স্বর্ণলতা
স্বর্ণলতা
আজ বিয়ে করলাম। বিকাল তিনটায়। আমার আর লতার ইচ্ছে ছিল কটকটে রোদের দিনে বিয়ে করব। আজ কটকটে রোদ ছিল।
প্রকৃতি ইদানীং সুযোগ পেলেই বিরূপ আচরণ করছে। যেমন ডিসেম্বর মাসে কড়া রোদ। মার্চ মাসে কম্বলটানা শীত। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে সাদা মেঘ আর নীল আকাশে রোদের লুকোচুরি, যেন শরৎকাল। আজ শ্রাবণের আকাশ ছিল শরতের মতো নীল, সাদা আর ঝকঝকে।
হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকলে ‘ঢাকার নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ’ শিরোনামে কলাম লিখতেন প্রথম আলোয়। জীবনানন্দ লিখতেন ‘অভাগিনীর চোখের মতো সাদা মেঘ আমি দেখিয়াছিলাম, বনলতার ধূসর আকাশে।’
আমি কলাম বা কবিতায় যাইনি। গিয়েছি মগবাজার কাজী অফিস। কাজী অফিসে যাওয়ার সময় লতা আমার বাম হাতটা শক্ত করে ধরে ছিল। ভয়ে ওর হাত ঘামছিল। আমি অভয় দিয়ে বললাম, ‘ভয় নেই লতা। আমি বৃক্ষ হবো। তুমি স্বর্ণলতা। আমরা ওষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে কাটিয়ে দেব এক জনম।’
লতা অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে হাসার চেষ্টা করে বলেছিল,
_কই, ভয় পাচ্ছি না তো।
লতা আসলেই ভয় পাচ্ছিল। কবুল বলার সময় ভয়ের চোটে বকুল বলে ফেলছিল। লতার কাণ্ড দেখে কাজী সাহেবও ফিক করে হেঁসে দিয়ে বলেছিল,
_মা-শা-আল্লাহ্, আরেকবার পরিষ্কার কইরা কও তো আম্মা।
আরও পড়ুন গল্প সোনালী
দেশের বেশিরভাগ জুটির মতো আমাদেরও পরিচয় ফেসবুকে। একদিন কাজের ফাঁকে ফেসবুকে এসে দেখি দুইশর মতো নোটিফিকেশন! অবাক হয়ে চেক করলাম। ‘স্বর্ণালী লতা’ নামের আইডি থেকে আমার ওয়ালে ঝড় তুলে দিয়েছে। সব ছবি আর পোস্টে লাইক তো দিয়েছেই। বেছে বেছে আমার কমেন্ট ও রিপ্লাইতেও লাইক দিয়েছে। আমিই নক করলাম। ম্যাসেজে লিখলাম,
_আপনার তো কাজ নেই। আমাকেউ কাজ করতে দেবেন না।
এতে লতা আকাশ থেকে মাটিতে পড়ার ইমো দিল।
_আমাকে দুইশ নোটিফিকেশন উপহার দিলেন। বিনিময়ে আমি কী দিতে পারি?
এবার সে ভেংচি কাটার ইমো দিল। মহা মসিবত!
_দেখুন, আমি বাংলা ভাষা উত্তমরূপে লিখিতে, পড়িতে, শুনিতে ও বলিতে পারি। ইংরেজি ও হিন্দি চলার মতো। চোখের ভাষাও টুকটাক পড়তে পারি। তাই বলে এই ইমোর ভাষাতো আমি বুঝি না।
এবার তার মুখে কথা ফুটল।
_এত বিদ্বান। এতকিছু বোঝেন, লেখেন। আর ইমোর ভাষা বোঝেন না?
_ঠিক আছে। নীলক্ষেতে যেয়ে “অ্যাডভানস ইমো ডিকশনারি” বা “প্রমিত ইমো ব্যকরণ” নামে কোনো বই পাই কি না দেখি। হাতে কাজ থাকায় কথা এগুলো না সেদিন।
দুইদিন পর মেয়েটাই নক দিল।
_বই পেয়েছিলেন?’
_কোন বই?’
