• দীপ্তিদের-দেবতা-শেষ-পর্ব
    এ কে আজাদ দুলাল (গল্প),  গল্প,  সাহিত্য

    দীপ্তিদের দেবতা (শেষ পর্ব)

    দীপ্তিদের দেবতা (শেষ পর্ব) এ কে আজাদ দুলাল   গোসলখানায় গিয়ে দেখি নতুন লুঙ্গি, গামছা এবং গেঞ্জি আর বড় দুটো বালতি ভরা পানি। একটি বালিতে গরম পানি। ভাবছি, একেই বলে খান্দানী। প্রায় আধা ঘন্টা ধরে গোসল করে নিলাম। গিন্নীর দেয়া কোন কিছু ব্যবহার করতে হলো না। সযত্নে রেখে দিলাম। তবে পাঞ্জাবী-পাজামা পরিধান করে নতুন জামাই সেজে ডাকের অপেক্ষায় বসে থাকলাম। এমন সময় চৌদ্দ-পনের বছরের একটা মেয়ে রুমে ঢুকে সালাম দিলো। আমার নাম ঝুমুর। চলুন নাস্তা খাবেন। শান্ত স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নার নরম আলো মাখানো চেহারা। স্বাভাবিক পোশাকে অপূর্ব লাগছে। কিছু না বলে ঝুমুরকে অনুসরণ করলাম। ছিমছাম খাবার ঘর। খাবার ঘরে কি নেই।…

  • দীপ্তিদের-দেবতা-২য়-পর্ব
    এ কে আজাদ দুলাল (গল্প),  গল্প,  সাহিত্য

    দীপ্তিদের দেবতা (২য় পর্ব)

    দীপ্তিদের দেবতা (২য় পর্ব) এ কে আজাদ দুলাল   প্রায় মাসখানেক হলো নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেছি। নতুন বাসা নেয়া হয়েছে। গিন্নী তার সংসার গোছগাছ নিয়ে ব্যস্ত। বাচ্চা দুটো নতুন জায়গায় এসে নিঃসঙ্গবোধ করছে। এখনো বন্ধু-বান্ধব জোটেনি। তবে গিন্নীর সাথে পরশিদের আলাপচারিতা চলছে। আমিও  কলেজে যাওয়া-আসা করছি আর পাশাপাশি আসাদের ঠিকানাটা মনে করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ড্রয়িং রুমে বসে ভাবছি কোথায় লেখা আছে ঠিকানা। হঠাৎ গিন্নী এসে পাশে বসে টেলিভিশন অন করল। এ প্রজন্মের তরুণ রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী অদিতি মহসিনের কণ্ঠে ভেসে এলো রবীন্দ্রনাথের জনপ্রিয় গান- ‘আমি চিনি গো চিনি তোমারে’। গানটি শুনতেই গোরা উপন্যাসের  কথা মনে পড়ে গেল। আসাদ আমাকে স্মৃতিস্বরূপ এই…

  • দীপ্তিদের-দেবতা-১ম-পর্ব
    এ কে আজাদ দুলাল (গল্প),  গল্প,  সাহিত্য

    দীপ্তিদের দেবতা (১ম পর্ব)

    দীপ্তিদের দেবতা (১ম পর্ব) এ কে আজাদ দুলাল   এ বছরে ভাগ্যটা সত্যিই সুপ্রসন্ন। অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর পদে পদোন্নতি আর পদায়ন জেলা শহরে নামকরা কলেজে। প্রমোশন এবং পদায়ন দুটোই আমার জন্য একটা সাফল্য। কিন্তু গিন্নী আর বাচ্চারা মনঃক্ষুণ্ন। এত দিনের পুরনো বন্ধুদের ছেড়ে যেতে হবে। বদলী ঠেকানোর কোন উপায় নেই। উপায় একটাই প্রমোশনটা যদি না নেই। গিন্নীকে অবগতি করতেই একবাক্যে বাতিল করে দিলেন। হাজার হলেও প্রফেসরের জীবনসঙ্গিনী। সমাজে আলাদা একটা পরিচয় আছে। কিন্তু বিপত্তি অন্য জায়গায়। বিপদ তো বলে কয়ে আসে না। ওৎপেতে বসে থাকে। শুধু সময় মত কাজে লাগানো যায় কিভাবে। মফস্বল শহর হতে জেলা শহরে বাসান্তর। প্রায় পাঁচ বছর…

error: Content is protected !!