজারো কষ্ট সয়ে নিরন্তর যুদ্ধ করে
তবুও দাওনি ছেড়ে দ্বীনের ঝান্ডাটিকে
যদিও সময় ছিল খুবই প্রতিকূল।।

হেরা গুহায় বসে, চিন্তায় মগ্ন থেকে
রবের নিকট থেকে মানবতার কল্যাণে
পেয়েছো ওহী তুমি কোরআন মজিদখানা
এ যেন সুগন্ধ ভরা পরিপূর্ণ এক ফুটন্ত ফুল
হে রাসুল,
তোমাকে চিনতে আর করব না ভুল।।

 

ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ফেসবুক ও  ইউটিউব চ্যানেলে

আত্মশুদ্ধির মাস

Facebook Comments Box

কবি জাহাঙ্গীর পানু—এক নিরন্তর পথিক, যাঁর কলম চলে জীবনের বিভিন্ন বাঁকে। তাঁর লেখালেখির কোনো নির্দিষ্ট সীমানা নেই; সময়, প্রাসঙ্গিকতা এবং অন্তরের আকর্ষণই তাঁকে পথ দেখায়। তিনি শব্দের মাঝেই খুঁজে নেন জীবনের গভীরতাকে, যেখানে প্রতিফলিত হয় তাঁর অনুভূতির মগ্নজগৎ। তাঁর সৃষ্টিকর্মে গ্রামীণ জীবনের স্নিগ্ধতা, প্রকৃতির মমতা, আর মানুষের অন্তর্লীন আবেগ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কখনো তাঁর রচনায় দেখা মেলে গ্রামবাংলার উর্বর মাটির টান, কখনোবা সংস্কৃতির রঙিন বৈচিত্র্য। প্রতিটি লেখায় তিনি সময়ের চিহ্ন ধরে জীবনের মায়াজাল বুনে চলেন। তিনি নিয়মিত লিখছেন ‘আমাদের সুজানগর’ ওয়েব ম্যাগাজিনে, যেখানে তাঁর লেখাগুলোর মাধ্যমে পাঠক খুঁজে পান নতুন এক ভাবনার দিগন্ত। তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ “বিষণ্ণতার নীল চাদর” এক অনন্য সংকলন, যেখানে বিষণ্ণতার নীল ছায়ায় ঢাকা জীবনের নানা রূপ, অনুভূতি আর প্রতিফলন মূর্ত হয়ে উঠেছে। ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের উলাট গ্রামে জন্ম নেওয়া কবি জাহাঙ্গীর পানু প্রকৃতির স্নেহছায়ায় বেড়ে ওঠা এক সৃষ্টিশীল কবি। তাঁর লেখায় আজও মেলে সেই মাটির গন্ধ আর শেকড়ের টান।

error: Content is protected !!