জিহ্বা বের করে হাঁসির ইমো দিয়ে বলল,
_প্রমিত ইমো ব্যকরণ।
কাজের চাপে ভুলেই গেছিলাম। স্বর্ণালীলতাকে। উপরের কয়েকটা ম্যাসেজ পড়ে নিশ্চিত হলাম।
_হ্যাঁ, গিয়েছিলাম। কিন্তু বই পাইনি। আপনি একটা লিখুন। খুব তো ইমোর ভাষা বোঝেন। লিখে ফেলেন।
মেয়েটা কেঁদে ভাসানোর ইমো দিয়ে বলল,
_আমার লিখতে আলসেমি লাগে।
আরও পড়ুন গল্প কথোপকথন
এভাবেই টুকটাক কথাবার্তা চলছিল। কথাবার্তার চেয়ে ইমোবার্তা বলাই সঠিক। কারণ আমি যাই বলতাম বিনিময়ে তিনচারটা ইমো দিত। লাল, নীল, হলুদ কতসব রঙের ইমো, স্টিকার।
আমার মনে থাকত না। মেয়েটাই বেশি সময় নক দিত। সে কেন আমাকে নক দেয় জানতে চাওয়ায় বলেছিল,
_আপনার সাথে কথা বলতে ভালো লাগে।
_আমরা তো কথা বলি না। ইমো বলি। আর চ্যাট করি।
হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাওয়ার ইমো দিয়ে বলেছিল,
_আপনি ঢং করে কথা বলেন। এইজন্যই কথা বলতে ভালো লাগে।
একদিন সন্ধ্যার একটু পর সে নক দিল। আমি জানতে চাইলাম,
_কী করছেন?
_কিছু না। শুয়ে আছি।
_অসময়ে শুয়ে কেন? শরীর খারাপ?
_অসময় কই? আমি তো এসময় শুয়েই থাকি। কারণ পড়তে ভালো লাগে না। হাতে কোনো কাজও নেই।
_কাজ নেই। মাকে রান্নায় সাহায্য করলেই তো পারেন।
_আমার রান্না ভালো লাগে না। চুলার কাছে কী যে গরম। অসহ্য!
_তারমানে আপনি রান্না পারেন না?
_না, পারি না।
_রান্না না পারলে তো আপনার জামাই পরকীয়া করবে।
_এহ, করবে না। বিয়ের কয়েকদিন আগে মায়ের থেকে রান্না শিখে নেব।
_রান্না হিন্দি বা ইংরেজি ভাষা না, যে ৩০ দিনের শর্টকোর্স করে শিখে নেবেন। রান্না একটা শিল্প। এর পিছে লেগে থাকতে হয়। ধীরে ধীরে শিল্পকে ধারণ করতে হয়। লালন করতে হয়। চর্চা করতে হয়। তারপরেই না কাঙ্ক্ষিত ফল। তিন মাসের ডিপ্লোমা করে রান্নায় হাত দিলে তার জামাই পরকীয়া করতে বাধ্য।
আরও পড়ুন গল্প অশরীরী আত্মা
মেয়েটা এবার অবাক হয়ে আকাশ থেকে পাতালে পড়ার ইমো দিয়ে বলল,
_কেন? রান্না না পারলে পরকীয়া করবে কেন?
