স্বাধীনতার সাধ, আমার যতো ভালবাসার ঋণ
ফুলের সাথে পাখীর সাথে
করবো আমি প্রীতি
নদীর মাঝির ভাটিয়ালি সুরে
শুনবো আমি গীতি।
চাঁদনী রাতে জোস্না মেখে
তারার পানে চেয়ে
রহস্য ঘেরা সপ্ত আকাশ
দেখবো অবাক হয়ে।
সবুজে ঘেরা বনভূমিতে
নানান পশুর মেলা
বন বাদারে তাদের সাথে
করবো আমি খেলা।
নদীর বুকে ভাসবো আমি
বানিয়ে কাঠের ভেলা।
পাতাল পুরি দেখবো সেথা
করবো না আর হেলা।
মেঘ হয়ে ভাসবো আমি
নীল আকাশের পানে
পাখির চোখে দেখবো আমি
বিশ্ব জগৎ টাকে।
পাখির বেশে আকাশ পানে
উড়বো সবার আগে
ইচ্ছে মতো স্বাধীনতার
সাধ যে মনে জাগে।
আমার যতো ভালবাসার ঋণ
বার বার ফিরে যায় মন ধুলামাখা মেঠো প্রান্তরে
মমতা ভরা ভালবাসার রঙ যতনে রেখে অন্তরে।
ছায়া সুনিবিড় শান্ত জলের দীঘির কালো জলে
আদর মাখা পরশ পেয়েছি পদ্ম ফুলের কোলে।
শিশির ভেজা কনকনে ঠান্ডায় উঠে শীতের ভোরে
জড়োসড়ো বসে খেজুরের রস খেয়েছি মজা করে।
উনুনের পাশে বসে মায়ের হাতের পাটালি গুড়ের ভাপা
খেজুরের গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে গরম গরম মুড়ি ভাজা।
সবুজ ঘাসের জমির আইলের শিশির ভেজা পথে
হাটতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছি পাদুকার ফিতা ছিঁড়ে।
সরিষা ফুলের পাঁপড়ির টানে মাঠে দিয়েছি হানা
কালাইয়ের ফল সিদ্ধ করে খেয়েছি মজার খানা।
আম বাগানের ছায়ায় বসে চৈত্রের দুপুর এলে
কাঁচা আমের টকের স্বাদে জিহ্বা ভিজে জলে।
দিগন্তে জোড়া বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠ বাতাসে লাগে দোলা
সেসব স্মৃতি হৃদয় জুড়ে থাকে যায় কি কখনো ভোলা?
কর্দমাক্ত পিছল মাঠে কাঁদা মেখে বল নিয়ে ছোটাছুটি
কিশোর বয়সের আনন্দময় সেসব এখন শুধুই স্মৃতি।
ভরা বর্ষায় গ্রামগুলো ভাসে চারিদিকে থৈথৈ জলে
কলার গাছের ভেলা বানিয়ে ভেসেছি আহ্লাদে।
ভাদ্র মাসে গ্রাম্য প্রকৃতি যেনো ভরা যৌবন পায়
ভাবুক মন উদ্বেলিত হয়ে গুনগুনিয়ে গান গায়।
বন্যার জলে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিমিষেই ডুব দিয়ে
শালুক তুলে খেয়েছি কত চুলার আগুনে পুড়িয়ে।
ক্ষেত ভরা মাঠ নৌকার ঘাট স্মৃতির মিনারে ভাসে
নয়ন জুড়ানো সেসব দৃশ্য দেখে আনন্দে মন হাসে।
সবুজে ভরা মাঠে সোনালী ফসল হৃদয় জুড়ে আছে
আমার যতো ভালবাসার ঋণ, রয়েছে তাদের কাছে।
আরও পড়ুন কবিতা-