-
নতুন প্রাণের সন্ধানে
নতুন প্রাণের সন্ধানে জাহাঙ্গীর পানু এসো হে নবীন প্রজন্ম এসো দেশ মাতৃকার ভালোবাসার টানে এসো দূর্নীতির বিষবৃক্ষ উপরে ফেলি তাকিয়ে নতুন দিনের পানে। আজি এ মাতৃভূমির মায়াভরা মাটি সেতো আমাদের সোনার চেয়েও খাঁটি আগাছায় ভরে গেছে এ রক্তমাখা জনপদ শকুনের কালো দৃষ্টি পড়েছে মানচিত্রে দ্বিধাহীন চলছে সবাই লাল সূর্যের রক্তেগড়া লালসবুজের পতাকা পদতলে মাড়িয়ে অনুর্বর হয়ে গেছে আজ অবহেলায় অযত্নে ফলাই নতুন ফসল শ্রমলদ্ধ গানে। আজি এ প্রভাতের নতুন সূর্য আর তারাদের সাথী করে, তারুণ্যের জয়গান গাহি মোরা নতুন প্রাণের সন্ধানে। আরও পড়ুন কবিতা আলো আঁধার ইউনিয়ন মানিকহাট ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজে
-
বারো মাসের পদাবলী
বারো মাসের পদাবলী জাহাঙ্গীর পানু বৈশাখ মাসে ঝড় বৃষ্টিতে আম কুড়ানোর হরষে, কাঁচা আমের আচার হয় টক ঝাল মিষ্টির পরশে। জৈষ্ঠ্য মাসে দেখা যায় নানান ফলের বাহার, মধু মাসের মিষ্টি ফলে করে সবাই আহার। আষাঢ় মাসে রিমঝিম শব্দে বৃষ্টি মুখর সারা দিন, শিশু কিশোর নারী পুরুষ ঘরে বন্দী পরাধীন। শ্রাবণ মাসে ঢল নামে নদী নালা ভরপুর, বন্যার পানি ধেয়ে আসে গ্রাম শহর টইটুম্বুর। ভাদ্র মাসে ভরা বন্যায় মাছ ধরে জেলেগণ, নানা রকম মাছের স্বাদে রসনা বিলাসে ভরে মন। আশ্বিন মাসে নদীর তীরে কাশ ফুলের মেলা, মেঘমুক্ত নীলাকাশে ভাসে সাদা মেঘের ভেলা। কার্তিক মাসে…
-
শব্দহীন যাত্রা, হৃদয়ের জোছনা, বিষ
শব্দহীন যাত্রা জাহাঙ্গীর পানু একটা ক্ষণ চাই, শুভক্ষণ। যদিও আমি ক্ষণজন্মা মানুষ নই। তবুও আমি বারবার খুঁজে ফিরি আপন পথ। আমি জোস্নার একরাশ নীলাভ আলোয়; নিজেকে খুঁজে ফিরি। আমি আমাবস্যার তিমির অন্ধকারেও দেখি নিজের স্বত্ত্বা। পথহারা পথিক আমি, আমি বরষায় বাদল মুখর রজনীতে মিলাতে চাই; আমার গানের রাগিনী। কিন্তু, আমার আজন্ম লালিত অধরা স্বপ্ন ; স্বপ্নই রয়ে গেল। হৃদয়ের জোছনা যখন – কবিতার খাতা খুলি উষ্ণ আবেশে ভরে যায় মন বিষাদের পথ ভুলি। তারপর- তৃতীয়া তিথীর আবছায়াতে থমকে যায় উচ্ছল পৃথিবী, তখন- হৃদয়ের জোছনার মলিন আলোয় নিঃশব্দে পথ চলি। বিষ জোছনা মাখা গভীর রাতে শূন্য চোখে আপন…
-
নিঃসঙ্গতা