_সে বিশাল ঘটনা। বলা যাবে না।
কেঁদে ভাসানোর কয়েকটা ইমো দিয়ে বলল,
_আমাকে বিশাল ঘটনাটাই বলেন। প্লিজজজ।
আমি রহস্যময় হাসির ইমো দিয়ে বললাম,
_ধরুন, আপনি ত্রিশ দিনে রান্না শিখেছেন। এতে শুধু চাল আর তরকারি সেদ্ধ করা শিখবেন। শর্টকোর্স করে রান্না শিখলে যা হয় আপনারও তাই হবে। মুরগী রান্না করলে দেখা যাবে, মশলা একদিকে। আলু আরেকদিকে। মুরগী অন্যদিকে। কারো সাথে কারও সম্পর্ক নাই। যে খাবে সে কাজ বাদ দিয়ে ওয়াশরুমে দৌড়াবে। পোলাও রান্না করলে দেখা যাবে নিচেরগুলো পুড়ে গেছে, উপরেরগুলো সেদ্ধ হয় নাই। পোলাও না, মনে হবে চালভাজা খাচ্ছে। এভাবে রান্না করে জামাইয়ের জন্য লাঞ্চ পাঠাবেন অফিসে। জামাই অর্ধেক খাবে আর অর্ধেক ফেলে দিবে। পেট খারাপ থাকায় মন খারাপ থাকবে। বাসায় এসে আপনার সাথে ক্যাচ ক্যাচ খ্যাচ খ্যাচ করবে। অফিসে মন খারাপ করে বসে থাকবে। তার এইসব অখাদ্য কেউ যেন দেখে না ফেলে এজন্য ক্যান্টিনের এক কোনায় গিয়ে একা একা খেতে বসবে।
প্রতিদিন অর্ধেক খাবে অর্ধেক ফেলে দিবে। একদিন খাবার ফেলে দেওয়া দেখবে তার সুন্দরী কলিগ। সে বলবে, ‘কেন খাবার ফেলে দিচ্ছেন?’ তারপর ফেলে দেওয়া খাবারের দিকে তাকিয়ে দেখবে মশলা ও তরকারির কারো সাথে কারো সম্পর্ক নাই। পরেরদিন সুন্দরী কলিগ নিজের তরকারি থেকে ঘি দিয়ে গোল গোল বেগুন ভাজার এক পিস তুলে দিবে আপনার জামাইয়ের প্লেটে। ইলিশ মাছের ডিম ভুনা দিবে। সরপুঁটি মাছের ঝোল তুলে দিবে। আরও দিবে শুকনা মরিচ দিয়ে চিংড়ি ভর্তা। আপনার জামাই অমৃতের মতো সুস্বাদু এসব খাবার পেয়ে বেশি ভাত খেয়ে ফেলবে। এত খাবে যে আর নড়তে পারবে না। সুন্দরী কলিগের মায়া হবে। ‘আহারে। যে মানুষটা খেতে এত পছন্দ করে, সে কী না প্রায়ই না খেয়ে থাকে!’
আরও পড়ুন গল্প হাতের চুড়ি
পরদিন সে আপনার জামাইয়ের জন্য বেশি করে তরকারি নিয়ে আসবে। বেশি করে রসুন দিয়ে কালোজিরা ভর্তা, টাকিমাছ ভর্তা আর গরুর কালাভূনা। সাথে পাতলা মসুরের ডাল। আপনার জামাই চেটেপুটে খাবে। চুমুক দিয়ে খাবে। চুশে পুশে খাবে। এভাবে প্রতিদিন কলিগ খাবার নিয়ে আসবে। একসাথে লাঞ্চ করতে করতে তাদের সম্পর্ক ইজি হয়ে যাবে। স্যালারি পেয়ে আপনার জামাই কলিগকে বলবে, ‘আপনি রোজ আমাকে খাওয়ান। আমি আপনাকে একদিন খাওয়াতে চাই। অফিস শেষে আমরা ভালো কোনো রেস্টুরেন্টে বসব।’
অফিস শেষ হবে ছয়টায়। কিন্তু তারা তো ডিনার করবে সাড়ে আটটায়। ছয়টা থেকে সাড়ে আটটা, এই আড়াই ঘণ্টা রেস্টুরেন্টে বসে গল্প করবে। রেস্টুরেন্টের লাল-নীল আলো। মিষ্টি মিউজিক। সবার মতো এরাও নিচু স্বরে কথা বলবে। নিচু স্বরের কথা শুনতে হলে কাছে আসতে হয়। তারা একজন আরেকজনের কাছে এসে বসবে। সুন্দরী কলিগের কানের লতিতে মাখা পারফিউমের ঘ্রাণ আপনার জামাইয়ের মাথা নষ্ট করে দিবে। আপনার জামাইয়ের শরীরের পুরুষালী ঘামের ঘ্রাণ কলিগের মাথা নষ্ট করে দিবে। এভাবেই তাদের মধ্যে রসায়ন সৃষ্টি হবে। একসময় দেখা যাবে তারা একে অপরের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। বুঝলেন তো কিভাবে রান্না না পারায় আপনার জামাই পরকীয়া করবে? মেয়েটা এবার চিৎ হয়ে পড়ে কান্নার কয়েকটা ইমো দিল।
কাজের চাপে আমি বেশিরভাগ মানুষের কথা ভুলে যাই। স্বর্ণলতার কথাও ভুলে গেছিলাম।
কয়েকদিন পর হঠাৎ দেখি কয়েকটা ছবি দিয়েছে ইনবক্সে। খাবারের ছবি। এরপর লিখেছে,
_কেমন হয়েছে? সব আমি রেঁধেছি। আমার জামাই আর পরকীয়া করবে না।
_রান্না করাই শেষ কথা না। স্বাদটাই আসল।
_আম্মু খুব প্রশংসা করেছে। ভাইয়াও প্রশংসা করেছে। তারা বলেছে চমৎকার স্বাদ হয়েছে।
_তারা তো সবাই কাছের মানুষ। আপনি এত আগ্রহ নিয়ে রাঁধছেন। তারা বলবে, ভালো হয় নাই?’
