-
মানবতার ছায়াতলে, মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব, সুখ-সরোবর
মানবতার ছায়াতলে মো. হাতেম আলী ফেলিস নে মা- চোখের জল আর মুছে ফেল আঁখি দুটি, তোর দু’চোখের লোনা জলে ভরেছে সাগর-নদী; সংস্কারের নাম বেঁচে খাচ্ছে ওরা ঘাড়ে বসে মরছি তার দহন বিষে! এখন না মা তাড়াই যদি, দুঃশাসন ও পাপের ঘোড়া ছুটবে মরূৎ-বোম ভেদী । তোর আশিষে- জাগবে ওমা লাগলে ছোঁয়া দুষ্টু ছেলে, বিপদ-গামী হয়ে যারা গিয়েছে মা তোকে ভুলে ; শপথ মা তোর চরণ ছুঁয়ে শোষণ-পীড়ন,দহন জ্বালা চিরতরে দেবো ধুয়ে। ঐ দ্যাখো মা চোখ মেলে, দাগতে কামান আসছে ধেয়ে মুক্তিকামী তোর ছেলে..।। সাম্প্রদায়িক বিভেদ ভুলে- আয়রে নবীন দলে দলে মানবতার ছায়াতলে, ঝাণ্ডা হাতে বুক ফুলিয়ে আয়রে তোরা মশাল…
-
পান পেয়ালা শূন্য, নৈতিকতা প্রশ্নবিদ্ধ
পান পেয়ালা শূন্য মো. হাতেম আলী উজান চরে বসত করে নদী পাড়ের ভৃত্য নেই যে তাদের বসত বাড়ি নেই যে আহার নিত্য ; চারপাশে’তে থৈ থৈ পানি কানে ভাসে কলকল ধ্বনি- নদী পাড়ে আচড়ে পড়ে শ্রাবN মেঘের দৈত্য বাঁচার আশায় টঙের মাচায় বাস করে অগত্য…। ভাটির গাঁয়ে যাচ্ছে মাঝি পাল তুলে নৌকায় ছলাৎ ছলাৎ ঢেউয়ের তালে সুরের মূর্ছনায় ; ব্যস্ত মাঝি বৈঠা হাতে যাত্রী নামায় ঘাটে ঘাটে- এপাড় ভাঙে ওপাড় গড়ে কালের ইশারায় কুল খুঁজে পায় জীবন নদী ভাটির মোহনায়…। বনের পাখি বনেই মানায় সুখ সে কি পায় অন্য সাগর ভরা জল তবু তার পান পেয়ালা শূন্য ; সুখ…
-
আলো আঁধার, আলোর যাত্রী
আলো আঁধার মো. হাতেম আলী আলোর বিপরীতে ছায়া যেমন চলে আলোর সাথে, ছায়ার বিপরীত আলো তেমন হারায় আঁধার রাতে। মুখোশের আড়ালে দানবের মেলা আলো-আঁধারে লুকোচুরি খেলা- লোভে পাপে মন হয়েছে দূষণ স্বার্থের অভিঘাতে, মিষ্টি কথায় রাঙিয়ে এ হৃদয় ছুরি চালায় পিঠে! দীক্ষার আলোয় দীক্ষিত হও বিকশিত কর জ্ঞান, আঁধার ঘরেতেও জ্বলবে প্রদীপ আলোকিত হলে মন। শিক্ষা যদি হয় মানব কল্যাণে বদলে যাবে এই জীবনের মানে- এসো হে নবীন মানবতার তরে জ্ঞান করি আহরণ, গড়তে হবে আঁধার তাড়ায়ে আলোকিত ভূবন…। আরও পড়ুন মো: হাতেম আলীর কবিতা- একুশ মানেই স্বাধীনতা ভালো থাকিস মা শূন্যতা আলোর যাত্রী অভূক্তপ্রাণ- মরছে ধুকে, বন্দীদশা…
-
একমুঠো রৌদ্র, নতুন কুঁড়ি
একমুঠো রৌদ্র মো: হাতেম আলী আমিও না হয় হারিয়ে যাবো আকাশে লুকিয়ে থাকা তারাদের মাঝে। মনে পড়ে যদি দেখে নিও মেঘের আড়াল হতে লজ্জাবতী’র নুইয়ে পড়া পাতার খাঁজে। দেখে নিও দুচোখ ভরে সাঁঝের বাতি জ্বেলে অন্ধকারে হাতরে ফিরো এক নরম হাতের পরশ পেতে। জোৎস্নার পরশ হয়তো পাবো না কোনদিনই কারণ, এক খন্ড কালো মেঘ জমে আছে আমার আকাশ জুড়ে। মনের জমিন চষে বেড়িয়েছি জীবনভর কিন্তু আমি যে এক অসহায় বর্গা চাষী। মালিকের ভাগ বুঝে দিয়ে আমি এক শূন্য মুসাফির কষ্টগুলো নেই কুড়ে, আবার স্বপ্ন বুনি একমুঠো রৌদ্র পাবো বলে। বীজতলা ভরে আছে আগাছায়, ক্ষুদার্থ কীটপতঙ্গ খেয়ে নিচ্ছে চারাগাছ প্রাণপণ…
-
ভারসাম্যতা, আমার আমি
ভারসাম্যতা মো: হাতেম আলী বহুদিন পর দেখতে গেছি সবুজ ঘেরা পাহাড় চুড়া একি দশা পাহাড় রে তোর, সর্বাঙ্গ আজ বসন ছাড়া; তুই কি তবে বর্ণচোরা? নেই যে কোথাও একটি চাড়া- হবে না তোর ছায়ায় বসে সুখ-দুঃখের গল্প করা ক্লান্ত পথিক গামছা পেতে বসবে বল তো কোথায় তারা…? কেওড়া, সেগুণ,শাল গাছগুলো জড়িয়ে ছিল একে অন্য রাত্রদিনে প্রেমবন্ধনে গলায় গলায় বিলিয়ে পুণ্য; যা দেখে মন হতো ধন্য কোথায় সেই সবুজ অরণ্য- মনি ঋষি তোরই অঙ্গে, অঙ্গ মেখে হয় অনন্য তোর প্রেমেরই পরশ পেতে ছুটে আসে এই নগণ্য…। পাহাড় বলে তোমরা মানুষ চিড়ছো এ বুক তিলে-তিলে পশুর চেয়েও হিংস্র ঘাতক হাজার কান্নায়…
