অধ্যাপক-মোহাম্মদ-আব্দুল-জব্বার-৫ম-পর্ব
কৃতি ব্যক্তিবর্গ,  গবেষক,  গোপালপুর (ভায়না),  বিজ্ঞানী,  ভায়না,  লেখক পরিচিতি,  শিক্ষকবৃন্দ,  শিক্ষাবিদ,  সমাজসেবক,  সাহিত্য

অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (৫ম পর্ব)

অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (৫ম পর্ব)

~ মোহাম্মদ আব্দুল মতিন

 

কর্মময় জীবন:

কর্মময় জীবনের শুরুতেই তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে ১৯৪১ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতায় আত্মনিয়োগ করেন। এরপর যোগদান করেন চট্টগ্রাম কলেজে, পরবর্তীতে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে অংক শাস্ত্রেও শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। দেশ বিভাগের পর ১৯৪৭ সালে তিনি রাজশাহী কলেজে গণিত বিভাগের প্রধান পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। কিন্তু পরের বছরেই ১৯৪৮ সালে তিনি তৎকালীন ঢাকার আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (বর্তমান বুয়েট) গণিত বিভাগে যোগদান করেন। বুয়েটে তিনি দীর্ঘ কর্মময় জীবন অতিবাহিত করেন। গণিত বিভাগের প্রধান হিসাবে ছিলেন একটানা প্রায় পনের বছর। ১৯৬২ সালে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হবার পর তিনি নিযুক্ত হন প্রথম রেজিস্ট্রার পদে। ১৯৬৮ সালে তিনি ছাত্র কল্যাণ পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এই পদে তিনি অধিষ্ঠিত ছিলেন ১৯৮০ সাল পর্যন্ত। সেই বছরে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। চার বছর অবসর জীবন যাপনের পর ১৯৮৪ সালে ড. রশিদ প্রফেসর হিসাবে গণিত বিভাগের সম্মানিত শিক্ষক হিসাবে পুনরায় যোগদান করেন।

ড. এ আর খান (ভূতপূর্ব অধ্যাপক, ফলিত পদার্থবিদ্যা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার এর লেখা সম্পর্কে বলেছিলেন,
“এ কথা ঠিকই যে অধ্যাপক জব্বার এককভাবে বাংলাদেশে এবং বাংলা ভাষায় জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চায় যে বিরাট ভূমিকা রেখেছেন, তাঁর জীবদ্দশায় বাঙালি জাতি তার উপযুক্ত স্বীকৃতি দিতে পারেনি। তাঁর বইগুলি যে পড়েছে সেই উপলব্ধি করতে পেরেছে যে কতটা শ্রম, প্রয়াস ও মেধা তিনি ব্যয় করেছেন এই সব রচনায়।” (অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বারকে যেমন দেখেছি – ড. এ. আর. খান, পৃষ্ঠা-৬৬, মহাকাশ বার্তা, দ্বিতীয় বর্ষ, একাদশ সংখ্যা, নভেম্বর, ১৯৯৩)।

আরও পড়ুন কবি, কথাসাহিত্যিক, পরিচালক মোহাম্মদ সেলিমুজ্জামান

ড. আলী আসগর (ভূতপূর্ব অধ্যাপক, পদার্থবিদ্যা বিভাগ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার সম্পর্কে লিখেছিলেন,
“যথেষ্ট প্রতিভা ও যোগ্যতা নিয়েও তিনি গবেষণার সুযোগ পাননি। কিন্তু গবেষণার প্রতি তাঁর ছিল গভীর আগ্রহ ও শ্রদ্ধাবোধ। তাঁর লেখা বইগুলি অত্যন্ত উচ্চমানের বিজ্ঞানগ্রন্থ। অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম ও মৌলিকতার ছাপ এই বইগুলি বহন করে। শুধু বাংলাদেশেই নয় সমগ্র ভারতেও এই বইগুলোর তুল্য বিজ্ঞানের জনবোধ্য বই খুব বেশি নেই। তথ্য উপস্থাপনে ভাষা শৈলীতে ও পরিভাষা নির্মাণে আব্দুল জব্বার সাহেবকে অসম্ভব দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য মনে হয়েছে আমার। ” (অধ্যাপক আব্দুল জব্বার : কাছ থেকে দেখা একজন বিদগ্ধ মানুষ – ড. আলী আসগর, পৃষ্ঠা-৩৭, মহাকাশ বার্তা, , দ্বিতীয় বর্ষ, একাদশ সংখ্যা, নভেম্বর, ১৯৯৩)।

বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও রাজনীতিবিদ জনাব বদরুদ্দীন উমর (ভূতপূর্ব অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়) লিখেছিলেন,
“দেশের বাইরে না গিয়েও যে একজন নিজের নিষ্ঠা ও অধ্যবসায়ের দ্বারা জ্ঞানের দিগন্ত ক্রমাগত প্রসারিত করে যাওয়ার চেষ্টায় নিযুক্ত থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক কিছু অর্জন করতে পারেন, মো: আব্দুল জব্বার তার এক বড় কৃতিত্ব স্থাপন করে গেছেন। তাঁর কৃতিত্ব শুধুমাত্র নিজের জ্ঞান অর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো না। অন্যদেরকে সে জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করার বিষয়েও যথেষ্ট চিন্তাভাবনা করতেন। এক্ষেত্রে তাঁর কৃতিত্ব শুধু কয়েকটি গ্রন্থ রচনাই নয়। সে গ্রন্থগুলি বাংলা ভাষায় রচনা করাও।” (জোতির্বিজ্ঞানী মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার – বদরুদ্দীন উমর, পৃষ্ঠা-৫২, মহাকাশ বার্তা, দ্বিতীয় বর্ষ, একাদশ সংখ্যা, নভেম্বর, ১৯৯৩)।

আরও পড়ুন কবি ফজলুল হক

জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, ভূতপূর্ব অধ্যাপক, বুয়েট, ভূতপূর্ব উপাচার্য্য, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ভূতপূর্ব উপাচার্য্য এশিয়া-প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয় লিখেছিলেন,
“গত চার দশকে বাংলাদেশে প্রকৌশল শিক্ষার গোড়াপত্তন থেকে শুরু করে আজ আমরা যে অস্থানে পৌঁচেছি – যেখান সারা বিশ্বে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় পরিচিতি লাভ করেছে এই যাত্রা পথের অন্যতম চালিকা শক্তি ছিলেন মরহুম প্রফেসর আব্দুল জব্বার। প্রকৌশল শিক্ষায় তাঁর অবদানের জন্য জাতি তাঁর কাছে চিরঋণী। ” (প্রকৌশল শিক্ষায় প্রফেসর আব্দুল জব্বার ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, পৃষ্ঠা-৫৫, মহাকাশ বার্তা, দ্বিতীয় বর্ষ, একাদশ সংখ্যা, নভেম্বর, ১৯৯৩)।

অসুস্থ-স্ত্রীর-পাশে-অধ্যাপক-মোহাম্মদ-আব্দুল-জব্বার
  অসুস্থ স্ত্রীর পাশে অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার

১৯৭৯ সালের ২রা মার্চ স্ত্রী-র মৃত্যুর পর ১৯৯৩ সালের ২৯ মে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ৮ জুন তাঁর বিবাহবার্ষিকীর দিনটিতে তিনি সংজ্ঞা ফিরে পান। ১৬ জুলাই থেকে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। ১৯৯৩ সালের ২০ জুলাই সকাল সাতটা দশ মিনিটে পিজি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার।

অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বারকে বনানী কবরস্থানে তাঁর স্ত্রীর কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।

 

 

 

 

সংক্ষিপ্ত জীবনী:

পূর্ণনাম: মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
জন্ম: ১লা জানুয়ারি, ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দ
জন্মস্থান:  পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রাম
বাবা: মুন্সী মিয়াজান মল্লিক
মা: বুলু বেগম
স্ত্রী: নূরজাহান বেগম
সন্তান: আবদুল জব্বার-নূরজাহান দম্পতির ৫ পুত্র ও ২ কন্যা
পেশা: শিক্ষকতা
শিক্ষা: মাধ্যমিক (এন্ট্রান্স/ম্যাট্রিকুলেশন) – সাতবাড়িয়া উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় (১৯৩২ খ্রি.): উচ্চমাধ্যমিক (আই.এসসি.)-কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ (১৯৩৪ খ্রি.), (গণিতে লেটারসহ বৃত্তি লাভ করেন); বি.এসসি.-গণিতে অনার্স (প্রেসিডেন্সি কলেজ); এম.এসসি.-কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৩৮খ্রি.), (এম.এসসি.তে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন); এম.এসসি. পরীক্ষার পর অধ্যাপক লেভীর সুপারিশে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গবেষণা-বৃত্তি লাভ করেন।

আরও পড়ুন কবি মো. হাতেম আলী

কর্মজীবন: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাবে অবৈতনিক লেকচারার হিসেবে নিযুক্ত হন (১৯৪১ খ্রি.); গণিতের লেকচারার হিসেবে চট্টগ্রাম কলেজে যোগদান (১৯৪৩ খ্রি.); রাজশাহী সরকারি কলেজে গণিতের শিক্ষক হিসেবে যোগদান (১৯৪৭খ্রি.); ঢাকা আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে গণিত বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগদান (১৯৪৮ খ্রি.); ১৯৬২ সালে আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হলে এর প্রথম রেজিস্টার নিযুক্ত হন; ১৯৬৮ সালে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক পদে যোগ দেন; ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং ১৯৮৪ সালে ড. রশীদ অধ্যাপক নিযুক্ত হয়ে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনরায় যোগ দেন।

প্রকাশনা: ১৯৪৮ সাল থেকে ঢাকায় মাসিক ইমরোজ নামে একটি পত্রিকা বের হত এবং প্রতি মাসেই মো. আব্দুল জব্বার জ্যোতির্বিজ্ঞানের-এর উপর একটি প্রবন্ধ লিখতেন। ঐ পত্রিকাতে মিন্টুর ডাইরি’ নামে ছোটদের জন্য একটি শিশুতোষ রম্য রচনা লিখতেন এবং সেটি ছোট-বড় সবার কাছেই সমান আকর্ষণীয় ছিল ।
১৯৫৩ সাল থেকে ঢাকায় প্রকাশিত দৈনিক পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকায় প্রতি মাসের ১ তারিখে ‘নাইট স্কাই অব দা মাহ নামে একটি প্রবন্ধ লিখতেন। এতে আকাশে গ্রহ, নক্ষত্রের অবস্থান দেখিয়ে একটি ছবি এবং সেই সঙ্গে অমাবস্যা, পূর্ণিমা কবে হবে, কোন দিন ঈদের চাঁদ দেখা যাবে সে সব নিয়ে আলোচনা থাকতো। তাঁর লেখা ইন্টারমিডিয়েট স্ট্যাটিক্স এবং ইন্টারমিডিয়েট ডাইনামিক্স সমগ্র পাকিস্তানে একটি আবশ্যকীয় পাঠ্য পুস্তক হিসাবে স্থান পায়।

আরও পড়ুন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুল বাছেত
চিরনিদ্রায়-শায়িত-মোহাম্মদ-আব্দুল-জব্বার
চিরনিদ্রায় শায়িত মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার

অনেকেই জানেন না যে তিনি একজন সফল পরিচালক ছিলেন। তৎকালীন আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে খুব উন্নত মানের বাৎসরিক নাটক হত। এই নাটকের পরিচালক ছিলেন তিনি।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলায় তাঁর লেখা বিভিন্ন নিবন্ধ প্রকাশিত হয় মোহাম্মদী, সওগাত, পাঠশালা ইত্যাদি পত্রিকায়। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে গবেষণাধর্মী গ্রহ: বিশ্ব ও সৌরজগৎ (১৯৮৬ খ্রি.), বিশ্ব-রহস্য সন্ধানে, খগোল পরিচয়, তারা-পরিচিতি, প্রাচীন জ্যোতির্বিদ্যা, আকাশ পট ইত্যাদি। মহাকাশ গ্রন্থমালা সিরিজের অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয় তাঁর খ-গোল পরিচয়, তারা-পরিচিতি এবং প্রাচীন জ্যোতির্বিদ্যা গ্রন্থ তিনটি। জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চা বিষয়ে তাঁর কালানুক্রমিক পঠন-পাঠনের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বিজ্ঞানমনস্ক পাঠকসমাজের জন্য ১৯৪৯ সালে প্রকাশ করেন বিশ্ব-রহস্যে নিউটন ও আইনস্টাইন এবং ১৯৫১ সালে বিশ্ব-রহস্য সন্ধানে নামক দুটি বই।

সম্মাননা: জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণার ক্ষেত্রে বিশিষ্ট অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ লাভ করেন “ব্রুনো পদক ‘৯০” (বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন, ১৯৯০ খ্রি.)। বিজ্ঞান চর্চায় অবদানের জন্য ১৯৮০ সালে কুদরাত-এ-খুদা স্মৃতি পুরস্কার এবং ১৯৮৫ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত একুশে পদক লাভ করেন। প্রবন্ধ-গবেষণা ক্ষেত্রে, একজন লেখক হিসেবে ১৯৮৩ সালে বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
মৃত্যু: ১৯৯৩ সালের ২০ জুলাই, ঢাকার পিজি হাসপাতালে।

মুন্সী-মিয়াজান-মল্লীকের-বংশ-তালিকা
                                                                 মুন্সী মিয়াজান মল্লীকের বংশ তালিকা
আরও পড়ুন অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার-
১ম পর্ব
২য় পর্ব
৩য় পর্ব
৪র্থ পর্ব
৬ষ্ঠ পর্ব
৭ম পর্ব
শেষ পর্ব

 

ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলফেসবুক পেইজে

অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (৫ম পর্ব)

Facebook Comments Box

মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বারের দ্বিতীয় পুত্র। তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন, ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি) একজন সদস্য এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৪৫ সালের ১১ই নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।

error: Content is protected !!