সে চিন্তায় পড়ে যাবার ইমো দিল।
_তাই তো? আচ্ছা কী করে বোঝা যাবে স্বাদ হইছে?
_নির্দলীয় নিরপেক্ষ মানুষ দিয়ে টেস্ট করাতে হবে।
আরও পড়ুন গল্প সময়ের পাঁচফোড়ন
স্বর্ণালী লতা এবার রহস্য ধরতে পারার ইমো দিয়ে বলল,
_তারমানে আপনাকে দিয়ে টেস্ট করাতে বলছেন। হুমমম, সত্যি বলতে কী, আমিও আপনাকে দিয়ে টেস্ট করাতে চাইছিলাম।
আমি মিষ্টি হাসির ইমো দিয়ে বললাম,
_ঠিক আছে।
ধানমণ্ডির একটা রেস্টুরেন্টে আমি আর স্বর্ণালী লতা মুখোমুখি বসে আছি। সে আমার জন্য এক গাদা খাবার নিয়ে এসেছে। লজ্জা লজ্জা দৃষ্টিতে লতা তার পায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। যেন কারও জন্য রান্নাকরা খাবার নিয়ে আসার চেয়ে লজ্জাজনক কাজ পৃথিবীতে নেই। তাকে ইজি করার জন্য গল্প করলাম। খাবার নিয়ে দুয়েকটা কৌতুক বললাম। সে হাসল না। এরপর বললাম কলকাতার দাদাদের নিয়ে প্রচলিত একটা কৌতুক।
“এক দাদার প্রচণ্ড কোমর ব্যথা। দাদা বউদিকে বলল, ‘কইগো পাসের বাছা থেকে একটু ভিক্স এনে আমার কমরে লাগিয়ে দাও। ব্যথাটা খুব বেরেচে। আর পারচিনে।’ ঘণ্টা খানেক পর বউদি ফিরে এসে বলল, ‘ওরা খুব কিপটে গো। এক ঘণ্টা ধরে চেলুম। একফোঁটাও ভিক্স দিল না। এ যুগে এমন মানুষ হয় বলো?’ দাদা বললেন, ‘না দিলে কী আর করবে। যাও আলমারি থেকে আমাদেরটা বের করেই আজগের মতো লাগিয়ে দাও। আর যে পারচিনে।”
এবার আর ইমো না, খিলখিলিয়ে হেসে উঠল স্বর্ণলতা। সেই হাসিতে দুলে উঠল আকাশ-বাতাস, দুলে উঠল ধানমণ্ডির সেই রেস্টুরেন্ট। দুলে উঠল রান্না করা খাবার। দুলে উঠল আমার ধমনী। সেদিন তার রান্না খেয়ে টমি মিয়ার মতো রান্নাবিশারদ ভাব নিয়ে পরামর্শ দিলাম। মরিচটা আরও কুচি করবেন। রসুন আর পেঁয়াজটা আরেকটু ভাজবেন। ভাজতে ভাজতে যখন পীতবর্ণ ধারণ করবে তখন তাতে ডাল ছেড়ে দেবেন। কালোজিরা ভর্তায় পেঁয়াজ রসুনের পরিমান বাড়াবেন। তাহলে দেখতে এত বিদ্ঘুটে হবে না। পেঁয়াজ কড়াইয়ে দেওয়ার কয়েকমিনিট পরে রসুন দেবেন। কারণ রসুন ভাজতে কম সময় লাগে। কালোজিরা বেশিক্ষণ ভাজলে তিতা হয়ে যায়। দুই একটা ফুটতে শুরু করলেই নামিয়ে নেবেন। মাংসটা নামানোর আগে ১৫ মিনিট হালকা আঁচে ঢেকে রাখবেন। ইত্যাদি ইত্যাদি।
আরও পড়ুন গল্প রাজামারা
সে আমার নির্দেশনামতো রেঁধে আবার নিয়ে এলো। সেদিন আর লজ্জাভাব নেই। সহজ সরলভাবে টেবিলে উপর খাবার সাজাতে সাজাতে গল্প করছে। ‘আজ মজার কী ঘটেছে শোনেন। বিরিয়ানি তুলে দিয়ে আমি ঢুকেছি ফেসবুকে। ফেসবুকে বসলে কোনদিক দিয়ে সময় চলে যায় তা তো খেয়ালই থাকে না। ওদিকে বিরিয়ানি পুড়ে শিক কাবাব হয়ে গেছে। আমি চোখ বড় করি।
