অর্চনা, মেঘলাকাশে রঙধনু
অর্চনা
আর অপেক্ষা না
দেখায় না হয় এগিয়ে যাক কথা
ব্যথাময় ব্যথার আকাশে ধূসর হোক বেদনার ছাপ,
চোখের জলেই বোঝাপড়া হোক বেদনা কার কতটুকু।
প্রথাসিদ্ধ নিয়ম ভেঙে
হৃদয় পোড়া শব্দ যদি
নির্দ্বিধায় ঠোঁটে উচ্চারিত হয় একবার
কী করবে তখন, ভেবেছ কি?
সময় দিলাম
ভাবো,আরো ভাবো….
তারপর না হয় জানিয়ে দিও
আর কত অপেক্ষা শেষে ভিড়বে তরী মোহনায়?
সুগভীর চোখ থেকে যদি দৃষ্টি সরাতে না পারি
নেশাতুর চোখে যদি স্বপ্ন আঁকি,
সমাজবিধির বেড়াজাল ভেঙে
পারবে কি বেরিয়ে আসতে?
বসন্ত বিলাসে যদি কথায় কথায় রাত কেটে যায়
রাতের গভীরে ফের রাত সূচনা হয়,
জীবনের খোলস বদলে
পারবে কি সে রাতের সাথী হতে?
ধূপ জ্বেলে দীর্ঘ রাতের অর্চনায়
আমি জন্মাবো বারবার।
আরও পড়ুন ফজলুল হকের কবিতা-
তোমার ভালোবাসা
প্রশ্ন তোমাকে
রোদনের নীলজল
মেঘলাকাশে রঙধনু
চারদিকে সবুজাভ প্রকৃতি
পাখির কলকাকলিতে সরব আঙিনা
শীতের সূর্য উষ্ণ আলিঙ্গনে কিছুটা ব্যস্ত,
চেনা পথে হঠাৎ দেখা
পৌরাণিক সভ্যতার গহ্বরে যেন সঞ্চিত সুখ।
কেন এমন ভাবছি?
আগেও তো দেখা হয়েছে
তবুও সাহসী শব্দগুলো কাপুরুষের মতো অব্যক্তই থেকে গেছে স্বপ্ন ছড়ানো মনের গহীনে।
গোধূলি গগনে কবেই ঢেকেছিল সন্ধ্যে তারা
অনেকদিন পরে রাতের আকাশটা আবার আলোকিত মনে হলো।
চেনা পথে দুজনে
অথচ যুগপৎ এগিয়ে যাওয়া কতটা কঠিন!
যতবার ভাবী
না বলা কথাগুলো কবিতা হয়ে যায়।
আবার দেখায়
জানি না কী প্রশ্ন করব,
ততদিনে হয়তো থেমে যেতে পারে বুকের পাঁজরে বেড়ে ওঠা ঝড়,
তবুও যদি প্রশ্ন করি
কেউ কি তোমার রূপের উপমা খুঁজে পেয়েছে?
বলতেই পারো কবিতায় পড়েছি।
শুধু জানতে পারোনি আজো
অব্যক্ত কথাগুলো
তবুও মেঘলাকাশে রঙধনুর মেলা।
আরও পড়ুন কবিতা-
অনন্য বাতিঘর
চোখের ইশারায়
আত্মতৃপ্তি
ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে
অর্চনা