-
বিবেকবোধ, পুষ্প বৃষ্টি, তুই ধোঁকাবাজ
বিবেকবোধ মো: হাতেম আলী জয়-পরাজয় দিয়েই সব কিছুর সৃষ্টি বিজয়ীর তাজ পেতে লাগে দূরদৃষ্টি; সুখ-দুঃখ প্রতিবেশি চলে ওরা পাশাপশি- না পাওয়ার বেদনাতে না হারালে শক্তি তবেই তো আসে ফিরে জীবনের মুক্তি…। সুখ ভরা সংসারে দিকেদিকে হায় হায় আলো ঝলমল তবু আঁধারেই ঘিরে রয় ; মাতৃত্বের আজ অপমান পিতৃত্বেরও অসম্মান- ভ্রাতৃত্ববোধ ভুলে ভাই বোন দূরে রয় স্বর্গ তাই বৃদ্ধাশ্রমে অবহেলায় রাত কাটায়…। এ বলে যে আমি বড় সে বলে যে আমি ও বলে হায় তার চেয়ে সেই নাকি রে দামী; এই নিয়ে হরদম মারপিট ধুমধুম- সম্মানের প্রাপ্য যে তায় ভুলে গেছি আমি আসলে কে বড় তাহা জানে অন্তর্যামী….। আরও পড়ুন…
-
বিপরীত হালচাল, হে মহা মহীয়ান, নীল-বেদনা
বিপরীত হালচাল মো: হাতেম আলী গুণী লোকের এই সমাজে সম্মান নাই আজি; দুষ্টু লোকের ফন্দী-ফিকির বাড়ছে ধান্দাবাজি। সদাচারের বড়োই অভাব চলা ফেরায় পশুর স্বভাব- অন্যের কাঁধে বন্দুক রেখে দেশ দরদী সাজি; কাজ-কর্মে’তে ফাকি দিয়েও ভাবে কাজের কাজী… সম্মান দিলে সম্মান মেলে শুনছি চিরকাল। এখন দেখছি সবই মেকি বিপরীত হালচাল। যাহার আছে অনেক টাকা অহংকারে সে চলে বাঁকা- সদায় ভাবে অন্যরা সব ছোট লোকের দল। আসল সম্মান তার’ই প্রাপ্য বাঁকিরা মাকাল ফল…! ছোটর মুখে বড় কথার ফুটছে যেনো খই; উলঙ্গ কৃষক মাথা ঠুকছে পাকা ধানে’তে মই। অসৎ লোকের পাল্লা ভারী করছে কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি- চোর পুলিশে সখ্যতা আজ দেখছি সর্বত্রই; সুশিক্ষা…
-
কালের যাত্রী, জ্যান্ত লাশের গন্ধ
কালের যাত্রী মো: হাতেম আলী নামেই শুনি প্রণোদনা না পায় কোন দুস্থজনা যায় না চেনা কে কোন জনা চতুর্পাশে প্রবঞ্চনা ; কাঙাল বেশে খাচ্ছে চুষে বিচারকর্তা দেখছে বসে- নেড়ি কুত্তা আগে-পিছে সকাল-সন্ধা আনাগোনা চিতায় পোড়া মরা লাশের নামেও হচ্ছে হুলিয়ানা। কেউ তো নহে ছোটবড় জগতময়ী মায়ের কাছে সন্তানসম আদর-স্নেহে কাছে টানে সে ভালোবেসে ; তুই কেন আজ রাতকানা দেখেও কেন দেখিস না মা -? হাড়-মাংস খাচ্ছে গিলে হারামীর দল পাটায় পিষে জ্বলে অঙ্গ জ্বলে মাগো আজ দেখে ওরা অট্টহাসে। চেনা যে দায় আসল-নকল সবই যেনো মায়াজাল খরিদ করে এনে ঘরে ভেঙে দেখি এ মাকাল ফল ! কথা কাজে মিষ্টি…
-
মো. হাতেম আলী
মো. হাতেম আলী ১৯৭২ সালের ১০ মে, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত মানিকহাট ইউনিয়নের বিলক্ষেতুপাড়া গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: মো. হাতেম আলীর পিতা মৃত সেরাজ উদ্দিন এবং মাতা মৃতা হাজেরা বেগম। তিনি পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে চতুর্থ। স্ত্রীর মিসেস হোসনেয়ারা বেগম (হাসি)। তাদের সংসারে তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। প্রথম সন্তান মো. হাসানুজ্জামান (টুটুল) সিআরপি সাভার পঙ্গু হাসপাতাল থেকে ফিজিওথেরাপিতে অনার্স শেষ করে সেখানেই চিকিৎসক হিসাবে যোগদান করে। বর্তমানে পাবনা ডায়েবেটিস হসপিটালে সিআরপি শাখায় চিকিৎসক হিসাবে কর্মরত আছে। দ্বিতীয় সন্তান মো. হারুন উর রশিদ (ঝন্টু) মেকানিক্যালে বি,এস,সি ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে চট্রগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) থেকে।…