_সেই বিরিয়ানিই নিয়ে এসেছেন নাকি?’
সে রহস্য নিয়ে হাসে।
_আরে নাহ্, আবার রেঁধেছি।
এভাবে রান্না-খাওয়া ভালোই চলছিল। একদিন টিফিন ক্যারিয়ার গুছাতে গুছাতে স্বর্ণলতা প্রশ্ন করল,
_আপনি কি আর কোনো মেয়ের থেকে এভাবে খান?
আমি আকাশ থেকে পড়লাম।
_আরে বলেন কি? আর কোনো মেয়ের থেকে খাবো মানে? ওহ বুঝেছি, আমাকে ধান্দাবাজ মনে হচ্ছে? ওকে আর খাবার আনতে হবে না।
লতা যেন আহত হলো।
_স্যরি। ওভাবে বোঝাতে চাইনি। আসলে আপনাকে খাওয়াতে আমার অসম্ভব ভালো লাগে। এই অনুভূতিটা অন্যরকম। মানুষ যেই অনুভূতির ভাগ দিতে চায় না। আজীবন আমার হাতে খাবেন?
আমি ওর চোখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। পিনপতন নীরবতা ভেদ করে বললাম,
_আমার কি এখন “লাভ ইউ টু” বলতে হবে?
লতা যেন নেতিয়ে গেল। আমি বাম হাত দিয়ে ওর মুখ ধরে বললাম,
_সারাজীবন আপনার হাতের রান্না খেতে চাই।
তারপর আমি আর লতা, লতা আর আমি। কেমন যেন লতায়-পাতায় জড়িয়ে গেলাম।
ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
স্বর্ণলতা
Facebook Comments Box
প্রকৌশলী আলতাব হোসেন
প্রকৌশলী আলতাব হোসেন, সাহিত্য-সংস্কৃতি বিকাশ এবং সমাজ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিবেদিত অলাভজনক ও অরাজনৈতিক সংগঠন ‘আমাদের সুজানগর’-এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ‘আমাদের সুজানগর’ ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক। এছাড়া ‘অন্তরের কথা’ লাইভ অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক তিনি। সুজানগর উপজেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, শিক্ষা, মুক্তিযুদ্ধ, কৃতি ব্যক্তিবর্গ ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে ভালোবাসেন। বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করে বর্তমানে একটি স্বনামধন্য ওয়াশিং প্লান্টের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেকশনে কর্মরত আছেন। তিনি ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই জুন পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত হাটখালি ইউনিয়নের সাগতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।