-
কতদিন দেখি না মাকে, খঞ্জনা, মাকে মনে পড়ে
কতদিন দেখি না মাকে জিন্নাত আরা রোজী খোকা কোথায় যাস? এখনই যে সন্ধ্যা নামবে! ঐ নদীর বাঁকে,ঝোপের পারে যেথায় আমার মা ঘুমিয়ে আছে। ও খোকা যাসনে ওখানে তুই গেলে মা কষ্ট পাবে, বলবে, বাবা ঘরে ফিরে যা, আমি আছি তোরই সাথে। মাকে দেখিনি ঢের দিন, বড় ইচ্ছে জাগে, মাকে দেখবো নয়ন ভরে দু’টি কথা বলবো নিরবে, মা কেন পালালো বলবে আমারে? আমাকে রেখে মা কেমনে থাকো আড়ালে? আমি হারিয়ে গেলে তবে কি আসবে ফিরে? না দাদু, ওমন কথা বলো না মোটেই তোর জন্যই যে আছি বেঁচে, পরানে আমার বড় ব্যাথা জাগে তোর মাকে হারিয়ে। তুই যে কত আপনার কেন…
-
জগা ও পিসি
জগা ও পিসি জিন্নাত আরা রোজী জগার পিসি নাইকো বাড়ি জল আনতে কলসি কাঁখে গেছে নদীর বাঁকে। সারা বাড়ি ঘুরে জগা মিছেই বসে কাঁদে। পাশের বাড়ির মিনতি এসে জগার কানে বলে কাঁদছো কেন মিছে? পিসি নদীর বাঁকে। আলাভোলা জগা তখন ঠোঁট বাঁকিয়ে হাসে। সারা বাড়ির উঠোন জুড়ে ধান শালিক আর চড়াই পাখি নাচে জগা তাহার পিছে পিছে ছোটে। পিসি এসে বলে কিরে বাবা কাঁদছিস কেন মিছে? পাশের ঘরেই পিসেমশাই ফঁসফঁসিয়ে নাগ ডেকে ঘুমায় দেখতে পাচ্ছিস না চোখে? সারাটি কাল এমন বোকা হলে চলবি কেমন করে? বদমাশ আর চতুররেতে জগত গেছে ভরে তাদের মাঝে থাকতে হলে…
-
জিন্নাত আরা রোজী
জিন্নাত আরা রোজী এ সময়ের একজন জনপ্রিয় কবি হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁর লিখা বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকগুলোতে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। জন্ম: জিন্নাত আরা রোজী ১৯৬৮ সালের ২রা অক্টোবর পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের নওয়াগ্রামের এক সম্ভান্ত্র মুসলিম পরিবারের খান বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: পিতা মো. সৈয়দ আলী খান, মাতা মোছা. আমেনা খাতুন। আট ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ষষ্ঠ। স্বামী আবুল কাশেম, পেশায় কনসালটেন্ট। তিনি দুই সন্তানের জননী। ছেলে মাহিন জাকারিয়া, মেডিকেল শেষ বর্ষের ছাত্র। মেয়ে নাঈমা জিনাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২য় বর্ষের ছাত্রী। শিক্ষাজীবন: উদয়পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু, এরপর পাবনা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত…