অন্ধকারের জ্যোতি, যখন সন্ধ্যা আসন্ন, ক্ষতচিহ্ন
অন্ধকারের জ্যোতি
জাহাঙ্গীর পানু
নিকষ কালো অন্ধকারে নিমজ্জিত ধরণী
অসভ্য মানবতা ধ্বংস সামাজিক রীতি।
চারিদিকে হত্যাযজ্ঞ নেই মানবিক গুণাবলী
বহু ঈশ্বর বিভক্তিতে জ্বলছে পূজার দীপালি।
আদিকালের আবাসভূমি মূল্যহীন মান
সৃষ্টিতত্ত্বের শিকড় মূল ইবরাহিমের দান।
স্বীয় পুত্রের পদাঘাতে বইলো ঝর্ণাধারা
অনুর্বর বাক্কা হলো সজিবতায় ভরা।
মধ্যগগণে উঠলো চাঁদ স্নিগ্ধ হলো ধরিত্রী
অন্ধকার কেটে গেলো সভ্য সমাজ রীতি।
হস্তে তব ঐশীবাণী হবে না পথ বিচ্যুতি
মানবতার মুক্তির বাহক অন্ধকারের জ্যোতি।
আরও পড়ুন কবি জাহাঙ্গীর পানুর কবিতা-
শ্বাশত বাণী
বেকারত্ব
যখন সন্ধ্যা আসন্ন
অস্তগামী সূর্যের লালিমার রক্তিম আভার আলোকছটা পেরিয়ে
পৃথিবীর বুকে নামে সন্ধ্যা।
পাখির কিচিরমিচির কলকাকলি থেমে আসে
ফিরে চলে পাখিরা নীড়ের পানে
রাখাল গো চারণভূমি ত্যাগ করে ধেনুরে সাথী করে
ধুলাময় মেঠোপথ ধরে ফিরে আসে
সারাদিন কঠোর কায়িকশ্রমের ক্লান্তিকর
দেহমন নিয়ে কৃষক আসে ঘরে।
উন্মুক্ত মাঠ আর সবুজ প্রান্তরে শিশু-কিশোরের
কোলাহল আর ছোটাছুটি শেষে ফিরে আসে
নিজ নিজ ঘরে আর মন দেয় পাঠে।
সংসারের খুঁটিনাটি হাতের কাজ শেষে নারীরা
ঘরে জ্বালায় সন্ধ্যার আলো
মসজিদের মিনার থেকে ভেসে আসে
মুয়াজ্জিনের সুললিত মধুর কণ্ঠের ধ্বনি
সফলতার পানে ফিরে আসার আহবানে
জীবন সায়াহ্নে মানবদেহে যখন সন্ধ্যা আসন্ন
স্রষ্টার আহবান তখন তাঁর কাছে প্রত্যাবর্তনের।
ক্ষতচিহ্ন
বিষাদময় জীবনে অপ্রসন্ন বাতুলতা
পিঞ্জর ভেঙেছে ঢেউয়ের আঘাতে।
তোমার ছুড়ে দেয়া কাঁটার আচড়ে
রক্তজমাট দগদগে ক্ষতচিহ্ন।
মেহেদি পাতার রঙিন প্রলেপ মেখে
স্বয়ত্নে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখি
আলতো ভালবাসার পরশ বুলাই
নিশিতে নিরবে নিঃশব্দে।
আরও পড়ুন কবিতা-
অলিখিত কবিতা
বসন্ত কোকিল
শূন্যের নিক্তিরা
ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর-এর অফিসিয়াল ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে
অন্ধকারের জ্যোতি