নিঃসঙ্গতা জাহাঙ্গীর পানু তোমাকে তুমি বলার অধিকারটি দাওনি কখনও আচমকা কোন এক মধ্য রাতে তোমার দরজায় কড়া নেড়ে ডেকেছিলুম তুমি বলে নিবিড় একনিষ্ঠ চিত্তে তাকিয়েছিলে অনেকক্ষণ রাগ না অভিমান বুঝতে পারিনি সেদিন তারপর থেকে একটু আধটু করে তুমি বলা শুরু আসলে উদ্ধত যৌবনের দিনগুলোতে সমবয়সী কোন রমণীকে তুমি বলার মধ্যে মনের ভিতরে অসম্ভব ভাললাগা কাজ করে সেটা বর্ণাতীত ব্যাপার। তারপর কেটে গেছে অনেকদিন স্বপ্নের মায়াজাল বোনা বেদনাতীত দিনগুলো কল্পনায় ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বহুদূর পৌরাণিক চরিত্রের কাল্পনিক নায়কের মতো সুবিশাল প্রশস্ত দুবাহু ছড়িয়ে ডেকেছি উন্মুক্ত বক্ষে জড়িয়ে নিয়েছি মৌমিতার সুগন্ধি তোমার শরীরের সোঁদা গন্ধে হারিয়ে গিয়েছি ক্ষণকালের জন্য। এমন সুগন্ধ পৃথিবীতে…
-
প্রার্থনা
প্রার্থনা জাহাঙ্গীর পানু হে মহীয়ান হে গরিয়ান, দিয়েছ তুমি মোদের সর্বশ্রেষ্ঠের সম্মান। সৃজিলে তুমি মোদের শূন্য এ ভবে রক্ত মাংস পিণ্ড দ্বারা শুরু মাতৃগর্ভে। পাপ পঙ্কিলতায় ভরা মোদের ভুবন তোমার অনুগ্রহ ছাড়া বৃথা এ জীবন। হে অতিশয় ক্ষমাশীল, হে পরম দয়ালু বিতাড়িত ফেরেশতা হতে দূরে রাখিও। বিশাল এ বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের মিছে মায়া হতে, অর্থলোলুপ দৃষ্টি ভঙ্গি মুছে দাও এ মন থেকে। তুমি দাতা তুমিই ত্রাতা সর্বেসর্বা ক্ষমতা তোমার, ভুলেও যেন না করি কোনো কিছুতেই কাউকে তোমার অংশীদার। হিংসা বিদ্বেষ অহংকার হৃদয়ে যেনো কখনো হয় না ঠাঁই, তোমার দয়া আশীর্বাদ ক্ষমা মোরা সর্বদা যেন পাই। পৃথিবী একটি পরীক্ষাগার পাঠক্রম তোমার…
-
নিঃসঙ্গ ভাবনা, স্বপ্নভঙ্গ, মায়া, তৃপ্ত মন
নিঃসঙ্গ ভাবনা জাহাঙ্গীর পানু ভাবনাগুলো আজকে সবে অঙ্কুরিত হয়েছে হৃদয়ের মনিকোঠায় আসন পেতে বসবে নাকি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকবে আমন্ত্রণের জন্য। নিজেকে বড্ড বেশি একাকিত্ব মনে হয়। স্বপ্নভঙ্গ অবারিত মন আমার উন্মুখ হয়ে চায়। ভোরে ফোটা স্বপ্নগুলো সাঁঝেই ঝরে যায়।। মায়া নিঃস্তদ্ধ আমি চেয়ে থাকি শূন্য গগন পানে একদিন যাবো চলে এ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে। রেখে যাবো সব স্মৃতিমধুর দিনগুলো প্রিয়জনদের ঘ্রাণে। তৃপ্ত মন জোছনা ভরা গভীর রাতে স্বচ্ছ কালো দীঘির জলে জলকেলি আর পুণ্য স্নানে আমরা দুজন দাঁড়িয়ে শানে।। অবগাহনের চুম্বক টানে শরৎরাণীর হৃদয় প্রাণে। পূর্ণ হলো মন বাসনা ধন্য হৃদয় তৃপ্ত কায়া।। আরও পড়ুন কবিতা-…
-
উদাসী মন
উদাসী মন জাহাঙ্গীর পানু কোন আকাশের শশীগো তুমি কোন গগনের তারা তোমায় দেখে উদাসী মন হয়েছে পাগলপারা। জীবনতরী ভাসিয়ে দিলাম বৈঠা তোমার হাতে মন বিলাসের রাঙা নদী উদাস হাওয়া সাথে।। নীল আকাশের মেঘের ভেলায় বন্ধু তুমি এসো নদী তীরের কাশবনেরই পাশে তুমি বসো। হাতে মোর হাতটি রেখে মনের কথা বলো ওগো আমার জীবন সাথী মোর নয়নের আলো। বৃষ্টি স্নাত গোধূলিতে পুবাল হাওয়া বহে সন্ধ্যে তারার রুপের মোহে মোর চাহনি চাহে। উছলে পড়ে নদীর পানি আপন তনু মনে শুন্য হিয়ায় ঢেউ খেলে যায় পূর্ণ হবার পণে।। শরৎকালের পুবাল হাওয়া জোস্না বিলাস রাতে গোলাপ আর হাসনাহেনার সুরভি ছিল সাথে। তোমায় ভালোবেসেছিলুম…
