সোনামনি, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে
সোনামনি
কোন সে দূরে চলে গেছিস আমায় একা ফেলে?
বেশ তো আছিস, ভালোই আছিস, আমায় না দেখে।
ছিন্ন আমার বুকের পাজর, ঘুণে ধরা দেহ,
চোখে আমার শ্রাবণের জল থাকে অবিরত,
দিন কাটে না, রাত কাটে না, তোকে না দেখে,
অন্ধকারে ডুবে আছি, মরণ জ্বালায় জ্বলে
ইচ্ছেগুলো দিচ্ছি ফাঁকি, আর লাগে না ভালো;
যতই ভাবি ভুলবো তোকে, ভুলতে পারি নাকো!
কেমন করে ভুলবো তোকে বলতে পারিস মাকে?
হাত-পা আমার সদাই কাঁপে তোকে না ছুঁয়ে।
পরাণ আমার কেঁদে ওঠে তোকে না পেয়ে
পুতুলের মতো মুখখানি তোর ভুলি কি করে?
কোথা থেকে ভেসে এলি, আবার কোথায় গেলি?
মন যে আমার বড়ই উদাস তোকে ভেবে ভেবে,
কি অপরাধ ছিল আমার তাই তো বুঝি নাকো।
কোন সে দূরে চলে গেলি আমায় একা করে?
ছোট্ট হাতে ধরতিস যখন আমার দেহটাকে,
আট বেহেস্ত হাজির হতো আমার চারিপাশে।
কষ্টগুলো উধাও হতো চোখের পলকে;
কোলের কাছে শুয়ে যখন হাসতিস মিটিমিটি,
তখন আমি তোর কপালে চুমু দিতাম রাশি রাশি।
ঠোঁট ফুলিয়ে উঠতিস কেঁদে আমায় না দেখে,
কাজের ফাঁকে দৌড়ে এসে ধরতাম তোকে বুকে।
খিলখিলিয়ে উঠতিস হেসে আমার মুখটা চেয়ে,
তোর হাসিতে নয়ন আমার জুড়িয়ে যেত এক নিমেষে।
ছোট্ট সেই জামা-জুতো আজও আছে পড়ে,
খেলনাগুলো এলোমেলো সারাটা ঘর জুড়ে বইগুলো
তোর থরে থরে সাজানো আছে আলমারিতে।
শূন্য ঘরে একা আমি, শূন্য আমার মন,
কখন যাবো তোর কাছে আমার মানিক ধন?
জানাস তবে শেষ প্রহরে আমার কানে কানে।
আরও পড়ুন জিন্নাত আরা রোজীর কবিতা-
ভালোবাসার ঋণ
সময়ের দাবি
সাগরকন্যা
দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে
আমি শরতের আকাশে ফুটাবো সাহিত্যের ফুল
সাহিত্যিকদের আড্ডায় ছড়াবো লেখার পসরা।
“সারা বাংলায় ছড়িয়ে যাক আমাদের সুজানগরের সাহিত্য লেখা
এই হোক সব কবিদের প্রত্যশা”।
“আমাদের সুজানগরের খেয়ালে ভরে যাক
পৃথিবীর দেয়ালে আঁকাবাঁকা অক্ষরে যুগ থেকে যুগান্তর পেরিয়ে।
আজ হাতে হাত রেখে শপথ করি সবে, দ্বিধা দ্বন্ধ ভুলে
স্বাধীন ভাবে সাহিত্যিকদের আড্ডাকে পৌঁছে দেব পৃথিবীর সর্বস্তরে।
আরও পড়ুন কবিতা-
তৃষ্ণা
মাটির আলো
প্রেমমৃত্তিকা
ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
সোনামনি