-
রম্য কবিতা
রম্য কবিতা হুমায়ুন কবির মঞ্চে সবাই বসছে জেঁকে যে যার কেদারায় একে একে ভাষার তরে বক্তৃতা সব দেয়। কেউবা বলে ভাষার জন্য শহীদ যারা হলো সেই শহীদের মান রাখিতে বাংলা সবাই বলো। স্কুল, কলেজ মাদ্রাসাতে বাংলা ভাষা চাই অফিস আদালতে বাংলার বিকল্প নাই। দর্শক শ্রোতার ভিতর থেকে একজন উঠে বলে বক্তৃতা দেন মিশ্র ভাষায় কেমন করে চলে। ইংরেজীতে লেখা কাগজ টেবিলের পাশে। ভাষণদাতার কথা শুনে মুচকি মুচকি হাসে। সভাপতি মন্ত্রী সাহেব ভাষণ দেবেন এবার মঞ্চের দিকে চোখ কান মুখ খোলা যে সবার। সভাপতি মঞ্চে উঠে সালাম দিয়ে বলেন লেডিস জ্যান্টেলম্যানেরা কি সবাই ভাল আছেন? দর্শক শ্রোতা…
-
আমার ভাষা
আমার ভাষা হুমায়ুন কবির আমার শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যখন থেমে নেই ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছি প্রকৃতির নিয়মে কখন যেন মুখের প্রথম বুলিটা বেরিয়েছিল আধো বলে আধো কান্না জড়ানো কণ্ঠে-মা আমি তখন হয়তো শয়নে। আরও সবল হতে হতে আমি যখন পূর্ণ এক কথারু হঠাৎ মুখের ভাষা স্তব্ধ করতে এলো হিংস্র থাবারু মোড়লীপনার ভাব গম্ভীর নিয়ে করলো এক আদেশ তাদের ভাষা উর্দুতে কথা বলতে হবে। রক্তের কণাগুলো টগবগ করে উঠলো চোখের চাহনীতে বিষাক্ত আগুন জ্বললো হুংকার দিয়ে উঠলো ভিতরের জাগ্রত বিবেকটা মায়ের ভাষা বাংলাতে কথা বলতে পারবোনা এটা অসম্ভব। যারা ছিল তারা দেখলো শুনলো ভিতরে জাগলো প্রতিবাদ সেই প্রতিবাদের ঝড়ে লাগলো…