-
জীবনের রঙ
জীবনের রঙ জাহাঙ্গীর পানু জীবনের কত রঙ কত চাওয়া হারিয়ে গেছে হায় না পাওয়ার বেদনায় অজস্র কান্নার আপ্লূত ধ্বনি নিঃশব্দেই ফুরিয়েছে বিরহ চেতনায়। রুপালী দিনের অফুরান গল্প স্বযত্নে লালিত সোনালী স্বপ্ন কত ছন্দের সৃষ্টি হৃদয় গহীনে ভেবেছে ভাবুক মন একান্তে নিরালায়। আচমকা বৈশাখী ঝড়ের আঘাতে হঠাৎ নিকষ কালো মেঘের গর্জনে হেনেছে আঘাত হৃদয় মন্দিরে। মানসীর মায়া ভেসে গেছে হায়, শ্রাবণের বারিধারায়। সৃষ্টির সৌন্দর্য্যে অবগাহন করিয়া দাবানলে পুড়ছে মন জনম ধরিয়া আবছা দৃষ্টিতে দেখা যায় না কিছু। নিমিষেই শুকিয়েছে বেদনার অশ্রু। ভালোবাসার রংমহলে পড়েনা দৃষ্টি মায়াবি চোখের কোণে পড়েছে ধুলি। ফোটেনা মুখের হাসি জোটেনা মিষ্টি স্বরে পিয়াসী মনের সুরেলা কথার…
-
প্রণোদনা
প্রণোদনা জাহাঙ্গীর পানু সকাল বেলা চেয়ারম্যান সাহেব বলল সবার শানে। প্রণোদনা দেবো আমি বিলিয়ে সবার মাঝে। কেউবা পাবে নগদ টাকা কেউবা পাবে চাল। কেউবা আবার কাপড় চোপর কেউবা পাবে ডাল। মনির বাপ শুনিয়া কহে প্রণোদনা কী? সব বুঝিয়া বলল শেষে রিলিফের মতোনই। চামচারা কয় কাগজপত্র লাগবে সবারই। ভোটার আইডি বয়স্ক কার্ড যার যা আছে নি। কাগজপত্র দিল সবাই চেয়ারম্যানের হাতে। খরচাখরচ হলো কিছু ফটোকপিতে। চামচারা কয় উপজেলায় খরচাপাতি আছে। একশত করে টাকা সবাই দাও আমার কাছে। সপ্তাহ গিয়ে মাস এলো দুই মাস গত হলো। প্রণোদনা পায় না কেহ ক্ষুধায় কষ্ট পেলো। চামচারা কয় অফিসে কাজ যে আছে খুব। দেরি…
-
উলাট সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদ্রাসা
উলাট সিদ্দিকীয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্যতম সুপ্রাচীন ইসলামী বিদ্যাপীঠ। ১৯১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মাদ্রাসা পাবনা জেলার শুরুর দিকের প্রতিষ্ঠিত একটি বিদ্যানিকেতন। এক নজরে উলাট সিদ্দিকিয়া ফাযিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা: • ধরন : আধা-সরকারি • স্থাপিত : ১৯১৫ • অধ্যক্ষ : মোঃ মতিউর রহমান (ভারপ্রাপ্ত) • শিক্ষার্থী : ৫০০+ • ঠিকানা : গ্রাম-উলাট, উপজেলা-সুজানগর, জেলা-পাবনা • ভাষা : বাংলা, আরবি ও ইংরেজি • ক্রীড়া : ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল অবস্থান: পাবনার সুজানগর…