-
আষাঢ় শ্রাবণ, জ্যোৎস্না, তুমি ছাড়া, ভরে যায় মন
আষাঢ় শ্রাবণ খোন্দকার আমিনুজ্জামান আষাঢ় শ্রাবণ প্রকৃতিতে প্রাণের নতুন স্পন্দন বাদল বসন্তে অন্তরে তার আহা কতো নন্দন। প্রকৃতির সন্তানেরা এখন বাধাহীন উচ্ছ্বল আনন্দে মেঘ বৃষ্টি রোদের সাথে ওরা খেলছে গো মহানন্দে দেখে দেখে উন্মনা হয়ে যায় মন। প্রকৃতি হাসলে চলে আসে হাসি প্রকৃতিকে আমি হার্দিক ভালোবাসি প্রকৃতিতে ডুবে মন পকেটে আমি মুগ্ধতা করি আহরণ। আষাঢ় শ্রাবণ প্রকৃতির নতুন আবাহন ও তার রঞ্জনে ভরে যায় মন মনন প্রকৃতির সাথে এ এক অমর বন্ধন। আরও পড়ুন খোন্দকার আমিনুজ্জামানের কবিতা- ভালোবাসার গ্রাম হৃদয় ভেঙে যায় কবি ও কবিতা দেশের মাটি জ্যোৎস্না এই মন বার বার ছুটে যায় গ্রাম বাংলায় সেথায়…
-
ভালোবাসার গ্রাম, বাদল দিন, শরৎ
ভালোবাসার গ্রাম খোন্দকার আমিনুজ্জামান আমার ভালোবাসার গ্রামকে তোরা শহর বানানোর চেষ্টা করিস না তা হলে যে বাবুই পাখির একতলা দোতলা বাসা আর দেখতে পাবো না। টুনটুনিরা চলে যাবে, যাবে বহুদূর শুনতে পাবো না তাদের মিষ্টি মধুর সুর ছোটো গাছে তাদের জোড়া পাতার বাসা আর তো ভাই দেখা যাবে না। দোয়েল-কোয়েল ঘুঘু-শ্যামার সুমিষ্ট ডাক সেখানটায় দখল নিবে শহরের কাক বক-ডাহুক-মাছরাঙাদের উড়াউড়ি আর তো দেখা যাবে না। গ্রামের নির্মল বাতাস আর বিশুদ্ধ পানি ক্রমে দূষিত হবে জানি গো জানি শহরের বাস্তবতা আজ আর কারও অজানা না। সোঁদা সোঁদা মাটির গন্ধ পেতে গ্রামে ছুটে যাই মনময় দক্ষিণী হাওয়া সেখানে পাই পূর্ণিমা রাতে…
-
খোন্দকার আমিনুজ্জামান
খোন্দকার আমিনুজ্জামান এ সময়ের একজন জনপ্রিয় লেখক। সৃজনশীল লেখার পাশাপাশি মননশীল লেখায়ও তিনি অনবদ্য। কবিতা, ছড়া, গান, গল্প-উপন্যাসের পাশাপাশি তিনি প্রবন্ধ লিখে থাকেন। তাঁর লেখার মূল কথা, ‘আধার কাটো, আলোর পথে হাটো। অনন্ত আলোতে সংলগ্ন হও, মানবিকতার বিকাশ ঘটাও।’ জন্ম: পাবনা জেলা সদর থেকে প্রায় ৫০ কি.মি. দূরে সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়নের প্রাচীন গ্রাম মুরারীপুর লেখক এর পৈতৃক নিবাস। তবে জন্ম রাজবাড়ী জেলার বাহাদুরপুর গ্রামের মাতুয়াইলে। দিনটি ছিল ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দের ১লা মে। পারিবারিক জীবন: পিতা খন্দকার আব্দুল খালেক, পেশায় শিক্ষক এবং মা লুৎফুন্নাহার রুবি ছিলেন গৃহিণী। দশ ভাইবোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। স্ত্রী ইসরাত খোন্দকার। তাঁদের একমাত্র কন্যা সন্তান অর্থি খোন্দকার।…