-
ভয় নাই
ভয় নাই মো. রমজান আলী খান ভয় নাই ওরে ভয় নাই একুশে জাগ্রত বীর, ক্ষয় নাই ওরে ক্ষয় নাই বইমেলার রেখ মনস্থির। একতাবদ্ধ হও সকলে সাজো দামালের সাজ, যতই আসুক সংগঠনের বাঁধা চালিয়ে যাও কাজ। একুশে বইমেলা সম্পর্কে যদি কেউ দ্বিমত পোষণ করে, বোঝাতে হবে সকলে মিলে গিয়ে তাদের ঘরে ঘরে। বোঝাতে হবে সকলকে কেন হয় একুশে বইমেলা, যেদিন বুঝবে করবে না কখনও বইমেলার অবহেলা। বোঝাতে হবে একুশ মানে নাজিমুদ্দিনের হুংকার, উর্দু-ভাষা বলবৎ রাখবে এই তার অহংকার। বোঝাতে হবে একুশ মানে দুশমনের কালো হাতছানি, ভাষা শহিদদের বাবা মায়ের বুক ভেজা চোখের পানি। একুশ মানে রফিক, শফিক, সালাম বরকতের আত্মা, বাংলা…
-
আমি গর্বিত, মায়ের দুলাল
আমি গর্বিত মো. রমজান আলী খাঁন আমি গর্বিত, আমি বাংলা মায়ের ছেলে, সোনা ঝরানো এমন দেশ কোথাও নাহি মেলে। আমি গর্বিত, আমার জন্ম স্বাধীন বাংলাদেশে, মাকে মা বলে ডাকতে পারি চলি স্বাধীন বেশে। আমি গর্বিত, আমি বাংলা মায়ের সন্তান, বসন্তে কোকিলের কুহু-কুহু গানে জুড়ায় আমার প্রাণ। আমি গর্বিত,সোনার বাংলায় পেয়েছি স্বাধীনতা, প্রাণ খুলে বলতে পারি বাংলা ভাষায় কথা। আমি গর্বিত,আমার স্বাধীন বেশে বাড়ি, সারা বাংলার সকল প্রান্তে বুক ফুলে চলতে পারি। আমি গর্বিত, দামালের তাজা খুনে এ দেশ কেনা, সোনার বাংলা স্বাধীন বাংলা সারা বিশ্বের চেনা। সুজলা সুফল শস্য-শ্যামলা মায়ায় ভরা দেশ, রূপ লবণ্যে ভরপুর রূপের নেইকো শেষ। সুন্দর…
-
ঘুমিয়ে আছ, মফিজ
ঘুমিয়ে আছ মো. রমজান আলী খাঁন এইখানেতে ঘুমিয়ে আছো আমাকে একা ফেলে, তোমার খোকা কেঁদে শুধু তোমারই কথা বলে। কেঁদে বলে, বলোনা বাবা কোথায় মা জননী, দেখে আসি আমার মাকে বলোনা একটু শুনি। কতোদিন হলো মা জননী বলেনা আমার কথা, আমি যে খুঁজি আমার মাকে গিয়ে যথাতথা, খোকার কথার জবাব না দিয়ে চুপ করে বসে থাকি, তুমিই বলোনা খোকার এভাবে কতদিন দেব ফাঁকি? গামছা দিয়ে চোখ মুছায়ে আদর করে দেই চুমা, আদর করে খানা খাওয়ায়ে বলি বাছারে। তোমার কথা স্মরণ হলে অশ্রুতে ভাসে বুক, তুমি এমনই স্বার্থপর যেন খুঁজে নিয়েছে সুখ। যখন তোমাকে এনেছিনু ঘরে ছিলে তুমি এতটুকু, আদর করে…
-
আহ্বান
আহ্বান মো. রমজান আলী খাঁন যাবে বন্ধু যাবে মোর সাথে আমার মামার বাড়ি? এমন যায়গায় যাব যেথায় চলে না কোনো গাড়ি। তুমি গেলে সাজাব নৌকা ছই ঘিরব শাড়ি দিয়ে, ছইয়ের ভিতরে মামার বাড়িতে যাব মাকে নিয়ে। মামার বাড়ি শারীরভিটা দক্ষিণে গাজনার বিল, গেলে সেথায় দেখবে উড়ছে শত শত বক-চিল। গাজনার বিলে দেখতে পাবে হাজার রঙের পাখি, সারা বিলে মাছ ধরে খায় ডানাতে ভর রাখি। আমার মামা শারীরভিটার কাজি বংশের ছেলে, কি সমাদর করে মামা দেখবে সেথায় গেলে। মামার বাড়িতে গিয়ে খাব গাজনার বিলের কই, নানির হাতের পায়েস খাব মোয়া-মুড়ি-দই। তুমি গেলে দেখবে সেথায় শেওলার ফাঁকে ফাঁকে, রুই কাতলা চিতল…